টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ দ্বিতীয় দফায় অতিবর্ষণ ও অব্যাহত উজান থেকে আসা ঢলের কারনে টাঙ্গাইলের যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীসহ অভ্যন্তরীন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানির প্রবল চাপে বিভিন্ন পয়েন্টে নদী তীর ও নদী রক্ষা বাধ ভেঙ্গে তরিৎ পানি ঢুকে পড়েছে গ্রামীন জনপদে। ফলে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর, গোপালপুর, নাগরপুর, দেলদুয়ার ও বাসাইল উপজেলার প্রায় ১৬০টি গ্রাম নতুন করে বন্যা কবলিত হয়েছে। নদীসমুহের পানির প্রবল চাপে নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে আকষ্মাৎ পনি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।ফলে পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ।কাঁচা পাকা সড়ক ডুবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় যমুনার নদীর যোকারচড় পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলেশ্বরীর পানি এলাসিন পয়েন্টে বিপদ সীমার ১২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানিয়েছে।এছাড়াও ঝিনাই নদীর পানির প্রবল চাপে বাসাইল উপজেলার কামুটিয়া, আদাজান বিলপাড়া পয়েন্টের নদীর তীর ভেঙ্গে ফুলকি, কাশিল ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ঢুবে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে।
পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। নাগরপুরে একটি স্কুল নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। আরও ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নাগরপুরের সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকশা, মাইধাইল, নিশ্চিন্তপুর, কাঠালতলি গ্রামে দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এদিকে সদর উপজেলার কাকুয়া, মামুদ নগর, কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি, ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী, অর্জুনা ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানায়, জেলায় এখন পর্যন্ত টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, দেলদুয়ার, ভূঞাপুর, কালিহাতী ও গোপালপুর ২৬ টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
অপরদিকে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার আশিংক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে ৮৪ হাজার ৭১২ জন। ৬৬৫ টি ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আংশিক বিলীন হয়েছে ১৬২৪ টি ঘরবাড়ি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply