নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুক এবং তার দোসর এসআই মোশারফ, এসআই রাজ্জাক ও এসআই মোমেন আলম, এদের সঙ্গে যোগসাজসে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় গড়েতুলেছেন একটি ভয়ংকর চাঁদাবাজি ও মাদক বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্য।
আমাদের গোপন তদন্তে বেরিয়ে আসে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় যে সকল মাদক উদ্ধার করা হয় তাহার অর্ধেক পরিমান জব্দ তালিকায় দেখিয়ে বাকি অর্ধেক ওসি কামরুল ফারুক তার দোসর উল্লেখিত এসআইদের সঙ্গে যোগসাজসে নিজস্ব তৈরিকরা মাদক কারবারিদের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন, যাহার ফলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এরিয়া পরিণত হয়ে উঠেছে একটি মাদক স্পট হিসেবে। এই এলাকায় যেখানে সেখানে হাতবাড়ালেই অতি সহজে পাওয়াযায় ইয়াবা, ফেন্সিডিলসহ সকল জীবন ধ্বংসকারী মাদক। যাহা ওসি কামরুল ফারুক ও তার দোসর এসআইদের সঙ্গে নিয়ে বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছেন এই মাদক বাণিজ্য।
আমাদের তদন্তে আরো বেরিয়ে আসে ওসি কামরুল ফারুক এসআই মোশারফের মাধ্যমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় গড়ে তুলেছেন একটি শক্তিশালী অবৈধ চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট। অত্র এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সম্পদশালী ব্যক্তিদের মামলা-হামলা, গ্রেফতার ও এনকাউন্টারের ভয় দেখিয়ে প্রতি মাসে আদায় করছেন কোটি কোটি টাকা। এসআই মোশারফ নিজেকে থানার সেকেন্ড অফিসার পরিচয় দিয়ে স্থানীয় ভুট্টো নামের এক সোর্সের মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও মাদক বাণিজ্য চালাচ্ছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের তদন্তে জানা যায় এসআই মোশারফ ভুট্টো নামের ওই সোর্সেকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছেন। এছাড়া আমরা আরো জানতে পেরেছি যে এসআই মোশারফ একজন ইয়াবা মাদক সেবী। তাকে এর আগেও ইয়াবা সেবনের অপরাধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থানা থেকে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু ওসি কামরুল ফারুক তার চাঁদাবাজি ও মাদক বাণিজ্যের বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে তাকে আবার স্বস্থানে নিয়ে আসেন। এসআই মোশারফকে যদি ডোপ টেস্ট করা হয় তবে তার মাদক সেবনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এছাড়া ওসি কামরুল ফারুক তার অন্য দুইজন বিশ্বত সহযোগী এসআই রাজ্জাক ও এসআই মোমেন আলমেরে যোগসাজসে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত দেওয়ানি মামলার তদন্তের নামে থানার ভিতরে একটি নিজস্ব আদালত বসিয়ে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্যের আখড়া বানিয়েছেন। তাদের এই নিজস্ব আদালতে নিরীহ জনগণের সম্পত্তি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঘুষের বিনিময়ে বুঝিয়ে দেন।
এছাড়াও ওসি কামরুল ফারুক সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সততার সঙ্গে কর্মরত এসআই ও এএসআইদের বলে থাকেন আগে টাকা কামাও পরে সততা দেখাও ! এই থানায় সততা দেখিয়ে কাজ করার সুযোগ নেই, এখানে যদি অর্ধেক মাদক বিক্রি এবং চাঁদাবাজি করতে না পারো তবে এই থানায় ডিউটি করার দরকার নেই ! যাহা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থানায় কর্মরত এসআই ও এএসআই দের জবানবন্ধীতে বেরিয়ে আসে !
এছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কর্মরত অফিসার ও কনষ্টেবলগন আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের এসপি মহোদয় ঈদ উপলক্ষে একবেলা ভালো খাবারের জন্য টাকা দিয়েছিলেন, সেই টাকাও আমাদের কোনোরকম খাবার দিয়ে পুরো টাকা মেরে দিয়েছে। এছাড়া সাংসদ সেলিম ওসমান সাহেবের পক্ষথেকে আমাদের দেয়া উপহারের টাকাও যত্সামান্য অল্প সংক্ষকদের দিয়ে বাকি টাকা এই ওসি মেরে দিয়েছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বসবাসরত নিরীহ জনসাধারণের দাবি, ভয়ঙ্কর চাঁদাবাজ এবং মাদক বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত ওসি কামরুল ফারুককে অনতিবিলম্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে অপসারণ করে আমাদের মুক্তি দেয়া হোক।
ওসি কামরুল ফারুকের চাঁদাবাজি ও মাদক বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ বরাবর আজ ২২ জুন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply