চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেছেন, পুলিশ সবসময় ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় থাকবে। সাদা পোশাকে পুলিশ কাউকে তল্লাশি করবে না। যদি কেউ পুলিশ বা ডিবি পরিচয়ে তল্লাশি করতে চায় তাহলে তার পরিচয় আগে নিশ্চিত হোন। কারণ ঈদ উপলক্ষে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ব্ল্যাকমেইল করতে চাইবে। এ ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকবেন।রবিবার ১২মে দুপুর ১২টায় জেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিং এর সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী ১৮ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমা এবং সামনের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সজাগ দৃষ্টিতে রয়েছে জেলা পুলিশের। প্রতি রবিবার প্রতিটি চার্চে মোতায়েন থাকবে পুলিশ। যাতে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের মত অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রত্যেকটি মার্কেটে কিছু প্রভাবশালী মহল চাঁদা দাবি করার অভিযোগ করেছেন হাটহাজারী উপজেলার চেয়ারম্যান রাশেদুল আলম। তার প্রতি উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন, কে চাঁদা দাবি করছে আপনিই তো ভাল বলতে পারবেন। মিটিংয়ে তাদের নাম প্রকাশ করলে তো আমাদের ধরতে সুবিধা হবে। আপনি আমাদের দেখিয়ে দিন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ঈদে পর্যটকদের যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্যে জেলা পুলিশের টিম সার্বক্ষণিক নজরদারী করবে বলেও জানান জেলা পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, সবাই যাতে নির্বিঘ্নে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারে সেজন্যে আমাদের টহল টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবেন। এবারের ঈদে কোন পুলিশ কর্মকর্তা ছুটি কাটাতে পারবেন না। পর্যটকসহ সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছিনতাইকারী সহ সকলে সক্রিয় হয়ে উঠে। যার জন্য বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এবং বড় বড় বাজারগুলো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রাণী, হাটহাজারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম, সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply