নিজস্ব প্রতিনিধিঃ “জনতাই শক্তি রুখবে দুর্নীতি” এ শ্লোগানে কক্সবাজারে দুদকের গণশুনাণীতে বিভিন্ন বিভাগ সম্পর্কে জনতার অভিযোগের পর উপস্থিত সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) এ.এফ.এম. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, জনগণের জন্য দেশ ও প্রশাসন। কিন্তু সব বিভাগেই জনগণ সেবাবঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে। সেবা পেলে অভিযোগ আসবে কেন ? বৃহস্পতিবার সকাল হতে বেলা দুইটা পর্যন্ত চলমান গণশুনাণীতে তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের হাজারো অভিযোগ দুদকে আসছে। জনগণ সেবা পেলে কেন এত অভিযোগ তুলছে ? কেন জনগণ সেবা পচ্ছে না ? সেটাও জনগণের মুখে বয়ান হলো আজ। এটি লজ্জার। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সকালে হাসপাতালে হাজিরা দিয়ে ডাক্তাররা কোথায় যান ? এটা নজরে রাখুন। আমি দেশের অন্তত ২৫টি সরকারী হাসপাতাল গিয়েছি। শিক্ষিত মানবিক মানুষে ভরপুর এসব হাসপাতাল ব্যাপক অনিয়মে ভরা। সরকারি হাসপাতালে তো এমনটি হওয়ার কথা ছিলো না। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে সৃষ্ট জটিলতা দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে দুদক কমিশনার বলেন, দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাবেন, এমনটা ভাবার অবকাশ নেই। কঠোর শাস্তির মুখামুখি হতে হবে দুর্নীতিগ্রস্তদের। কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের এড. সাহাব উদ্দীন মিলনায়তনে গণশুনানীতে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা বঞ্চিত সেবা প্রার্থীদের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিবেশ। ভুল চিকিৎসা রোগীর মৃত্যুর যথাযথ সামাধান না করে উল্টো ডাক্তাদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেন উপস্থিত সেবা বঞ্চিতরা। অভিযোগকারী নাজিম উদ্দীন বলেন, কথায় কথায় সদর হাসপাতালের ধর্মঘটের কারণে দুই সাপ্তহে ২০জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাসেবা প্রার্থীদের ধরে মারধর করে জেলে পাঠিয়েছে ডাক্তাররা। তিনি আরো অভিযোগ করেন, রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে খাবারের মানও খুবই নিম্ন। দেখভালের যেন কেউ নেই। উত্তর পর্বে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. বিধান পাল সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় উপস্থিত সবার মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করে। গণশুনানীতে কক্সবাজার সদর উপজেলা ভূমি অফিস, জরীপ অফিস, সাব রেজিস্টার অফিস, পল্লীবিদ্যুৎ অফিস, হিসাবরক্ষণ অফিস, পিআইও অফিস, সমবায় অফিস, সমাজসেবা অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ আরো বেশ কয়েকটি সরকারি অফিসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থেকে গণশুনানীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও অভিযোগের সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন সংশ্লিষ্টরা। জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
দুসস-নি-প্র-১৮-০৪-১৯
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply