আনোয়ার হোসেন নিজস্বপ্রতিনিধিঃ দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এলো আমদানি করা ১৩ হাজার ৯১০ কেজি মুরগির ডিম।
সোমবার (৯ই সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার সময় বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো যত দ্রুত সম্ভব ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে প্রথম ৬১ হাজার ৯৫০ টি মুরগির ডিম আমদানি করা হয় গত বছরের ৫ নভেম্বর।
আমদানি করা এইসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ এক টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ টাকার মতো।
ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশান নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই চালানে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি ডিম আমদানি করেছে। এইসব ডিম রফতানি করেছে ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালান টি ছাড় করার জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার ওথেলো চৌধুরী বলেন, ‘ডিমের চালান টি গতকাল সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। ডিম আমদানির উপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমসের ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে। এসব আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর পরীক্ষণ করা হবে। এরপর ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। এখানে ডিম পরীক্ষার কোনও যন্ত্রপাতি না থাকায়। ভারতীয় সার্টিফিকেটের উপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়। তা ছাড়া দৃশ্যমান কোনও সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হয় বলে জানান।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply