করোনাভাইরাস চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে র্যাবের কাছে আরও ১০টি অভিযোগ এসেছে। এ নিয়ে অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬০টিতে। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, সাহেদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ অভিযোগই প্রতারণার। সরকারি চাকরি ও বদলির কথা বলে টাকা আদায়, বালু ভরাট, রড, সিমেন্ট, বিটুমিন সরবরাহকারীকে টাকা না দেওয়া, ব্যাংক থেকে ঋণসংক্রান্ত অভিযোগ, রিকশাভ্যানের ভুয়া সনদ, হাসপাতালে অতিরিক্ত অর্থ আদায়। সাহেদ গ্রেফতারের পর ঢাকার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২০টি মামলা হয়েছে। এর বেশির ভাগই প্রতারণার।
এদিকে রিমান্ডের মাঝপথে গতকাল সকালে র্যাবে সাহেদকে হস্তান্তর করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সাহেদ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে গোয়েন্দা পুলিশই এ মামলার তদন্ত করে আসছিল। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলার দায়িত্ব র্যাবকে দেওয়ায় তাদের হাতেই সাহেদকে তুলে দেওয়া হলো। সাহেদ ১০ দিনের রিমান্ডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে ছিলেন। ডিবিতে রিমান্ডের ছয় দিন শেষে বাকি চার দিন সাহেদ র্যাবের হেফাজতে থাকবেন। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপপরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম বলেন, ‘মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে র্যাবের কাছে ১৬০টি অভিযোগ এসেছে। এর ১৩৯টি এসেছে ফোনের মাধ্যমে, বাকিগুলো ইমেইলের মাধ্যমে লিখিত আকারে। অধিকাংশ অভিযোগই প্রতারণার। আমরা অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখছি।
’র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে সাহেদকে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। র্যাবই এখন এ মামলার তদন্ত করবে। তিনি আরও জানান, সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অস্ত্র ও জাল টাকার মোট তিনটি মামলা হয়েছিল উত্তরা পশ্চিম থানায়। প্রতারণার মামলাটি র্যাবকে দেওয়া হয়েছে। বাকি দুটির তদন্তভারও আমরা চাইব। গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply