আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ অবশেষে সিঙ্গাপুর একমাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা ছাড়া সমস্ত কর্মক্ষেত্র বন্ধ ঘোষণা। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সিঙ্গাপুর প্রতিদিন নতুন নতুন নির্দেশনা জারি করেছিল৷ তাদের নির্দেশনায় তারা সফলও ছিলো৷ কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ৫০ জনেরও বেশি করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হচ্ছে।
প্রথম সপ্তাহের আক্রান্তদের বেশীরভাগ ছিল বিদেশ ফেরত৷ তারা সর্বশেষ ইউরোপ, আমেরিকা, আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো ও অন্যান্য দেশ থেকে সিঙ্গাপুরে ফিরেছিলেন৷ কিন্তু গত সপ্তাহ ধরে স্থানীয়দের মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হচ্ছে। স্থানীয় আক্রান্তদের বেশীরভাগ লিংক অজানা।
তাছাড়া কয়েকটি ক্লাস্টার শনাক্ত করা হয়েছে। নতুন এই ক্লাস্টারগুলো সরকারকে ভাবিয়ে তুলে৷ নতুন এই ক্লাস্টারগুলোর মধ্যে পংগল S11 ডরমিটরি যেখানে থেকে ১৩ জন, মোস্তফা সেন্টার থেকে ১১ জন, ক্যাপেল শিপইয়ার্ড থেকে ৩জন, তুগান ওয়েস্টলাইট ডরমিটরি থেকে ১০ জন শনাক্ত করা হয়। আর এই সব ক্লাস্টারগুলো সরকাকে ভাবিয়ে তুলার কারন হলো, এইসব ক্লাস্টারে হাজার হাজার লোকের বসবাস করে৷
সবদিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী আজ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দেন৷ তিনি শুরুতেই করোনা ভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, শিল্প কারখানা গুলোতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা যাবে। তবে অন্যান্য বেশিরভাগ কাজের জায়গা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
যদি বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই বাড়ি থেকে কাজ করা উচিত হবে। তবে অন্যরা নির্মাণ সাইটে এবং শিপইয়ার্ডে বিদেশী কর্মীরা কাজ করতে সক্ষম হবে না। এই শ্রমিকরা ডরমিটরিতে থাকে এবং আমরা তাদের যত্ন নেওয়ার ব্যবস্থা করব। তিনি আরো বলেন, মানুষের চলাফেরা ও একত্রে জড়ো হবার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা জারি করা হলো।
সিঙ্গাপুরবাসী আপনারা যতটা সম্ভব বাসায় থাকবেন৷ আপনাদের আড্ডা পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন অর্থাৎ যারা আপনার পরিবারের সদস্য নয় কিংবা আপনাদের সাথে বসবাস করে না৷ তাদের বাসায় যাওয়া উচিত হবে না। বিশেষ করে তারা যদি বয়স্ক হয়৷ সিঙ্গাপুরবাসীদের উচিত হবে নিজের পরিবার ছাড়া অন্যদের সাথে সামাজিকতা এড়িয়ে চলা৷
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় পরিষেবা, মূল অর্থনৈতিক খাত বাদে বেশীরভাগ কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকবে৷ এই আইন আগামী মঙ্গলবার (৭ই এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে৷ খাদ্য সংস্থা, বাজার, সুপারমার্কেট, ক্লিনিক, হাসপাতাল, ইউটিলিটি, পরিবহন এবং মূল ব্যাংকিং পরিষেবা উন্মুক্ত থাকবে৷ সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে৷ ৮ ই এপ্রিল থেকে একমাসের জন্য বাসায় অনলাইনে শিক্ষাদান করা হবে৷
প্রধানমন্ত্রী লী আরো বলেন যে, প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বের না হওয়া উচিত। যেসব কাজের জন্য বের হওয়া যাবে : ১. কাজ করতে যাওয়ার জন্য (আপনি যদি প্রয়োজনীয় পরিসেবাদি বা মূল অর্থনৈতিক খাতে থাকেন) ২. খাবার কিনতে রেস্তোরা ও হকার কেন্দ্রগুলোতে যাওয়া যাবে৷ ৩. অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পার্কে ব্যায়াম করা যাবে। আমরা যদি বাহিরে বের না হই অর্থাৎ অন্যদের সাথে যোগাযোগ এড়িয়ে চলি তবে ভাইরাস ছড়াতে পারবে না৷
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply