শায়েখ আহমাদুল্লাহ’র কাছে ক্ষমা না চাইলে জামাত/বিএনপি কর্মী বলে নাশকতার মামলা দেয়ার হুমকী!
নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভূমি পল্লী জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের বিতর্কিত খতিব ও ভূল ফতোয়া প্রদানকারী লা মাজহারী মতাদর্শের প্রবক্তা শায়েখ আহমাদুল্লাকে খতিব পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান ও নামাজের পর সম্মিলিত মোনাজাত চালুর দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করায় জিয়াউল হক ভূইয়াকে ১ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে নতুবা নারায়ণগঞ্জ ছাড়ার হুমকি দিয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুক।
নইলে জামায়াত বিএনপির কর্মী বলে নাশকতার মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে জানান সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদানকারী জিয়াউল হক ভূইয়া। মামলা ও হয়রানির ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভূমি পল্লী জামে মসজিদের সাবেক সদস্য জিয়াউল হক ভূইয়া ও জাহাঙ্গীর হোসেন।
বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে জিয়াউল হক ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার রাত ৯ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই সাঈদ আমাকে ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে চা খাওয়ার কথা বলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ডেকে নেন। পরে ওসি কামরুল ফারুকের রুমে নিয়ে যান। ওসি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তুই ১ ঘন্টার মধ্যে শায়খ আহমাদুল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইয়া মিলেমিশে থাকবি। তুই ১নং ওয়ার্ড যুবদল করছ। তোর ঘরে বিধবা বোন আছে। তোরে জামাত বিএনপি নাশকতা মামলায় চালান কইরা দিমু সহ অল্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার সাথে যাওয়া জাহাঙ্গীর হোসেন কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি কখনো কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলামনা। আহমাদুল্লাহর অনুসারী আলমগীর হোসেন গংদের বিরুদ্ধে গত ২ মে ২০২০ ইং তারিখ জিডি নং ৮৩ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করি। এরপর হতে আরো বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আহমাদুল্লাহ।
কারন আমরা দুইজন ভূল ফতোয়া প্রধান কারী আহমাদুল্লাহ এর বিরুদ্ধে থানায় সহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ওসি কামরুল ফারুকের মিথ্যা মামলার হুমকিতে পরিবার পরিজন ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
শনিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টায় শহরের সিনামন হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন জিয়াউল হক ভূইয়া।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.কামরুল ফারুকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply