May 3, 2024, 1:47 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
ভালুকায় মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। ভালুকায় তীব্র তাপদাহে সর্বসাধারণের মাঝে পানি ও খাবার সেলাইন বিতরণ। আইবি বাংলো’র অর্থ আত্নসাতকারী সাইফুজ্জামান চুন্নু ধরাছোঁয়ার বাইরে বেনাপোলে বাস চাপায় নিহত ১ গুরুতর আহত ১। যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু। রাজশাহী মহানগরীর কুখ্যাত মাদক সম্রাট রাব্বি খাঁ আটক ভালুকায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার নিজকাটা খালে ভাসছে টর্পেডোর আকৃতির একটি বস্তু। জার্নালিস্ট ইউনিটি সোসাইটি (জেইউএস) এর প্রকাশিত “ত্রিমোহনা” সহ নিজের লিখা ও সম্পাদিত বেশকিছু ব‌ই মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে উপহার দিলেন। ত্রিশালে ডাকাত দলের তিন সদস্য আটক। বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণসভা ওঅসচ্ছল পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা বিতরণ। টংগিবাড়ী বাজারের পাশে ময়লার ভাগার ঝুঁকিতে পরিবেশ ও জনসাস্থ্য। টংগিবাড়ী উপজেলা প্রশাসন কতৃক তীব্র তাপদাহে সুপেয় পানির ব্যাবস্থা। বেনাপোল বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় ভারত থেকে আমদানিকৃত ৩৭০ টন আলু পচন ধরতে শুরু করেছে। ভালুকায় তীব্র তাপদাহে সর্বসাধারণের মাঝে পানি ও খাবার সেলাইন বিতরণ। ভালুকায় দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে বাবার মৃত্যু। তীব্র গরমে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাবার সেলাইন বিতরণ করলেন ওসি কামাল। ভালুকায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন স্মারক লিপি প্রদান। ঈদগািঁও উপজেলা নির্বাচনে তিনটি পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ১৭ জন প্রার্থী। ময়মনসিংহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভালুকা মডেল থানা শ্রেষ্ঠত্ব। ভালুকায় ল্যান্ডমার্ক সিটি পার্টি সেন্টার উদ্বোধন। যশোরে ইরি (বোরো)ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কার্যক্রমে অপরাধজনক কোন ঘটনা ঘটেনি ময়মনসিংহ শিল্প এলাকায়। ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক গ্রেফতার, অত:পর মুক্তি রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অবৈধ ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় প্রতিবেশীর উপর হামলা আহত ৩ রমেকে ভর্তি। দেশব্যাপী তিন দিনের সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। ভাবির ছবি এডিট করে নগ্ন ভাবে প্রচার করায় আটক দেবর। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা।

রংপুরের গঙ্গাচড়ার বিনা দোষে ছয় বছর কনডেম সেলে মাজেদা।

রংপুরের গঙ্গাচড়ার বিনা দোষে ছয় বছর কনডেম সেলে মাজেদা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রংপুরের গঙ্গাচড়ার গৃহবধূ মাজেদা বেগম বিনা দোষে সন্তানসহ ছয় বছর রয়েছেন কনডেম সেলে। ধর্ষণ ও ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে পুলিশ তাকে মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছিল। এর ভিত্তিতে শিশু রুম্মান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। মামলাটি ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য এলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বুধবার তাকে খালাস দেন। এখন তিনি কারামুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।

ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেছেন মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন গৃহবধূ মাজেদা বেগম। জবানবন্দি মিথ্যা প্রতীয়মান হওয়ায় বুধবার ফাঁসির আদেশ থেকে তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

সূত্রমতে, গঙ্গাচড়া থানার ঠাকুরদহ মন্দিরপাড়া এলাকায় ২০০৭ সালের ৩ জুলাই রুম্মান নামে এক শিশু খুন হয়। ১০ জুলাই হত্যাকারী সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় পাশের বাড়ির গৃহবধূ মাজেদা বেগমকে। গ্রেফতারের পর বেআইনিভাবে মাজেদাকে ২ দিন থানায় আটকে রেখে ১২ জুলাই আদালতে হাজির করা হয়। শিশুটিকে ‘গলাটিপে হত্যা’র কথা স্বীকার করে সেদিনই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। দীর্ঘ আট বছর পর ২০১৫ সালের ৭ মে মাজেদাকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। তার কোলে তখন ১৩ মাসের সন্তান।

সূত্র জানায়, রায়ের দিন ওই শিশুসন্তানকে কোলে নিয়েই আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন মাজেদা। ফাঁসির আদেশ হওয়ায় মৃত্যু পরোয়ানার বোঝা মাথায় নিয়ে তাকে কারাগারে যেতে হয়। এ সময় আদালতের নির্দেশে শিশু মারুফকে নিয়েই মৃত্যুকুঠরিতে ঢোকেন মাজেদা। এখনও তারা সেখানেই রয়েছেন।

সূত্র জানায়, ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে এলে নথি দেখে খটকা লাগে উচ্চ আদালতের। কারণ, ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে মাজেদা ‘গলাটিপে শিশুটিকে হত্যা’র কথা স্বীকার করলেও, সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে গলায় রশি প্যাঁচিয়ে রুম্মানকে হত্যার কথা বলা হয়। শুধু তাই নয়, শ্বশুরকে ফাঁসাতে এই হত্যা করেছিলেন বলে জবানবন্দিতে ‘স্বীকার’ করেন মাজেদা। প্রশ্ন উঠেছে, শ্বশুরকে ফাঁসাতে চাইলে খুন করে লাশ তার বাড়িতেই রাখতে পারতেন মাজেদা। তা না করে কেন লাশটি পরিত্যক্ত মন্দিরে নিয়ে গেলেন?

মাজেদার জবানবন্দির গুরুতর এ ত্রুটি উঠে আসে উচ্চ আদালতের সামনে। তখন জানা যায়, পুলিশ তাকে ধর্ষণ ও তার সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে। পরে বিষয়টি সামনে এনে আদালতের কাছে এই জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনও করেছিলেন মাজেদা। তবে বিচারিক আদালত তা আমলে না নিয়ে তাকে ফাঁসির আদেশ দেন।

১৩ মাস বয়সে শিশু মারুফ মায়ের সঙ্গে ঢুকেছিল কনডেম সেলে। এখন তার বয়স ৬ বছর। নিরপরাধ হয়েও মায়ের সঙ্গে সঙ্গে তার জীবন থেকেও চলে গেছে ৫টি বছর।

নিরপরাধ স্ত্রীর কারাভোগের জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার চেয়ে মাজেদার স্বামী সাজু মিয়া বলেছেন পুলিশ প্রশাসন যদি সঠিকভাবে তদন্ত করত, তাহলে আমার নিরপরাধ স্ত্রী ও সন্তানের এই শাস্তি পেতে হতো না। ছয়-সাত বছর ধরে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, আমি প্রশাসনের কাছে তার ক্ষতিপূরণ চাই।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com