December 22, 2024, 8:33 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ঢাকা শহরে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান, দু-তিনদিনের মধ্যে তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে। নাটোরে সদর উপজেলার বড়হরিশপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে ডাকাতি। স্বৈরশাসক ও ফ্যাসিবাদের দোসর অস্ত্র ব্যবসায়ী দেলু নাঃগঞ্জ মহানগর তরুন দলের সদস্য সচিব ৫ আগস্টের পরে হচ্ছে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা, চলছে দেদার অর্থ উপার্জন, মামলার বাদীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে! মুচলেকা দিয়ে যশোরের মাদ্রাসায় ‘জঙ্গি নাটকের’ অবসান। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে সাদপন্থিদের নিষিদ্ধকরণ ও শাস্তির ‎‎দাবীতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল। ব্যাংক ডাকাতির মত ঘটনা যেন আর না ঘটে : মোমিন মেহেদী ভালুকায় ছিন্নমূল ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ ব্যাংক ডাকাতির মত ঘটনা যেন আর না ঘটে: মোমিন মেহেদী ইজতেমার ময়দানে হামলার বিচারের দাবিতে ভালুকায় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। একটি সেতুর অভাবে, লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি। বিএসএমএমইউর সাথে বারডেম একাডেমি ও টিচার্স এসোসিয়েশনের সভা অনুষ্ঠিত। বিজ্ঞান আশীর্বাদ ও অভিশাপ প্রথম এরোপ্লেন আবিষ্কারের কাহিনী রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের অসাধ্য সাধন। নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির তীব্র প্রতিবাদ বিএসএমএমইউতে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা সাউন্ডবাংলা-বিজয়ের কবিতা-ছড়া পাঠে ৫ বিজয়ী ভালুকায় নতুন ইউএনও’র যোগদান ভালুকায় বিএনপির বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত নতুনধারার ৪ দিনব্যাপী বিজয়শ্রদ্ধা কর্মসূচি সমাপ্ত আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন সাংবাদিক নুরুদ্দীন আহমেদ ভালুকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী আটক টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ৭১ এর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন। স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ জিয়ার মাজারে নাগরিক দলের শ্রদ্ধা সাদপন্থী শীর্ষ নেতাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা টঙ্গিবাড়ীতে শীতকালীন ক্রিকেট টুনামেন্টের উদ্ধোধন অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী কবি সংসদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নির্বাচিত। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী শুভেচ্ছা জানিয়েছে এনডিপি। তারেক রহমান বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলে লক্ষ জনতার স্রোত নামবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে হরিলুট !

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে হরিলুট !

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য নির্মিত ভবনে কেনা বালিশের মূল্য দেখে চোখ কপালে উঠেছে সমগ্র দেশবাসীর।

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওই ভবনের জন্য ১ হাজার ৩২০টি বালিশ কেনা হয়েছে। এদের প্রতিটির মূল্য দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর সেই প্রতিটি বালিশ নিচ থেকে ভবনের ওপরে তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা!

বালিশের পেছনে এমন অসংঙ্গতিপূর্ণ ব্যয়ের কথা গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।

প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, শুধু বালিশের বিষয়েই নয় প্রকল্পের আসবাবপত্র কেনার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসবাবপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে তোলার ব্যয়ে অসংঙ্গতি পাওয়া গেছে।

সরকারি আসবাপত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থ ব্যয়ের এমন অসংঙ্গতির ঘটনা ঘটিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের পাবনা জেলার পূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় মূল প্রকল্প এলাকার বাইরে হচ্ছে গ্রিনসিটি আবাসন পল্লী। সেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য ১১টি ২০ তলা ও ৮টি ১৬ তলা ভবন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২০ তলা ৮টি ভবন ও ১৬ তলা একটি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এই ৯টি ভবনে তৈরি হয়েছে ৯৬৬টি ফ্ল্যাট।

সেই ৯৬৬টি ফ্ল্যাটের জন্য আসবাবপত্র কিনেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে ২০ তলা একটি ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র কেনা ও তা ভবনে ওঠাতে সব মিলে ব্যয় দেখানো হয়েছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ হাজার ২৯২ টাকা।

ওই ১১০টি ফ্ল্যাটের জন্য কেনা টিভি, ফ্রিজ ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রো ওয়েভ কেনা হয়েছে। সেসব আসবাবের ক্রয় মূল্য ও সেগুলোকে ফ্ল্যাটে তুলতে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে তা রীতিমতো অস্বাভাবিক।

প্রকল্পের আসবাবপত্র কেনার নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায়, ৮৬ হাজার ৯৭০ টাকা করে ১১০টি টেলিভিশন ক্রয় করা হয় যার মোট মূল্য ৯৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকায়। আর সেসব টিভি ফ্ল্যাটে ওঠানোর খরচ দেখানো হয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

৯৪ হাজার ২৫০ টাকায় ১১০টি ফ্রিজ ক্রয় করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ সাড়ে ৭ হাজার টাকা। সেগুলোর প্রতিটি ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ৫২১ টাকা। সে হিসাবে ফ্রিজ ওঠাতে মোট খরচ ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৩১০ টাকা।

একইভাবে ১ লাখ ৩৬ হাজার ১১২ টাকা দরে মোট এক কোটি ৫০ লাখ টাকায় ক্রয় করা ১১০টি ওয়াশিং মেশিন ওঠাতে খরচ দেখানো হয় ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

প্রতিটি ইক্রোওয়েভ ওভেন কেনা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৭৪ টাকায় যার প্রতিটি ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ দেখানো হয় ৬ হাজার ৮৪০ টাকা করে।

এছাড়াও প্রতিটি কেটলি ভবনে ওঠাতে ২ হাজার ৯৪৫ টাকা, প্রতিটি ইলেক্ট্রিক আয়রন ফ্ল্যাটে ওঠাতে ২ হাজার ৯৪৫ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।

এরপর প্রতিটি চুলার ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ৭৪৭ টাকা। তা আর তা ওঠানোর খরচ দেখানো হয় ৬ হাজার ৬৫০ টাকা।

খাট, সোফা, টেবিল, তোশক, চেয়ারসহ জন্য অন্যান্য আসবাব ক্রয় ও এসব আসবাব ফ্ল্যাটে তোলার ক্ষেত্রেও বিপুল অর্থ ব্যয় দেখানো হয়েছে। ১১০টি ফ্ল্যাটের জন্য প্রতিটি খাট ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকায় কিনে মোট ব্যয় দেখানো হয়েছে ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার ২৭০ টাকা। আর প্রতিটি খাট ওপরে ওঠানের পেছনে খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা।

প্রতিটি সোফা কেনা হয়েছে ৭৪ হাজার ৫০৯ টাকায়, আর তা ওঠাতে খরচ হয় ২৪ হাজার ২৪৪ টাকা করে। ১৪ হাজার ৫৬১ টাকায় ক্রয় করা প্রতিটি সেন্টার টেবিল ওঠাতে খরচ দেখানো হয় ২ হাজার ৪৮৯ টাকা।

ছয়টি চেয়ারসহ ডাইনিং টেবিলের একেকটি সেট ক্রয় করা হয় ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৪ টাকায়, আর প্রতিটি ডাইনিং টেবিল ওঠানোর খরচ দেখনো হয় ২১ হাজার ৩৭৫ টাকা। একেকটি ওয়ারড্রব কিনে ফ্ল্যাটে ওঠাতে ১৭ হাজার ৪৯৯ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।

৩৩০টি মেট্রেস ও তোশকের ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। প্রতিটি তোশক ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়ে ৭ হাজার ৭৫২ টাকা করে। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে বালিশের ক্রয়মূল্য ও এসব বালিশ ওপরে তুলতে যে খরচ হয়েছে সে বিষয়টি।

নথিপত্রে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি বালিশ কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা দরে। মোট ১৩২০টি বালিশ কেনার পর প্রতিটি ওঠাতে খরচ দেখানো হয় ৭৬০ টাকা।

সব মিলে ২০ তলা ওই ভবনটির আসবাবপত্র ক্রয় ও ফ্ল্যাটে ওঠাতে বাবদ ব্যয় দেখানো হয়েছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ হাজার ২৯২ টাকা।

এমন অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়ে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিধিবিধান মেনেই কাজ করে থাকি। এখানে উন্মুক্ত দরপত্র দিয়ে মালামাল কেনাসহ অন্যান্য কাজ করা হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়মের সুযোগ নেই। সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই করা হয়েছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো: শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার আগেই এসব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাই কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো: শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিতে পড়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম। এরপর তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বিষয়ে এখনও জানতে পারিনি। বিষয়টির দ্রুত খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com