বেকারদের থেকেও বিপুল আয়, অর্থের অভাবে অনেকেই করেন না আবেদন, টিউশনি করে উপোস থেকে করতেহয় খরচ জোগাড়, এতে বছরে চলে যায় কয়েক হাজার টাকা!
দেশে বেকারদের কাছ থেকে শত কোটি টাকা আয় করছে রাষ্ট্র। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে শুধু আবেদন ফির নামে বেকারদের কাছ থেকে বছরে কয়েক শত কোটি টাকারও বেশি আদায় করা হচ্ছে। শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। এর মধ্যে তরুণ বেকার ২১ লাখ। উচ্চ শিক্ষিত বেকার ৮ লাখ। তরুণদের বড় অংশই চাকরির চেষ্টা করেন।
জানা যায়, সর্বশেষ ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষায় ১ হাজার ১৪০টি পদের বিপরীতে প্রাথমিক আবেদন জমা পড়ে ৩ লাখ ৩৮ হাজার। এখান থেকেই ৭০০ টাকা হারে সরকারের আয় হয় ২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে জারি করা সরকারি প্রজ্ঞাপনে ৯ম গ্রেড বা এর বেশি গ্রেডভুক্ত (ননক্যাডার) পদে আবেদন ফি ৬০০ টাকা, ১০ম গ্রেডের পদে আবেদন ফি ৫০০ টাকা, ১১ থেকে ১২তম গ্রেডের জন্য ৩০০ টাকা, ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের জন্য ২০০ টাকা এবং ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২০২৩ সালের আরেক প্রজ্ঞাপনে অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনের ফি এর ১০ শতাংশ কমিশন বাবদ এবং কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। এ ছাড়া বিসিএস পরীক্ষার জন্য ৭০০ টাকা আবেদন ফি জমা দিতে হয়। এর বাইরে স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভাগে ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত পরীক্ষার ফি রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৫ সালের শেষ দিকে ব্যাংকগুলোতে চাকরির পরীক্ষার আবেদনে ‘ফি’ না নিতে নির্দেশনা জারি করলেও ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে আবারও ২০০ টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করে দেয়। চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, বেকারত্বকে পুঁজি করে কোটি কোটি টাকা আয়ের রাস্তা তৈরি করছে সরকার। বিভিন্ন সংস্থা বা বিভাগ নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের ফি নিচ্ছে। অথচ বছরের পর বছর আবেদন করেও চাকরি মিলছে না। এর মধ্যেই আবার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply