গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে ১২ বছরের এক শিশুকে নৃশংসভাবে খুন করে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ৬জুন রাতে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় অভিযুক্ত ইমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ইমন (১৯) ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের সুমন মিয়ার ছেলে। সে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে অটোরিকশা তৈরির কাজ শিখতো।
নিহত হৃদয় মিয়া (১২) কাওরাইদ ফকিরপাড়া গ্রাামের সেলিম মিয়ার সন্তান। সে মোড়লপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র।
শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এস আই) আশিষ কুমার জানান, নিহত হৃদয় মাঝে মধ্যে তার নানার অটোরিকসাটি নিয়ে আশেপাশের যাত্রী বহন করতো। ইমন অটো রিক্সার মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করে। ৬ জুন শনিবার সন্ধ্যায় ইমন রিক্সার ব্যাটারি কিনবে বললে হৃদয় তার সাথে যেতে রাজি হয়। তাকে নিয়ে নয়নপুর রোডে দরগারচালা এলাকায় মাঝের টেক নামক স্থানে গভীর জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে গাছের লতা দিয়ে মুখ বেধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ অল্প মাটিতে চাপা দিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ে বরমীর পাঠান টেক তোফায়েলের গ্যারেজে বিক্রি করতে নিয়ে যায়, সেখানে অটোরিকশাটি ৩৫ হাজার দাম ধরে ১ হাজার টাকা বায়না হিসেবে নেয় ইমন।
এর মধ্যে গ্যারেজের মালিক ইমনের মার সাথে ফোনে কথা বলে জানতে পারে ইমনের কোন অটোরিকশা নেই। তার মা গ্যারেজ মালিককে জানায় মনে হয় ইমন কারও রিকশা চুরি করে নিয়ে আপনার এখানে বিক্রি করতে নিয়ে গেছে। পরে ইমনের মা সহ কয়েকজন গ্যারেজে এসে জানতে পারে নিহতের পরিবারের রিকশা, এসময় ইমনকে রূদয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে সে জানায় হৃদয় এক জায়গায় রয়েছে। পরে তাকে নিয়ে হৃদয়কে খুজতে গেলে সে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। পরে মেম্বার সহ এলাকার লোকজনের চাপে পরে হৃদয়কে জঙ্গলে রেখে এসেছে বলে জানায়, পরে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন হৃদয়ের মরদেহ মুখ বাধা অবস্থায় মাথা মাটিতে পুতে রেখেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ও ঘাতক ইমনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply