May 6, 2024, 11:00 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
এড. এজে মোহাম্মদ আলীর দাফন সম্পন্ন সুন্দরবনের আগুন এখনও জ্বলছে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছালেও আগুনের কাছে যেতে পারেনি। সুন্দরবনের আগুন, নেভানোর চেষ্টায় বন কর্মীরা। যশোর পরকীয়া রহস্য প্রেমিকার পরিকল্পনায় খুন, অবশেষে গ্রেফতার দুই। আনোয়ার হোসেন।নিজস্বপ্রতিনিধিঃ পরীক্ষার খাতায় মার্কস বেশি পেতে যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব শিক্ষিকার। যশোর ও নড়াইল মহাসড়কের পিচ গলার ঘটনার তদন্তে দুদক। আরজেএফ’র উদ্যোগে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সাংবাদিক বাদলকে হুমকি ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ৩ জনকে আসামী করে অভিযোগ ভালুকায় পথচারীদের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রেজাল্ট ১২ মে রবিবার। ভালুকায় মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। ভালুকায় তীব্র তাপদাহে সর্বসাধারণের মাঝে পানি ও খাবার সেলাইন বিতরণ। আইবি বাংলো’র অর্থ আত্নসাতকারী সাইফুজ্জামান চুন্নু ধরাছোঁয়ার বাইরে বেনাপোলে বাস চাপায় নিহত ১ গুরুতর আহত ১। যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু। রাজশাহী মহানগরীর কুখ্যাত মাদক সম্রাট রাব্বি খাঁ আটক ভালুকায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার নিজকাটা খালে ভাসছে টর্পেডোর আকৃতির একটি বস্তু। জার্নালিস্ট ইউনিটি সোসাইটি (জেইউএস) এর প্রকাশিত “ত্রিমোহনা” সহ নিজের লিখা ও সম্পাদিত বেশকিছু ব‌ই মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে উপহার দিলেন। ত্রিশালে ডাকাত দলের তিন সদস্য আটক। বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণসভা ওঅসচ্ছল পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা বিতরণ। টংগিবাড়ী বাজারের পাশে ময়লার ভাগার ঝুঁকিতে পরিবেশ ও জনসাস্থ্য। টংগিবাড়ী উপজেলা প্রশাসন কতৃক তীব্র তাপদাহে সুপেয় পানির ব্যাবস্থা। বেনাপোল বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় ভারত থেকে আমদানিকৃত ৩৭০ টন আলু পচন ধরতে শুরু করেছে। ভালুকায় তীব্র তাপদাহে সর্বসাধারণের মাঝে পানি ও খাবার সেলাইন বিতরণ। ভালুকায় দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে বাবার মৃত্যু। তীব্র গরমে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাবার সেলাইন বিতরণ করলেন ওসি কামাল। ভালুকায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন স্মারক লিপি প্রদান। ঈদগািঁও উপজেলা নির্বাচনে তিনটি পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ১৭ জন প্রার্থী। ময়মনসিংহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভালুকা মডেল থানা শ্রেষ্ঠত্ব।

ভেদরগঞ্জে মধ্যযোগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

ভেদরগঞ্জে মধ্যযোগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

রাকিব হোসেন, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার এক প্রতিবেশী শের আলী সরদার এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মধ্যযোগীয় কায়দার নির্যাতন করেন। মুক্তিযোদ্ধার বাবার নামে বসত বাড়ির দলিল ও রেকর্ড থাকলেও প্রভাবশালী ওই প্রতিবেশীর দায়ের করা একের পর এক দন্ড বিধি, ফৌজদারী, কার্যবিধি ও দেওয়ানী মামলার আসামী হয়ে নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন ওই পরিবারটি।

দীর্ঘ দিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী শের আলী সরদার নামে এই ব্যক্তির দ্বারা শুধু মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলাই নয় শারিরিক ও মানষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অসহায় জীবনযাপন করছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারীর পরিবার। শের আলী সরদারের দায়ের করা প্রতিটি মামলা আদালত থেকে এই মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে রায় দেওয়া সত্ত্বেও মালিকানা জমিতে ঘর তুলতে পারছে না মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল। এমনকি একটি গাছ লাগানো বা কাটতেও পারছেন না তিনি। বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য একটি ঘরে স্ত্রী-সন্তান ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে নিকৃষ্ট জীবন যাপন করছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। এই নির্যাতনের বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকেও মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে শের আলী। জনশ্রুতিও রয়েছে শের আলী সরদার সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ ও অবৈধ ব্যবসার দায়ে একাধিকবার জেল জরিমানার শিকার হয়েছেন। এর পরেও তার নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারসহ এলাকার প্রতিবেশীদের।

কান্না জড়িত কন্ঠে সকল নির্যাতনের কথা দুসস কে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। তবে আব্দুল জলিল বেপারীর অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে শের আলী তার পৈত্রিক জমি ফিরে পেতে একের পর এক মামলা করেছে বলে শিকার করেছে।
এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার সদ্য যোগদান কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। আমি খোঁজ খবর নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কে প্রয়োজনীয় আইনগত সহযোগীতা করবো।

মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও মামলার সূত্রে জানাগেছে, শরীয়তপুর জেলাধীন ভেদরগঞ্জ উপজেলার কোড়ালতলী গ্রামের মু্িক্তযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারীর পিতা সিকিম আলী বেপারী। সিকিম আলী বেপারী একই এলাকার করিম বকস হাওলাদর ও রহিম বকস হাওলাদারের কাছ থেকে কোড়ালতলী মৌজার ৪২৩ নং দাগের ৪০ শতাংশ জমি থেকে ১৯৫৩ সালে সাব কবলা ১২৭ নং দলিল ও ১৯৫৫ সালের ৩৯১৫ নং দলিলের মাধ্যমে ২৭ শতাংশ জমির মালিক হয়। একই দাগের অপর ১৩ শতাংশ জমি আব্দুল মজিদ হাওলাদার এর কাছ থেকে ১৯৫৫ সালের একই দিন দলিল করে মালিক হয় শের আলী সরদারের পিতা তৈয়ব আলী সরদার। পরবর্তীতে এসএ রেকর্ডে সেই সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারী পিতা সিকিম আলী বেপারী ও শের আলী সরদারের পিতা তৈয়ব আলী বেপারীর নামে রেকর্ড হয়। রেকর্ডের মন্তব্যের কলামে ভুল বসত শের আলী সরদারের পিতার নামে সমুদয় ৪০ শতাংশ জমি দেখানো হয়। তার পরে কালক্রমে সেই জমি বাংলাদেশ সরকারের নামে চলে যায়। ১৯৮০ সালে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারীর পিতা সিকিমালী বেপারী ও শের আলী সরদারের পিতা তৈয়ব আলী সরদার সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসককে বিবাদী করে দেওয়ানী ৬৫ নং মামলা দায়ের করেন। ১৯৮৪ সালে সেই মামলায় আদালত সিকিমালী বেপারী ও তৈয়ব আলী সরদারের পক্ষে রায় ঘোষণা করেন। সেই থেকে দির্ঘ ২৮ বছর পরে তৈয়বালী সরদারের ছেলে শের আলী সরদার সিকিমালী বেপারীর পুত্র মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারীকে বিবাদী করে দেওয়নী ০৮/২০১৪ নং মামলা দায়ের করে সমুদয় জমি দাবি করে। সেই মামলার রায়ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারীর পক্ষে যায়। তারপর থেকেই শের আলী সরদার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি একাধিক দেওয়ানী, ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় ও দন্ডবিধি আইনে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। সেখানেই থেমে থাকেনি শের আলী সরদার, ভাড়াটে সন্ত্রাসী, নিজে ও তার সন্তানদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের উপর নির্যাতনও করেছেন একাধিকবার। এই বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও থানা পুলিশ একাধিক শালিশ দরবার করে বিরোধ মিমাংসার সিদ্ধান্তে পৌঁছে। কিন্তু শের আলী সরদার শালিসদের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে পুনরায় মামলা মোকদ্দমায় জড়ায়।

বিরোধ মিমাংসার শালিস শাহ আলম হাওলাদার দুসস কে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার প্রতিবেশী হাজী নুরুল ইসলাম হাওলাদার (৮০), নুরুল ইসলাম সরদার (৭৫), স্কুল শিক্ষক মোশারফ হোসেন (৫০) নামের ব্যক্তিরা বলেন, মুক্তিযোদ্ধার বসত বাড়ি সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। এখানে তার বাড়ি-ঘর ও বাবা-মায়ের কবরও আছে। জমির কাগজপত্র ও মালিকানা সবই সঠিক। তবুও শের আলী নামে তার প্রতিবেশী একের পর এক মামলা করে হয়রানী করছে। আদালত কাগজপত্র দেখে জলিল বেপরীর নামে জমির রায় দেয় আদালত। কারণ কাগজপত্র হলো জমির বাবা-মা। তবুও শের আলী সরদার এই নিরীহ পরিবারটিকে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে, শারিরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। প্রতিবাদ করলেই শের আলী মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। শের আলী একজন জুলুমবাজ, চরিত্রহীন, এবং তার হোটেল ব্যবসার মাধ্যমে নারী কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত রয়েছে অভিযোগ রয়েছে। শের আলীর একের পর এক মিথ্যা মামলা করায় এবং হামলার ভয়ে মুক্তিযোদ্ধা জলিল বেপারী তার ভিটিতে ঘর তোলতে পারছে না।

মুক্তিযোদ্ধা জলিল বেপারীর ছেলে সালাউদ্দিন, আলাউদ্দিন ও মেয়ে নাজমা জানায়, বৃদ্ধ বয়সে তার পিতা-মাতা আর কত মার খাবে, দেশ ও জাতির কাছে তাদের প্রশ্ন। নির্যাতন সহ্য করার জন্যইকি তার বাবা জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছেন? অন্যায় জুলুমের কাছে কি তাহলে মুক্তিযোদ্ধার নীতি আদর্শ পরাজিত হবে?

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বেপারী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছি। শত্রুবাহিনীদের পরাজিত করে দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু নিজ ভুমিতে নিজেই পরাধীনের মত বসবাস করতে হচ্ছে। আমি কোথাও ন্যায় বিচার পাই না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকার প্রধানের কাছে ন্যায় বিচার দাবী করছি।

শের আলী সরদার বলেন, আমাদের রেকর্ডীয় জমিতে মুক্তিযোদ্ধা জলিল বেপরী সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখল করছে তাই আমি মামলা করেছি। আমার নামেও জলিল বেপারী একাধিক মামলা করেছে। জলিল বেপারী যে মামলায় আদালত থেকে রায় পেয়েছে, সে রায়ের বিরুদ্ধে আমি আপিল করেছি।

এই বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, আমার কাছে মুক্তিযোদ্ধা আ. জলিল বেপারী একটা মৌখিক অভিযোগ করেছে। শুনেছি এই জমি নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com