নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল পদ্মা ডিপোতে চলছে তেল চুরির মহোৎসব। ডিপোর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে প্রতিদিন চুরি হচ্ছে প্রায় ৩(তিন হাজার) লিটার তেল, মাসে ৯০ (নব্বই হাজার) লিটার। যার বাজার দর প্রায় ৫৭(সাতান্ন লাখ) টাকা। বছরে প্রায় ৭(সাতশো কোটি) টাকা। এই বিপুল টাকার তেল চুরির মহোৎসবের নাটের গুরু পদ্মা অয়েল ডিপোর ইনচার্জ মাহাবুবুল আলম।
গোপন সূত্রে জানা যায়, গত ১২ আগষ্ট ২০১৯ইং তারিখে পদ্মা ডিপোতে ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন মাহাবুবুল আলম। যোগদানের পর থেকে বিশিষ্ট তেল চোর ট্যাংকলরি মালিক সমিতির কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ প্রধানের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইনচার্জ মাহাবুবুল আলম। এই সাব্বির আহম্মেদ প্রতিদিন সকালে গিয়ে ডিপোর ইনচার্জ মাহাবুবুল আলমের সাথে মিলে ট্যাংকির ডিপ নিয়ে হিসাব নিকাশ করে তেল ডিপো সকাল ৯ টায় চালু করে দিয়ে আসেন, আবার বিকেল ৫ টায় ডিপো বন্ধ করার সময় হলে তখন আবার ডিপোতে গিয়ে ট্যাংকির ডিপ নিয়ে হিসাব নিকাশ করে তেল চুরির ভাগের টাকা নিয়ে চলে আসেন।
সরকারের চোখ ফাঁকি দিতে ডিপোর ইনচার্জ মাহাবুবুল আলম সিষ্টেম লস বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এ তেল চুরির জন্য ডিপোর ইনচার্জ মাহাবুবুল আলম ফিল্ড ষ্টাফদের ব্যবহার করেন তার মধ্যে ডিপোর ক্যাজুয়াল ষ্টাফ রাকিব, দেলোয়ার ও সাদ্দাম অন্যতম। এ টাকার ভাগ বিভিন্ন মহলে চলে যাচ্ছে বলেএকটি সূত্র জানায়।
এই তেল চুরিতে আরো আছেন ডিপোর ক্যাজুয়াল ষ্টাফ সাদ্দামের শশুড় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ফারুক হোসেন, ট্যাংকলরি মালিক সমিতির নেতা হারুন অর রশিদ, মোঃ কাজী স্বপন ও ইয়ার হোসেন ভূইয়া। এ চোরাই তেল কিনেন রাকিব ভূইয়া, নুরে আলম ও মুক্তার হোসেন। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকিদিয়ে গুনধর এই তেল চোরেরা বীরদর্পে দীর্ঘদিন যাবৎ তেল চুরির কাজটি করে আসছে। দেখার যেন কেউ নেই।
এদিকে সিলেট গ্যাস ফিল্ডসহ দেশের বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ড থেকে যে তেল কেরিং কন্টাকটারের মাধ্যমে পদ্মা ডিপোতে আনলোড করা হয় সেখানেও তেল চুরির আভাস পাওয়া যায়। এই তেল চুরির ব্যাপারে ট্যাংকলরি মালিক সমিতির নেতা হারুন অর রশিদ বলেন, এ চুরির ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই, আমার একটি ট্যাংকলরি আছে আমি মালিক হিসেবে মাঝে মধ্যে ডিপোতে যাই । বিশিষ্ট তেল চোর ট্যাংকলরি মালিক সমিতির নেতা সাব্বির আহমেদ প্রধান বলেন, ভাই আমি একটি মিটিংএ আছি পরে কথা বলি। ইয়ার হোসেন ভূইয়া জানান, এ চুরির সাথে কোন সম্পর্ক নাই। ক্যাজুয়াল ষ্টাফ সাদ্দাম হোসেনের ২’টি মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে একটি বন্ধ পাওয়া যায় ও অপরটি তিনি রিসিভ করেনি। ডিপোর ইনচার্জ মাহাবুবুল আলম বলেন, চুরির সংবাদটি সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। এত তেল চুরি হলে উপর মহলকে জবাব দিব কি ? এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি(সার্বিক) কামরুল ফারুক বলেন, এ ব্যাপারে কেহ কোন অভিযোগ করেনি অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply