কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি এম. সোহাইল চৌধুরী।
কক্সবাজার সদরের ইসলামপুরে শ্বশুর বাড়ি থেকে সীমা আক্তার (২০) নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যৌতুকের জন্য তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ সীমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঈদগাঁও থানার ওসি। এঘটনায় স্বামী মোহাম্মদ হাসানের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল উঠলেও এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।
২৬ এপ্রিল মধ্যরাতে ইসলামপু ইউনিয়নের নাপিতখালী দুদুমিয়ার ঘোনা এলাকায় এঘটনা ঘটে।
নিহত সীমা আক্তার সদরের চৌফলদন্ডীর ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম পাড়া এলাকার নুরুল আলমের মেয়ে।
ঘাতক মোহাম্মদ হাসান পলাতক রয়েছে, সে পোকখালী এলাকার জাফর আলমের ছেলে হলেও স্ব পরিবার থাকত কক্সবাজার শহরের বড় বাজার এলাকায়।
নিহত সীমা আক্তারের চাচা নুরুল কবির টিটিএনকে জানান, গত ২০ জানুয়ারি পারিবারিক ভাবে জাফর আলমের ছেলে হাসানের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় যৌতুক দাবি করে আসছিল। তাদের পরিবার আর্থিক সংকটে থাকায় যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা৷ যৌতুক না পেয়ে স্বামী হাসান, শাশুড়ী রোকসানা প্রায় সময় নববধূ সীমাকে শারীরিক-মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো।
তারই ধারাবাহিকতায় ২৬ এপ্রিল রাত ১১ থেকে ৩ টার মধ্যে যেকোনো সময়ে সীমাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ চাচা নুরুল কবিরের।
নুরুল কবির আরো জানান, হাসানের পরিবার সীমাকে মেরে পেলে হাসপাতালে নিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। বিকালের দিকে শ্বাশুড়ি রোকসানা আক্তার সীমার অভিভাবকদের কল করে মেয়ের মাথা ব্যথা করে মাটিতে লুটে পড়ে এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায় বলে জানান।
পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজনরা ঘটনাস্থল শাশুড় বাড়ী এসে দেখতে পান মেয়ে সীমার শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন। সকালে মৃত্যু হলেও বিকালের দিকে অবগত করা, তাড়াহুড়ো করে দাফন কাঁপনের প্রস্তুতি নেওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়। পরে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে ঈদগাঁও থানাকে অবহিত করলে অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হালিমের নির্দেশে থানার এসআই রেজাউল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল হালিম টিটিএনকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানা যাবে। তবে স্থানীয় লোকজন নিহত সীমা আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে পুলিশকে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সাহাব উদ্দিনও একই কথা জানান।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply