এম শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ বৈরি আবহাওয়ায় টাঙ্গাইলের পুজা মন্ডপগুলোতে ভাটা পড়ে ছে উৎসবের আমেজের। গেল বুধবার থেকে পঞ্চমীর ঘট বসার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। আর পুঁজা শুরুর দিন সকাল থেকেই টাঙ্গাইলে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। ষষ্ঠী ও সপ্তমী পূজাতে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারেনি। আকাশে কালো মেঘ জমে আছে। বৃষ্টির সাথে বইছে দমকা হাওয়া। শীতের আগমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পূজারী ও ভক্তদের মাঝে পূজার উৎসবের আমেজ ম্লান হতে চলেছে। আবহাওয়ার যে পূর্বাভাস তাতে পূজা শেষ হওয়া পর্যন্ত এ বৈরী আবহাওয়া চলমান থাকতে পারে বলে জানা গেছে।
এমনিতেই মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সর্বত্র সীমিত পরিসরে উদযাপন হচ্ছে এবারের পূজা। প্রতিবছরের ন্যায় পূজা মন্ডপগুলোতে প্যান্ডেল তৈরি, আলোকসজ্জা, আতশবাজি, ঢাকের বাজনা, মাইক ও সাউন্ডবক্স বাজানোতে মানা হয়েছে সরকারি নির্দেশনা।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন সড়কে বৃষ্টির পানি জমে ভোগান্তিতে পড়েছে প্রতিমা দেখতে আসা দর্শনার্থীরা।
জেলায় এক হাজার ৩১ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ১৮৭, কালিহাতীতে, ১৩৪, ঘাটাইলে ৪৪, মধুপুরে ৪৮, ধনবাড়ীতে ২১, গোপালপুরে ৪১, ভূঞাপুরে ৩৭, মির্জাপুরে ২০৯, বাসাইলে ৪০, সখিপুরে ২৯, দেলদুয়ারে ১২১ এবং নাগরপুরে ১২০ টি মন্ডপে পুঁজা উদযাপন হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে জেলার কয়েকটি পূজামন্ডপ ঘুরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের কারনে মন্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনী, আয়োজক ও পুরোহিত ছাড়া কোন দর্শনার্থী চোঁখে পড়েনি। কোনো ভক্ত না আসায় পূজার আমেজে পড়েছে ভাটা।
পুঁজারিরা জানান, প্রতি বছর দুর্গাপূজায় হাজারো দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে আমারা আনন্দ পাই। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে অনেক কিছু মেনে পূজা করতে হচ্ছে। তাছাড়া গত তিনদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় পূজার তেমন কোন আমেজ নেই বলে তারা জানান।
নাগরপরের হরিভক্ত পাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি বিকাশ সাহা বলেন, এ বছর সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি বছর দুর দুরান্ত থেকে ভক্তরা আসেলও এ বছর করোনা মহামারির সাথে বৈরী আবহাওয়ার কারনে ভক্তদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আনন্দ মোহন দে বলেন, মহামারি করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা করছি। তার উপর আবহাওয়ার বৈরী আচরনের কারনে এবার পুঁজার আমেজ তেমনটা মনে হচ্ছে না।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply