নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ সরকারের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এনপিও’র পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও সেবা সংস্থাকে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) ২ অক্টোবর দেশব্যাপী জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উয্যাপন করেছে জেনে প্রেসিডেন্ট সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, উৎপাদনশীলতা জাতীয় অর্থনীতির একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটি একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করে এবং উৎপাদন, সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘টেকসই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমরা সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উন্নয়নের ধারা চলমান রাখার জন্য আমাদেরকে আরো বেশি প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। এ প্রেক্ষিতে এ বছরের জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় উৎপাদনশীলতা’ খুবই সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে। নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ক্রমাগত বাড়ছে। সরকার রূপকল্প ২০২১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ বাস্তবায়নে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আবদুল হামিদ বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টেকসই উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চমানের পণ্য উৎপাদন ও সেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য সব অর্থনৈতিক সেক্টরের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০১৯’ এর জন্য সাফল্য কামনা করেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply