বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি’র আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার ২৩ ডিসেম্বর সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, জনজীবনের অবস্থা সরকারকে বুঝতে হবে। জনজীবনের অবস্থা বিবেচনায় না নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কেউ জনগণের সমস্যাগুলা দূর করার জন্য বক্তব্য প্রকাশ করেন। এইসব বক্তব্য প্রধানত সর্বজনীন কল্যাণে না হয়ে অল্প কিছু লোকের স্বার্থ হাসিলের বক্তব্য। এইসব বক্তব্য বাস্তবের বিবেচনায় আংশিকভাবে অল্প সংখ্যক লোকের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মতরূপে অনুভূত হয়। সেজন্য এইসব দলের পিছনে যে বক্তব্য প্রচার করা হয়, তাতে জনগণ অল্পই আকৃষ্ট হয়। জনগণের কল্যাণে কাজ করার মত কোনো নেতৃত্ব দেশে নেই। চলমান রাজনীতি ও নেতৃত্ব জনগণের সমর্থন অল্পই লাভ করে। জনগণ সর্বজনীন স্বার্থে নতুন রাজনীতি, নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব চায়। যারা এখন নতুন নেতৃত্বের দাবিদার এবং জনগণের নেতা হিসেবে সামনে আসেন তাদের নেতৃত্ব সর্বজনীন কল্যাণে জনগণের নেতৃত্বরূপে অনুকূল নয়। বাংলাদেশের জন্য সর্বজনীন কল্যাণে চিন্তা করেন এমন নেতা খুঁজে পাওয়া যায় না। বদরুদ্দিন ওমর এবং আবুল কাসেম ফজলুল হকের রাজনীতি জনগণের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়। জনগণের মধ্যে দেখা যায়, এই ধারার নেতৃত্বকে কার্যকর করার জন্য নতুন রাজনৈতিক দল এবং তরুণদের ভিতর থেকে রাজনৈতিক দলভিত্তিক নেতৃত্ব আশা করেন। আমরাও এই ধারায় চিন্তার গুরুত্ব বুঝতে পারি। নেতৃত্ব সৃষ্টি করার জন্য সারাদেশে যারা পত্রপত্রিকা পড়েন সারাদেশের সেই বক্তব্যকে বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ আরো আশা করেন। উপদেষ্টা পরিষদ এবং রাষ্ট্রপতির পক্ষ যে চিন্তাধারা ও কার্যধারা চালানো হচ্ছে তার ধারায় দল ও নেতৃত্ব অপরিহার্য বলে অনেকেই মনে করেন। বাংলাদেশে চলমান বাস্তবতায় যে নেতৃত্ব গড়ে তোলা দরকার তার জন্য দেশের সমগ্র জনগণের সক্রিয়তা দরকার, চিন্তা দরকার এবং চিন্তা দ্বারা পরিচালিত চিন্তা ও কাজ দরকার। রাজনীতিকে গড়ে তুলতে হবে সম্পূর্ণ নতুন রাজনীতি ও রাজনীতিক নেতৃত্বের দ্বারা। যে উপদেষ্টা মন্ডলীর দ্বারা এখন পরিচালিত হচ্ছে তার মেয়াদ অনেক দীর্ঘ করা উচিত হবে না। অতীতের এই ধরনের রাজনৈতিক অবস্থা কখনো কখনো ঘটেছে। কিন্তু তাতে বাংলাদেশের রাজনীতির উন্নতি হয়নি। দেশের রাজনীতির অন্তত গত ১০০ বছরের ইতিহাস বিবেকবান সচেতন সকলেরই বিচার-বিশ্লেষণ এনে ১০০ বছরের ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে নতুন পরিকল্পনা, পরিকল্পনার ধারায় কর্মসূচি ও কর্মনীতি উদ্ভাবন করে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে সামনে এগোতে হবে। দলভিত্তিক আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের পরিচ্ছন্ন বক্তব্য এখন যুগের দাবি হিসেবে সামনে আনতে হবে। উপদেষ্টা পরিষদ সবকিছু করে দিবে এবং রাজনৈতিক নেতারা তার সুফল ভোগ করবেন এটা আশা করা একান্তই ভুল। ছাত্র-তরুণদের মধ্যে যে রাজনীতিক চিন্তা ও রাজনীতিক কর্মধারা দেখা যাচ্ছে, তাতেও সর্বজনীন কল্যাণে বিকশিত করা ও উন্নতিশীলরূপ দেয়া দরকার। অতীতে যখন অচল অবস্থা দেখা গিয়েছে তখন অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষমতা লাভ করে রাজনীতিক নেতৃত্ব সফলতা লাভ করেনি। এই অবস্থায় বিচার-বিবেচনায় নিয়ে অভিষ্ট নতুন বাস্তবতা তৈরি করতে হবে। রাজনীতিবিদদের এবং উপদেষ্টা পরিষদের এই ধারায় চিন্তা ও চেষ্টা দেশবাসী দেখতে চায়। সেই মর্মে সকলের চিন্তা ও কাজ সকলেরই উন্নতিশীলতা দেখা দিতে পারে। অপশক্তিকে দমন করে এবং দমিত রেখে শুভশক্তিকে চলতে হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply