এম শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃস্বার্ণালঙ্কার পানিতে ভিজিয়ে তাতে ঝাড়ফুঁক দিয়ে দিলে সেই পানি পান করলে গর্ভে সন্তান আসবে। নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণার এমন ফাঁদ তৈরি করেছে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র। প্রতারণার এমন ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী গ্রামের নয়ন মিয়ার বাড়িতে।
২০১০ সালে নয়নের মেয়ে লাইলীর বিয়ে হয় উপজেলার পাঁচটিকড়ি গ্রামের রুবেল মিয়ার সঙ্গে। দীর্ঘ দশ বছর তাদের বিবাহিত জীবন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সন্তান হয়নি। একটি সন্তানের জন্য দিশেহারা হয়ে পড়ে লাইলী ও তার স্বামী রুবেল। এরই সুযোগ নিয়েছে মধ্যে বয়সী এক প্রতারক নারী।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে হঠাৎ করেই নয়ন মিয়ার বাড়িতে উদয় হয় অপরিচিত মধ্যে বয়সী এক নারীর। সে নিজেকে অনেক বড় কামেল ও বুজুর্গ বলে পরিচয় দেন। যাদের গর্ভে সন্তান আসে না তাদের গর্ভে সন্তান আয়নায়, শরীল বন্ধক, বিভিন্ন বশি করন ভেঙে দেয়া, বিভিন্ন গোপন ও জটিল রোগ জার ফুকের মাধ্যমে সমাধান করতে পারেন তিনি।
তার এসব কথা সরল মনে বিশ্বাস করে প্রতারণার শিকার হন নয়ন মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম এবং মেয়ে লাইলী। মরিয়ম ও লাইলীর কাছ থেকে এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও তিন ভরি রুপা নিয়ে কৌশলে চলে যায় সেই প্রতারক নারী।
এ বিষয়ে লাইলী ও তার মা মরিয়ম বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে অপরিচিত নারী আমাদের বাড়িতে আসেন। সে আমাদেরকে বলেন তোমাদের ব্যবহারের স্বর্ণালঙ্কার পানিতে ভিজিয়ে তাতে আমি জার ফুক দিয়ে দিবো, সেই পানি পান করলে তোমার মেয়ে লাইলীর গর্ভে সন্তান আসবে। আমরা তার এসব কথা বিশ্বাস করে আমাদের ব্যবহারের প্রায় এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও তিন ভরি রুপা তার কাছে দেই।
সে স্বর্ণালঙ্কার পানি ভর্তি একটি কলসিতে রেখে গামছা দিয়ে কলসির মুখ বন্ধ করে কলসিতে ঝাড়ফুঁক করতে থাকে। ঝাড়ফুঁকের এক পর্যায়ে কখন স্বর্ণালঙ্কার নিজের ব্যাগে তুলে নিয়েছে আমরা বুঝতেই পারিনি।
সন্ধ্যায় কলসির মুখ খুলে স্বর্ণালঙ্কার বের করে সেই পানি পান করতে হবে। এসব কথা বলে তিনি চলে যায়। তার কথা মতো আমরা সন্ধ্যায় কলসির মুখ খুলে দেখি সেখানে কোনো স্বর্ণালঙ্কার নেই। পরে আশেপাশে অনেক খুঁজাখুঁজির করি, কিন্তু ঐ নারীকে আর কোথাও দেখতে পাইনি।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে এ ধরণের কোন অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply