টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে মোবাইলকোর্ট পরিচালনাকালে এক্স্রিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেটকে সরকারী কাজে ববাধাপ্রদানের অভিযোগে বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান চৌধুরী হবিকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জরি করা হয়েছে। বুধবার (২৯ জুলাই) বিকেলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামছুন নাহার স্বপ্না এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান কর্তৃক অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে হুমকি প্রদান করায় জেলা প্রশাসক টাঙ্গাইল বর্ণিত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন; যেহেতু টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মো. হাবিবুর রহমান কর্তৃক অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে সরকারিকাজে বাধা প্রদান এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে হুমকি প্রদান করায় তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে; সেহেতু টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মো. হাবিবুর রহমান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) অনুযায়ী উল্লিখিত ইউপি চেয়ারম্যানকে তার স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
এ ব্যাপারে সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরোদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। আমি আমার জজীবনে কখনো ড্রেজারের ব্যবসা করিনি। আমি এলাকার জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য ডুমনীবাড়ি বাজার থেকে দাড়িয়াপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা জন চলাচলের উপযোগি করারলক্ষ্যে তিন দিনের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে ইউএনও মহোদয়ের অনুমতিক্রমে রাস্তায় মাটি ফেলার জন্য ড্রেজার ব্যবহার করি। চতুর্থদিনে সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসে ঐ ড্রেজারটি ভাংচুড় করেন। এ সময় আমি এসিল্যান্ড মহোদয়কে শুধু বলেছি উপজেলায় অনেক ড্রেজার মাসিক মাসুহারা প্রদানের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে চলে সে গুলো দেখেন না আর আমি রাস্তায চলাচলের জনদুর্ভোগ নিরসনের লক্ষ্য মাত্র তিনদিন ডেজারটা ব্যবহার করলাম আর আপনি ক্ষমতা খাটিয়ে ভেঙ্গে দিলেন?? এ সময় তিনি চড়াও হয়ে আমাকে দেখে নিবে বলে চলে যান। পড়ে তিনি ঘটনাটি ইউএনও মহোদয়কে জানালে তিনি আমাকে অফিসে যেতে বললে আমি হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাপরে সৌজন্যবোধের দৃষ্টিকোণ থেকে দুঃখ প্রকার করেও এসেছি তার পরেও তিনি অভিযোগ দিয়েছেন। ফেসবুকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে অবগত হয়েছি।এখনো লিখিত কোন নির্দেশনা পাইনি।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন বাসাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে এলাহী জেলা প্রশাসক বরাবর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী হবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি লিখিত আবেদন করেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply