প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সোমবার জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালার এই সংশোধন অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের নীতিমালা সংশোধন নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পণ্য-সেবা বিক্রি ও ডিজিটাল লেনদেন নিয়ে ২০১৮ সালের জুলাইতে ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা’ মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়। পরে বছর ৩১ জানুয়ারি থেকে এটা কার্যকর হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, নীতিমালার আইনি কাঠামো (ধারা ৩.৬.৭) সংশোধন করে ডিজিটাল কমার্স খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘দেশীয় অংশীদার রাখার’ ও ‘দেশীয় শিল্পের স্বার্থসমূহকে প্রাধান্য দেওয়ার‘ শর্ত বাদ দেওয়া হয়েছে।
“আগের নীতিমালায় ছিল ‘ডিজিটাল কমার্স খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধিবিধান প্রতিপালন করতে হবে; তবে বিদেশি ডিজিটাল কমার্স ইন্ডাস্ট্রি দেশীয় কোনো ইন্ডাস্ট্রির সাথে যৌথ বিনিয়োগ ছাড়া এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না এবং দেশিয় ডিজিটাল কমার্স ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থসমূহকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
“এটাকে পরিবর্তন করে ‘ডিজিটাল কমার্সখাতে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধিবিধান প্রতিপালন করতে’ শুধু এই অংশটুকু রাখা হয়েছে।”
অর্থাৎ, বিদেশি ডিজিটাল কমার্স ইন্ডাস্ট্রি দেশীয় কোনো ইন্ডাস্ট্রির সাথে যৌথ বিনিয়োগ ছাড়া এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না বলে আগের নীতিমালায় যে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছিল তা তুলে দিল সরকার।
এছাড়া ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা সংশোধনের ক্ষমতাও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হাত থেকে মন্ত্রিসভা নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এখন থেকে এ নীতিমালা সংশোধন করতে হলে তা মন্ত্রিসভায় তুলতে হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply