নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যশোর থেকে।
যশোর ভারত থেকে পাসপোর্টএ আসা সাত জনসহ করোনা পজিটিভ ১০ জন পালিয়ে যাওয়ার পরে পুলিশ ব্যাপক অভিযান শুরু করেন। ইতোমধ্যে যশোর সদর উপজেলার চারজনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছে পুলিশ। অন্যদেরও এ প্রক্রিয়ায় আনতে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার।
যশোর কতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা চারজন হচ্ছে যশোর শহরের বিমান অফিস মোড় এলাকার আবুল কাশেমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, খাল দার রোডের বিশ্বনাথের স্ত্রী মালা দত্ত, পাঁচবাড়িয়া রবিউলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও একই গ্রামের একরামুলের স্ত্রী রমা বেগম।
যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, এর তথ্য মতে ভারত ফেরত ৭ করোনা রোগী। এছাড়া যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টেস্টে আসা আরও ৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ২৪ এপ্রিল থেক ২৫ এপ্রিল দুপুরের মধ্যে তারা পালিয়ে ছিল। হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এতে করোনার ভারতীয় করনার ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে ভারত ফেরত ৭ রোগী ভর্তি করা হয়। এরপর গত রোববার যশোরের টেস্টে ধরা পড়া ৩ জন রোগী আসেন। তাদের সবাইকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্টার মতে, ভর্তি রোগীরা হলেন- যশোর শহরের বিমান অফিস মোড়ের আবুল কাসেমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৭), বারান্দীপাড়ার বিশ্বনাথের স্ত্রী মালা দত্ত (৫০), সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (১৯), একই গ্রামের একরামের স্ত্রী রোমা (৩০), প্রতাপকাঠি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মমিন, রামকান্তপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নাসিমা বেগম (৫০), বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫), ঝিনাইদাহ জেলার কালীগঞ্জের মনোতষের স্ত্রী শেফালি রানী, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রামরাইল গ্রামের আহম্মদের সানার ছেলে আমিরুল সানা ও একই জেলার রুপসা এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল (১৭)। ২৫ এপ্রিল থেকে তারা পালিয়ে গেলে হাসপাতালে পক্ষ থেকে পুলিশের বিশেষ শাখাকে অবগত করানো হয়।
২৬ এপ্রিল যশোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদারের নির্দেশনায় তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট থানা অফিসার ইনচার্জ গান ফোর্স লাগিয়ে তাদের খোঁজ শুরু করেন। এ পর্যন্ত যশোর কতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যশোর সদর উপজলায় কেন্দ্রিক নিখোঁজ ৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।
যশোর সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহিন এ বিষয়ে জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী যদি কোনো পরিবারে থাকে তার মাধ্যমে তার পরিবার এবং আশপাশের লোকজন সংক্রমিত হওয়ার আশংকা থাকে । তিনি আরও বলেন করোনার ভারত থেকে আসা রুগী উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে পালিয়ে যাওয়া রোগীরা যদি ভারত করনা ধরনের বাহক হন তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাদের দ্রুত হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে যথাযথভাবে অবগত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন ভারত ফেরত রোগীদের ইমিগ্রেশন কিংবা হাসপাতলে পাসপোর্ট জমা রাখলে সহজে তারা পালাতে পারতো না ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply