আনোয়ার হোসেন নিজস্বপ্রতিনিধিঃ যশোর জেলা সদর শহরের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অনিবন্ধিত নার্স ও মিডওয়াইফ মুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার যশোর জেলা সিভিল সার্জন মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এইঅভিযান শুরু হয়। গত ২২ আগস্ট শিক্ষার্থীরা ভুয়া নার্স দমনে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও সিভিল সার্জন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। ওই সময় সিভিল সার্জন তাদের শহরের ক্লিনিকগুলোতে ভুয়া নার্স দমনে অভিযানের আশ্বাস দেন।
যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, ভুয়া নার্স নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত শহরের ক্লিনিকগুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সঠিকভাবে ক্লিনিক পরিচালনা করা না হলে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এছাড়াও এঅভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল, মেডিকেল অফিসার ডা. রেহনেওয়াজসহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা ও যশোর নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী বিপ্লব আলী, খন্দকার হাসিব, সুরাইয়া প্রমুখ।
ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বাস্থ্য বিভাগ ও শিক্ষার্থীদের একটি দল শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে অভিযান শুরু করে। তারা প্রথমেই শহরের দড়াটানা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। সেখানে দায়িত্বরত ৩ জন ডিপ্লোমা নার্স কর্মরত দেখতে পান। ওই তিনজনের মধ্যে একজনের কাগজপত্র সঠিক পাওয়া যায়নি।
এরপর একতা হসপিটালে অভিযান পরিচালনা করা হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ২২ জন নার্স আছে দাবি করেন। এদের মধ্যে ৬ জন ডিপ্লোমা নার্স কর্মরত আছেন বলে জানান। তবে এদের একজনেরও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তারা। এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগ দুটি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকেই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত ডিপ্লোমা নার্স নিয়োগের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ মানা না হলে তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
দড়াটানা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়ন্ত কুমার জানান, তাদের হাসপাতালে ২০ জন নার্স কর্মরত রয়েছেন। তারা সকলেই রেজিস্টার নার্স। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তরা তাদের কাগজপত্র দেখেছেন। একজনের বিষয়ে অভিযোগ এনেছেন। বিষটি আমলে নিয়ে অতি দ্রুত তাকে অপসরণ করা হবে।
একই কথা জানায়, একতা হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) সিরাজুল ইসলাম মোহন। তিনি বলেন, হাসপাতালে সর্বোমোট ২২জন নার্স কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬জন রয়েছেন রেজিস্ট্রার নার্স। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদী নার্সিং কোর্চ করা সার্টিফিকেট রয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের নিদের্শনা মোতাবেক ১৫দিনের মধ্যে সকল রেজিস্ট্রার নার্স নিয়োগ প্রদান করা হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply