আনোয়ার হোসেন নিজস্বপ্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে দেশে সংখ্যলঘু বা হিন্দুদের উপর ব্যাপক অত্যাচার শুরু হয়েছে এমন বিভ্রান্তিকর খবর প্রচারের মুখে শার্শা উপজেলার সংখ্যালঘুরা নিরাপদ ও ধর্মীয় উপাসনালয় সব সুরক্ষিত বলে জানালেন শার্শার সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি। দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার জেরে এহেন ঘৃনীত অপপ্রচারের নিন্দা জানান তিনি।
বৈষম্যবিরোদী ছাত্র আন্দোলনের ১দফা দাবীর মুখে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর স্থাপনায় দুর্বৃত্ত হামলার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় যশোরের শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি বেনাপোর পৌরসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও শার্শার সাবেক সংসদ মফিকুল হাসান তৃপ্তির নির্দেশনায় উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় পরিদর্শন করেন গণমাধ্যধকর্মী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শার্শা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
সোমবার ( ১২ই আগস্ট ) সকাল হতে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেন গণমাধ্যম কর্মী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল।
এসময় তারা এলাকার সাধারন জনগন,মন্দির পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ,গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সহিত মত বিনিময় করেন এবং সংখ্যালঘুদের বসত বাড়ীতে গিয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নেন।শার্শা উপজেলার কোথাও কোন অপ্রিতীকর ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়নী। তবে শার্শায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপর হামলা হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়েছে একটি মহল বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন কালে গোগা পশ্চিম সার্বজনীন দূর্গা মন্দির এর সভাপতি আনন্দ পাল জানায়,ভারত সীমান্ত ঘেষা এলাকাটিতে তারা অত্যান্ত নিরাপদ পরিবেশে জীবন যাপনসহ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করছেন। অদ্যবধী কোন প্রকার অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটেনী বা কেউ হুমকী –ধামকীও দেইনী।
বাগ আঁচড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শ্রী গোবিন্দ মজুমদার জানান,তাদের এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। মফিকুল হাসান তৃপ্তির এলাকা হওয়ার সুবাধে বিএনপির নেতা কর্মীরা সব সময় খোঁজ খবর রাখছেন। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের মন্দির পরিদর্শন করেছেন ও প্রয়োজনে যোগাযোগের নাম্বার দিয়ে গেছেন।
শার্শা পান্তা পাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি দিলিপ সরকার জানান,গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর হতে আজ পর্যন্ত এলাকার সংখ্যালঘুদের সাথে কোন সহিংস বা হামলার ঘটনা ঘটেনী। গ্রামের মুসলিম ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তাদের সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রেখেছেন।
বাংলাদেশেও এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সুপরিচিত বেনাপোলে অবস্থিত এতিহ্যবাহী ধর্মীয় উপসনালয় নামাচার্য শ্রী শ্রী ব্রক্ষ হরিদাস ঠাকুরের পাটবাড়ী আশ্রমের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক উজ্জল বিশ্বাস জানান,দেশের অন্যান্য স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা শুনলেও বেনাপোল ও পাশর্^বর্তী ইউনিয়ন গুলোতে শান্তিপূর্ন পরিবেশ বজায় রয়েছে। বিএনপি,জামায়েত ইসলামীর নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যে তাদের আশ্রম পরিদর্শন করেছেন। বিজিবির পক্ষ হতে তাদের সার্বিক নিরপত্তা দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন
বেনাপোলের বালুন্ডা,পেচের বাওড়,কাগজপুকুর,শাখারীপোতা,মান্দারতলা ,ছোট আঁচড়া ও পুটখালী মন্দির ঘুরে এবং পরিচালনা পরিষদের সাথে কথা বলে শার্শার সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা স্বাভাবিক জীবন যাপনসহ নির্বিঘ্নে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করছেন বলে জানান।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply