আনোয়ার হোসেন নিজস্বপ্রতিনিধিঃ গণহত্যা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর সদর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে এ বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন অভিভাবকরা।
শুক্রবার (৩ আগস্ট) বিকাল ৩টার সময় যশোর সদর শহরের পালবাড়ি মোড় এ জড়ো হয় যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে যশোর পুলিশ লাইন, গরিব শাহ্ সড়ক হয়ে সদর শহরের মধ্যে প্রবেশ করেন আন্দোলনকারী হাজার হাজার শিক্ষার্থী।
মিছিলটি শহরের বিমান অফিস মোড়ে সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য দেন– ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাশেদ খান, অভিভাবক দের মধ্যে অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মিন্টু, আলী আজম টিটো।
বেলা সাড়ে ৩টা সময় যশোর সদর শহরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। তবে এই বৃষ্টিতেও বন্ধ হয়নি শিক্ষার্থীদের রাজপথের আন্দোলন। বৃষ্টির মধ্যেই বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বলতে থাকেন ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘শেখ হাসিনা স্বৈরাচার, এই মুহূর্তে গদি ছাড়’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতেসদর শহরের মধ্যে প্রবেশ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘শত ছাত্রের রক্তে রাঙানো শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। দমন-পীড়ন করে ছাত্রদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন থামানো যাবে না।
এর আগে যশোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে যশোর শহরে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেন। দুপুর ২টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে শহরের মণিহার চত্বর থেকে শুরু হয়ে আর এন রোড, কোতয়ালি মডেল থানা মোড় ও রেল রোড হয়ে লালদীঘির পাড়ে দলের কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়।
এদিকে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শুক্রবার সকাল থেকে যশোরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের টহল ও কড়া নজরদারি চোখে পড়ে। এমনকি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে নিরাপত্তা দিতে পুলিশের একাধিক টিমকে গাড়িযোগে টহল দিতে দেখা গেছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply