শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে পদ্মার গর্ভে উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া চেয়ারম্যান স্টেশন বাজারের ১৩ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভাঙন আতঙ্কে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বাজার থেকে আরও ২০টি দোকানঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। আর এ ভাঙনে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া চেয়ারম্যান স্টেশন বাজারে সোমবার (৬ জুলাই) গভীর রাতে ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে ওই বাজারের আরও ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীর পেটে গেছে। এ নিয়ে মোট ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে ইতোমধ্যে বাজারটির আরও ২০টি দোকানঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী দিদার সরকার বলেন, সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। সকালে বাজারে এসে দেখি আমার দোকানসহ আরও ৭টি দোকান বিলীন হয়ে গেছে। আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেল। আমি এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কী করে বাঁচব। দোকানের আয় ছিল আমার সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আল নাসীফ বলেন, উত্তর তারাবুনিয়া চেয়ারম্যান স্টেশন বাজারে ভাঙনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল স্রোতের কারণে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ফলে গত এক সপ্তাহে ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের দুই বান টিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবিব বলেন, গত কয়েকদিনে পদ্মার ভাঙনে তারাবুনিয়া স্টেশন বাজারের ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত ওই স্থানের ৩০০ মিটার এলাকায় ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে একটি প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply