December 22, 2024, 1:54 pm

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
অর্থনীতিক ও ভূরাজনৈতিক কারণে বঙ্গোপসাগর আন্তর্জাতিকভাবে বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে। চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ঢাকা শহরে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান, দু-তিনদিনের মধ্যে তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে। নাটোরে সদর উপজেলার বড়হরিশপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে ডাকাতি। স্বৈরশাসক ও ফ্যাসিবাদের দোসর অস্ত্র ব্যবসায়ী দেলু নাঃগঞ্জ মহানগর তরুন দলের সদস্য সচিব ৫ আগস্টের পরে হচ্ছে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা, চলছে দেদার অর্থ উপার্জন, মামলার বাদীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে! মুচলেকা দিয়ে যশোরের মাদ্রাসায় ‘জঙ্গি নাটকের’ অবসান। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে সাদপন্থিদের নিষিদ্ধকরণ ও শাস্তির ‎‎দাবীতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল। ব্যাংক ডাকাতির মত ঘটনা যেন আর না ঘটে : মোমিন মেহেদী ভালুকায় ছিন্নমূল ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ ব্যাংক ডাকাতির মত ঘটনা যেন আর না ঘটে: মোমিন মেহেদী ইজতেমার ময়দানে হামলার বিচারের দাবিতে ভালুকায় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। একটি সেতুর অভাবে, লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি। বিএসএমএমইউর সাথে বারডেম একাডেমি ও টিচার্স এসোসিয়েশনের সভা অনুষ্ঠিত। বিজ্ঞান আশীর্বাদ ও অভিশাপ প্রথম এরোপ্লেন আবিষ্কারের কাহিনী রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের অসাধ্য সাধন। নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির তীব্র প্রতিবাদ বিএসএমএমইউতে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা সাউন্ডবাংলা-বিজয়ের কবিতা-ছড়া পাঠে ৫ বিজয়ী ভালুকায় নতুন ইউএনও’র যোগদান ভালুকায় বিএনপির বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত নতুনধারার ৪ দিনব্যাপী বিজয়শ্রদ্ধা কর্মসূচি সমাপ্ত আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন সাংবাদিক নুরুদ্দীন আহমেদ ভালুকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী আটক টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ৭১ এর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন। স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ জিয়ার মাজারে নাগরিক দলের শ্রদ্ধা সাদপন্থী শীর্ষ নেতাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা টঙ্গিবাড়ীতে শীতকালীন ক্রিকেট টুনামেন্টের উদ্ধোধন অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী কবি সংসদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নির্বাচিত। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী শুভেচ্ছা জানিয়েছে এনডিপি।

সাবধান রাইস কয়েন প্রতারক চক্র আপনার আশেপাশেই ঘুরছে !

সাবধান রাইস কয়েন প্রতারক চক্র আপনার আশেপাশেই ঘুরছে !

আজিজুল ইসলাম। কিছুদিন হলো তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তার এখন সময় কাটে না। ছেলে চাকরি করেন। সকালে বের হন, রাতে ফেরেন। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। শ্বশুরবাড়িতে থাকেন চট্টগ্রাম। ঢাকায় নিজের বাসা। বাসায় আজিজুল ইসলাম আর তার স্ত্রী। সংসার দেখাশোনা, নানা কাজে স্ত্রী আগের মতোই আছেন ব্যস্ততা নিয়ে। সমস্যাটা শুধু আজিজুল ইসলামের। কথা আর কতক্ষণ বলবেন ঘরে বসে স্ত্রীর সঙ্গে। স্ত্রীর তো অনেক কাজ সাংসারিক।

সকালে মর্নিং ওয়ার্ক করতে বেরিয়ে যান আজিজুল। এরপর বাসায়। দুপুরে খাবার খেয়ে রেস্ট নিয়ে আবার বেরিয়ে পড়েন। হাঁটাহাঁটি শেষে সন্ধ্যায় ফিরে আসেন। এভাবেই চলছিল তার অবসর জীবন। ইদানীং একটু সময় তার ভালো যাচ্ছে। হাঁটাহাঁটি করতে যেয়ে পরিচয় হয়েছে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। এদের মধ্যে একজনের সঙ্গে তার দারুণ জমেছে। যদিও বয়সে সেই ব্যক্তি আজিজুলের চেয়ে অনেক ছোট। তাতে কী? বন্ধুত্ব কি আর বয়স দেখে হয়। সুমন নামের লোকটির সঙ্গে তার অনেক কথা হয়। স্যার, আপনার বাসায় কিন্তু নিয়ে গেলেন না একদিন? পার্কে বসে আজিজুলকে বলে সুমন। লজ্জা পান আজিজুল। বলেন, তাইতো! অনেক ভুল হয়ে গেছে। ঠিক আছে আজই চলো। সুমন বলে, না না, এমনি বলেছি। আরেকদিন যাব। কিন্তু আজিজুল তাকে জোর করেই বাসায় নিয়ে যান। সুমন বাসার ভিতরে ঢুকেই চারপাশ দেখতে থাকে। স্যার, আপনার বাসা খুব সুন্দর। কিন্তু আরও একটু সংস্কার করেন। আজিজুল বলেন, ছেলে ব্যস্ত থাকে। দেখি এখন করব। কিছু টাকা পেয়েছি। কী করব চিন্তা করছি। টুকটাক কথা শেষে সেদিনের মতো বিদায় নেয় সুমন। পরের দুই দিন আর দেখা হয়নি তাদের। এরপর সুমন সোজা চলে আসে আজিজুলের বাসায়। দেখে অবাক আজিজুল। বলে কি ব্যাপার কোথায় ছিলে তুমি। দেখলাম না। সুমন অসহায়ভাবে বলে, স্যার একটু সমস্যা হয়েছে। বাসাটা আমার ছেড়ে দিতে হবে। আমার ছেলে ছোট। এখানে স্কুলে পড়ে। ওরা গেছে নানির বাসায় বেড়াতে। আজিজুল বলে, সমস্যা কী! বাসা ছেড়ে দাও। আমার এখানে ছাদের ওপর ছোট দুই রুম খালি আছে। ভাড়া তো তুমি নেবেই। এটাও নিতে পার। দেরি করেনি সুমন দুপুরে অনুমতি পেয়ে বিকালেই চলে আসে। এরপর তাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। একদিন সুমন আজিজুলকে রাইস কয়েন সম্পর্কে বলতে থাকে। কয়েনটার দাম কয়েক কোটি টাকা। বিগত তিন বছর ধরে এর পেছনে ঘুরেছে। এখন সেটির সন্ধান পেয়েছে সে। শুনে আগ্রহ বাড়ে আজিজুলের। বলে, তাই নাকি?  কোথায়? সুমন এবার আজিজুলের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে, যে জিনিসের জন্য এতগুলো দিন ঘুড়েছে, তা হাতের নাগালে আসলেও ধরতে পারছে না সে। কারণ, সেটা হাত বদল হয়ে যাচ্ছে। মানে এক ব্যবসায়ী কিনে নিচ্ছে। কিছু টাকা দিয়ে আটকাতে পারলে, তিন দিন পর পুরো টাকা দিয়ে সে নিজেই কিনতে পারবে বলে জানায় সুমন। কারণ, সে একটা জমি বিক্রি করেছে। টাকাটা পাবে তিন দিন পর। শুনে আজিজুল বলে, কত লাগবে? সুমন বলে ৪০ লাখ। ঢোক গিলে আজিজুল। সুমন বলে, থাক বড় ভাই লাগবে না। আমার কপাল খারাপ। মাত্র ৮০ লাখে দুই কোটি টাকার রাইস কয়েন পেয়েও যখন কিনতে পারছি না, কি আর বলব। ৮০ লাখে কিনে দুই কোটিতে বিক্রি করতে পারতাম। লোক ছিল কেনার। আপনাকে কোটি দিতাম। আমি নিতাম এক কোটি। হলো না। আজিজুলের ঘোর কাটে না। বলে, চলো বাইরে যাই। সুমনকে নিয়ে সোজা ব্যাংকে। ৪০ লাখ টাকার এফডিয়ার ভাঙিয়ে পুরোটাই তুলে দেন সুমনের হাতে। সন্ধ্যাতে ফিরবে সুমন। এসে আপডেট জানাবে। আজিজুল বাসায় ফিরে আসে। সুমনের ফোন বন্ধ পায় আজিজুল। ছাদের রুমে যায় সুমনের খোঁজে। এই প্রথম তিনি সুমনের ঘরের সামনে এলো। জানালা দিয়ে ভিতরে উঁকি দিয়েই আঁতকে ওঠেন তিনি। কারণ, ঘরে মালামাল বলতে একটা ছোট খাট আর একটা ট্রাঙ্ক। তখনই বুঝতে পারেন আজিজুল সব আশা শেষ। সন্দেহ ছিল, এখন পুরোপুরি নিশ্চিত তিনি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন। এরপর এক মাস তাকে থাকতে হয়েছে হাসপাতালে। ওইদিনই বুকের ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এমন চক্রের খপ্পরে পড়ে শুধু আজিজুলই জীবনের সব হারাননি, এমন অসংখ্য মানুষ কথার জাদুতে ভুলে প্রতারকের হাতে তুলে দেন সারা জীবনের সঞ্চয়। কেউ এই কষ্ট সহ্য করতে পারেন, কেউ পারেন না। পুলিশের কাছে এমন বহু অভিযোগ রয়েছে। অনেকে ধরাও পড়েছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি প্রতারণা। পুলিশ জানায়, মানুষকে সচেতন হতে হবে। যারা সারা জীবন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সচেতনভাবে কাজ করেছেন, তারাই আবার এমন প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সব হারাচ্ছেন। এমনই একটি ‘রাইস কয়েন প্রতারক’ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে সিআইডি। নতুন পরিকল্পনা করা অবস্থাতে সিআইডির ফাঁদে আটক হয় তারা। সিআইডি সূত্র জানায়, প্রথমে একজনকে টার্গেট করে চক্রটি। পরে শুরু করে প্রতারণা। তবে প্রতারণার ধরনটা বেশ ভিন্ন। প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন কৌশলে টার্গেট করা ওই ব্যক্তির সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। পরে ওই ব্যক্তির কাছে রাইস কয়েন নামের একটি কয়েনের গল্প বলতে থাকে। একপর্যায়ে বিশ্বস্ততা অর্জন করে। এরপরই শুরু হয় তাদের আসল কাজ।

রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতারকৃত এ প্রতারণা চক্রের মূল হোতার নাম সৈয়দ মোস্তাকিন আলী (৩৫) এবং অন্য গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছে শাহে আলম পাঠান (৫০), মো. জাহিদ হাসান (৫৩), শওকত আলী ও লিওন  (৫৭), রাজু মিয়া (৫১) ও ফজর আলী (৪৫)। সূত্র জানায়, এ চক্রের সদস্যরা এক ধরনের রাইস কয়েনকে একটি মহা মূল্যবান কয়েন এবং অতি মূল্যবান ধাতু দিয়ে নির্মিত দাবি করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়। যার মধ্যে ম্যাগনেটিক পাওয়ার সংবলিত এবং যাতে ইউরেনিয়াম রয়েছে। এ ধরনের কয়েন নাসার বিজ্ঞানীরা মহাকাশ গবেষণার কাজে ব্যবহার করে থাকেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ কয়েনটির বহু মূল্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বাস অর্জনের জন্য কয়েনের চারপাশে কিছু চাল রেখে ম্যাজিক ট্রিকসও দেখায় তারা। যেখানে চালগুলো চুম্বকের মতো কয়েনের সঙ্গে আটকে থাকে। এমন ট্রিকস দেখে নিরীহ  মানুষ সরল বিশ্বাসে কয়েনটির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে এবং প্রতারিত হয়। আর এভাবেই প্রতারক চক্রটি প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিপুল পরিমাণ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে। এমন প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তি মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি অর্গানইজড ক্রাইমের একটি দল প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। এ মামলার তদন্তকালে সিআইডি জানতে পারে এ প্রতারক চক্র আবারও প্রতারণা করার জন্য সংঘবদ্ধ হচ্ছে। এবার তাদের টার্গেট ২ কোটি টাকা হাতানো। তারা তাদের প্রতারণার জাল বিছিয়ে ফেলেছে। আর সিআইডি ফাঁদ পাতে প্রতারকদের হাতেনাতে ধরার জন্য। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, সোর্সসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে সিআইডি তাদের মিটিং পয়েন্ট একেবারে রিয়েলটাইমে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে ৬ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সে সময়ে তারা তাদের আসন্ন প্রতারণা নাটকে কে কোন ভূমিকায় অভিনয় করবে তা নিয়ে আলোচনা করছিল। এমন প্রতারণার ব্যাপারে কারও কাছে যদি কোনো তথ্য থাকে, তা সিআইডির কাছে জানার জন্য বললেন এক কর্মকর্তা।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com