December 22, 2024, 2:07 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ঢাকা শহরে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান, দু-তিনদিনের মধ্যে তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে। নাটোরে সদর উপজেলার বড়হরিশপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে ডাকাতি। স্বৈরশাসক ও ফ্যাসিবাদের দোসর অস্ত্র ব্যবসায়ী দেলু নাঃগঞ্জ মহানগর তরুন দলের সদস্য সচিব ৫ আগস্টের পরে হচ্ছে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা, চলছে দেদার অর্থ উপার্জন, মামলার বাদীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে! মুচলেকা দিয়ে যশোরের মাদ্রাসায় ‘জঙ্গি নাটকের’ অবসান। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে সাদপন্থিদের নিষিদ্ধকরণ ও শাস্তির ‎‎দাবীতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল। ব্যাংক ডাকাতির মত ঘটনা যেন আর না ঘটে : মোমিন মেহেদী ভালুকায় ছিন্নমূল ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ ব্যাংক ডাকাতির মত ঘটনা যেন আর না ঘটে: মোমিন মেহেদী ইজতেমার ময়দানে হামলার বিচারের দাবিতে ভালুকায় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। একটি সেতুর অভাবে, লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি। বিএসএমএমইউর সাথে বারডেম একাডেমি ও টিচার্স এসোসিয়েশনের সভা অনুষ্ঠিত। বিজ্ঞান আশীর্বাদ ও অভিশাপ প্রথম এরোপ্লেন আবিষ্কারের কাহিনী রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের অসাধ্য সাধন। নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির তীব্র প্রতিবাদ বিএসএমএমইউতে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা সাউন্ডবাংলা-বিজয়ের কবিতা-ছড়া পাঠে ৫ বিজয়ী ভালুকায় নতুন ইউএনও’র যোগদান ভালুকায় বিএনপির বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত নতুনধারার ৪ দিনব্যাপী বিজয়শ্রদ্ধা কর্মসূচি সমাপ্ত আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন সাংবাদিক নুরুদ্দীন আহমেদ ভালুকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী আটক টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ৭১ এর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন। স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ জিয়ার মাজারে নাগরিক দলের শ্রদ্ধা সাদপন্থী শীর্ষ নেতাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা টঙ্গিবাড়ীতে শীতকালীন ক্রিকেট টুনামেন্টের উদ্ধোধন অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী কবি সংসদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নির্বাচিত। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী শুভেচ্ছা জানিয়েছে এনডিপি। তারেক রহমান বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলে লক্ষ জনতার স্রোত নামবে।

খোলসের আড়ালে এক অন্যরকম ভয়ংকর মোজাম্মেল।

খোলসের আড়ালে এক অন্যরকম ভয়ংকর মোজাম্মেল।

আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর থেকে, দুসস ডেস্কঃ টানা ক্ষমতায় থেকে মোগল সম্রাট আকবরের রেকর্ড ভঙ্গকরার আশা পূরণ হলোনা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রীর! তার আগেই হারিয়েছেন মসনদ। তার রাজনৈতিক জীবনে প্রায় ৫০ বছরের কখনোই দেখেননি কারাগারের চার দেয়াল! এখনও বন্দিদশা এড়াতে চান। এ কারণেই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে আছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীর মধ্যে অনেকেই বলছেন, তিনি এখনও গাজীপুরেই আছেন।

গোপনীয়তায় কাউকেই ঘুণাক্ষরে বিশ্বাস করতেননা সাবেক এই প্রভাবশালী মন্ত্রী! বিগত সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হয়েও তিনি এলাকার ঝুট ব্যবসার অবৈধ টাকা নিজ হাতে ভাগ বাটোয়ারা করে দিতেন। স্থানীয়ভাবে প্রকাশ্যে তাঁর ছিল নৌকাবিরোধী অবস্থান। ইউপি চেয়ারম্যান থেকে এমপি কখনোই ছিলেন না দলীয় পদ ছাড়া। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হওয়ার পর মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নেন। এর পর থেকেই দলীয় নেতাকর্মীর কাছে তিনি হয়ে ওঠেন এক অন্যরকম মোজাম্মেল হক।

কালিয়াকৈরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, আর মাত্র তিন মাস পার হলেই ৫০ বছর ক্ষমতার চেয়ারে থাকার জমকালো আয়োজনের কথা ছিল। সে অনুযায়ী মোজাম্মেল হক এর সমর্থকরা বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের ছকও কষেছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই আশায় গুড়েবালি হয়ে গিয়েছে।

১৯৭৩ সাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ১৫ বছর, এরপর পৌরসভা ও এমপি পদে ধারাবাহিকভাবে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রভাবশালী এই মন্ত্রী। মন্ত্রীর বাল্যবন্ধু কাজী মোজাম্মেল হকের দাবি, স্বাধীনতার আগে থেকেই তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। গাজীপুর সদর আসনের বাসিন্দা হলেও তিনি এমপি হয়েছিলেন কালিয়াকৈর থেকে।

ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ:
তিনি জোঁকের মতো কামড়ে ধরেছিলেন ঝুট ব্যবসা। এলাকার কোন কারখানা থেকে কত টাকা আসবে, সেটি নিজেই নির্ধারণ করে দিতেন। কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক আবদুল ওহাব মিয়া মোজাম্মেলের ঘনিষ্ঠজন। ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ওহাব চলেগেছেন কানাডায়। গণমাধ্যমে তিনি জানান, মন্ত্রীর নির্দেশে প্রতি মাসে একটি কারখানা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠত। এই টাকার কিছু অংশ দলের তৃণমূল পর্যায়, অর্থাৎ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা ও পৌর শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া হতো। এই টাকা পাঁচ হাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের ছিল। টাকার অঙ্ক নির্ধারণ করে দিতেন মন্ত্রী নিজেই।

টাকার অঙ্ক নির্ধারণের এমন একটি তালিকা গণমাধ্যমে এসেছে বলে জানা যায়। আবদুল ওহাবের বক্তব্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায় সেই তালিকায় এমনটাই বলছে গণমাধ্যম। কোন কারখানা থেকে কত টাকা আসবে এবং সেটি কে পাবে, স্থানীয় সূত্র থেকে পাওয়া কম্পিউটারে কম্পোজ করা ওই তালিকা মন্ত্রী নিজ হাতে কিছু স্থানে কাটাছেঁড়াও করেছেন। ওই তালিকায় অন্তত ৬০ কারখানার নাম পাওয়া যায় এমনটাই বলছে গণমাধ্যম।

জানাযায়, ২০২২ সাল থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতি মাসে মন্ত্রীর হাতে কখনও ১০ লাখ, কখনও ১৫ লাখ করে টাকা তুলে দিয়েছেন এমন এক ব্যবসায়ী যিনি এলাকায় ‘ঝুট আলামিন’ নামে পরিচিত। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, এই টাকা আমি নিজেই মন্ত্রীর কাছে জমা দিতাম, এমনকি মন্ত্রীর সরকারি অফিসে গিয়েও একাধিকবার টাকা দিয়ে এসেছি। মোজাম্মেল হক নিয়মিত মাসোহারা তুলতেন এমন কারখানার সংখ্যা শুধু কালিয়াকৈরেই রয়েছে শতাধিক।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রগুলো গণমাধ্যমে জানিয়েছে, মন্ত্রীর হয়ে কালিয়াকৈরে এসব কারখানায় ঝুট ব্যবসার পাশাপাশি শ্রমিকের ওপর সরাসরি প্রভাব বিস্তারকারীর তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন– আওয়ামী লীগের কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার সভাপতি মুরাদ কবীর, সহসাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম তুষার, পৌর শাখার সভাপতি সরকার মোশারফ হোসেন জয়, সাধারণ সম্পাদক সিকদার জহিরুল ইসলাম জয়, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিকদার মোশারফ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী, কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার সদস্য মো. ফারুক শিকদার, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা শাখার সদস্য হাজি লোকমান হোসেন। গাজীপুর-১ আসনের বিভিন্ন এলাকায় এসব নেতার বাইরে কোনো কাজ হতো না, এমন জনশ্রুতি থাকলেও ৫ আগস্টের পর এরা সবাই চলে গেছেন আত্মগোপনে। গত দুই সপ্তাহ তাদের মোবাইলে ফোন দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও সবার নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।

নৌকার মাঝি হয়েও চেনেন না নৌকা।
২০১৮ সালে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হন মোজাম্মেল হক। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই তিনি প্রকাশ্যে ‘আনারস’ প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নেন। এ নিয়ে দলীয় বিরোধ ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, ওই সময়ে উপজেলার ভোটে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল। অন্যদিকে, মন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থী ছিলেন কামাল উদ্দিন সিকদার। ওই নির্বাচনে তাঁর প্রতীক ছিল ‘আনারস’। মন্ত্রী নৌকার প্রার্থী রাসেলকে ঠেকাতে আনারসের পক্ষে মাঠে নামেন। নির্বাচনে হেরে যান নৌকার প্রার্থী। পরে গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন রেজাউল করিম রাসেল। যদিও তিনি মাত্র সাত হাজারের কম ভোটের ব্যবধানে তাঁর কাছে হেরে যান।

এর আগে কালিয়াকৈর পৌর নির্বাচনেও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বর্তমান মেয়র মজিবুর রহমানের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ ছিল মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে।

মোজাম্মেলের ঘুঘুর ফাঁদ
দল ক্ষমতায় এবং এলাকার এমপি মোজাম্মেল হক মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য হয়েও পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষা পাননি আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। মোজাম্মেলের ইচ্ছার বাইরে কালিয়াকৈরে কেউ পেতেন না দলীয় পদ। তাঁর ইশারা ছাড়া করা যেত না ব্যবসা-বাণিজ্য।

স্থানীয় নেতাকর্মীর অভিযোগ, বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ (ডিবি হারুন) গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) থাকাকালে এই আসনের অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী অহেতুক হয়রানির শিকার হয়েছেন। মন্ত্রীর সামনে অহরহ এমন ঘটনা ঘটলেও মন্ত্রী থাকতেন নীরব দর্শক। মন্ত্রীর রোষানলে পড়ে সর্বস্বান্ত কম নয়।

মোজাম্মেলের ঘুঘুর ফাঁদ দেখা তেমনই একজন আলেয়া বেগম। কালিয়াকৈর পৌর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ছিলেন তিনি। আলেয়ার অভিযোগ, মন্ত্রী তাঁকে অগঠনতান্ত্রিকভাবে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করেছিলেন। ২০১৭ সালের ১৭ আগস্ট দলীয় কর্মসূচি শেষ করে বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে এসপি হারুনের ইশারায় সাদা পোশাকের পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। যদিও ওই সময় তাঁর নামে কোনো মামলা ছিল না। তিন দিন তিন রাত তাঁকে এসপি অফিসে বসিয়ে রাখা হয়। ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর স্বজনের সঙ্গে আর্থিক দেনদরবার চলায় সে সময় লকআপেও তাঁকে ঢোকানো হয়নি।

আলেয়া বেগম বলেন, প্রথম দিন রাতে গাজীপুর-৩ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন সবুজ ও তৎকালীন উপজেলা সভাপতি কামালউদ্দিন সিকদার আমাকে নিতে এসপি অফিসে যান। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসপি হারুন এখন অফিসে নেই। তিনি না আসা পর্যন্ত ছাড়া যাবে না। এর পরদিনই আমার নামে ৬টি চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া হয়। এতে সব মামলায় ১০ কোটি টাকার মতো চাঁদা নিয়েছি, এমন অভিযোগ আনা হয়। এমনকি আমার কাছ থেকে ২ কোটি টাকা উদ্ধারও দেখিয়েছে পুলিশ।

আলেয়া জানান, এসপি হারুন তাঁকে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য বলেন। আামি প্রথমে টাকা দিতে রাজি হইনি। ২ মাস ৮ দিন জেল খেটে সবকটি মামলা থেকে মুক্তির দিনই জেলগেট থেকে ফের এসপি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, আপনার নামে আরও মামলা হচ্ছে। এর পর পরিবারের সদস্যদের চাপে প্রথম দফায় ১০ লাখ এবং পরে আরও ২৮ লাখ টাকা এসপিকে দিয়ে ছাড়া পাই। এ ছাড়া আলেয়ার একটি বসতঘর দখলে নেন এসপি হারুন। এখনও ওই বাড়ি নিজের আয়ত্তে নিতে পারেননি তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক সদস্য গণমাধ্যমকে বলেন, মন্ত্রীর রহস্যজনক নীরবতার পেছনে একটা গোপন কারণ ছিল। এসপি হারুন এক দিন মন্ত্রীর একমাত্র ছেলেকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক করেন। বর্তমানে তিনি তুরস্কে বাবার জাহাজ ব্যবসা দেখাশোনা করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের ওই সদস্য বলেন, ছেলেকে আটক করে এসপি হারুন মন্ত্রীর কাছে খবর পাঠান, কিছুক্ষণের মধ্যে মিডিয়াকর্মী ডেকে তাঁর ছেলের জঙ্গিবাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, এমন সংবাদ প্রকাশ করা হবে। এতে মন্ত্রী বিচলিত হয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপে ছেলেকে বাসায় নিয়ে আসেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে এসপি হারুনের সমঝোতা হয়, গাজীপুরে এসপি হারুনের কোনো কাজে মন্ত্রী হস্তক্ষেপ করবেন না। যে কারণে মন্ত্রী এসব ঘটনা জেনেও নীরব থাকতেন।

মোজাম্মেল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন প্রবীণ নেতা আবদুল মান্নান শরীফ। তিনি ছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি। ২০০৮ সালে মোজাম্মেল হক প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে খাল খননের দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। আবদুল মান্নান শরীফ জানান, ওই দুই প্রকল্পের এক টাকার কাজও করেননি মোজাম্মেল। উপজেলা চত্বরে এক দিন তাঁর কাছে প্রকল্পের কোনো কাজই হয়নি কেন, জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে যান। এর কয়েক দিন পরই উপজেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকে সরে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে এসপি হারুন ফোন করে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেন। কেন পদত্যাগ করব, জানতে চাইলে এসপি হারুন খারাপ আচরণ করেন। এক পর্যায়ে দেন প্রাণনাশের হুমকি। পরে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করতে হয় তাঁকে। এর পর আওয়ামী লীগের সদস্যপদেও তাঁকে আর রাখা হয়নি।

আ.ক.ম. মোজাম্মেল হকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে গণমাধ্যম। তবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মেয়ে মাহাজাবিন রত্না গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ভাইকে কখনোই পুলিশ আটক করেনি। দেশের বাইরে আমাদের ব্যবসা বা সম্পদ নেই। আমার ভাই দেশেই থাকেন। বাবার সম্মানহানি হোক তা চাই না। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই বলে জানান তিনি।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com