বৈশ্বিক মাহমারি করোনোভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের খাদ্যবান্ধব সামাজিক নিরাপত্তার বিভিন্ন কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ ও দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনতে জেলা পর্যায়ের সব অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে জেলা কার্যালয়গুলোতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সোমবার (১৩ এপ্রিল) পাঠানো হয়েছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সৃষ্ট প্রাদূর্ভাব মোকাবিলায় সরকারের সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে দুর্নীতির নানা অভিযোগ অনুসন্ধানে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে একজন আসামি গ্রেপ্তারসহ দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ বিষয়ে বলেন, কমিশন এ বিষয়ে আগেই সবাইকে সতর্ক করেছে। তারপরও যে বা যারা সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি ও ত্রাণসামগ্রী আত্মসাৎ করবেন তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। বগুড়া থেকে শুরু হলো। যেখানেই অভিযোগ পাওয়া যাবে, সেখানেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

১৩ এপ্রিল সকালে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ওএমএস ডিলার মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ত্রাণের ৭১০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করে দুদক। এছাড়া একইদিনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের কার্ড বিতরণের নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে দুদক। ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেকান্দার মিয়াকে পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়।