টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাউলজানি জারুলতলায় একটি কালভার্ট ব্রীজের পাশে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পুকুর খনন করায় মারত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে সেতুটি। বর্ষার পানির স্রোতের বেগে যে কোন মুহুর্তে ধ্বসে যেতে পারে সেতুটি।
জানা যায়, প্রতিবছর বর্ষার শুরুতে ঝারুলতলা সড়কের এই স্থানের ভাঙ্গা দিয়ে পার্শ্ববতী লাঙ্গুলিয়া নদীর পানি কাউলজানীতে প্রবেশ করে তা বার্থা বিলে পতিত হয় । ফলে সারা বছর কষ্ট করে লোকজন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করত।
এলাকার জনসাধারনের যাতায়াতের দূর্ভোগ নিরসনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় ২০১৮/১৯ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩০লাখ ৭৭হাজার ৬শ ৫৬ টাকা ব্যয়ে কাউলজানী ইউনিয়নের জারুলতলা এলাকায় হারুনের বাড়ীর নিকট ৪০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।
সম্প্রতি সেতুর পাশের জমিতে সেতু ঘেসে স্থানীয় নুরুল ইসালামের ছেলে আনোয়ার হোসেন সোহাগ নামের একব্যাক্তি সেতুটির ভিত্তিমূলের চেয়ে বেশি গভীর করে পুকুর খনন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে বর্ষার পানির প্রবল স্রোতের মুখে সেতুটি দেবে যাওয়ার আশঙ্কা আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে নুরুল ইসলামের ছেলে রঞ্জু জানান আমরা ব্যীজ থেকে ৫০/৬০ ফুট দুরে আমাদের জমি থেকে মাটি কেটে বাড়িতে ফেলেছি। ব্রীজের এপ্রোচসহ আশপাশে মাটি ফেলার জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্ধ আসে। তখন ওই বরাদ্ধের মাটি স্থানীয় কন্ট্রাক্টর মিঠু ব্রীজ ঘেসে বেকু দিয়ে ব্রীজের এপ্রোচে মাটি ফেলে। এতে গর্তের সৃষ্টি হয়। সে দায়ভার আমাদের উপর চাপায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঠিকাদারের বেকু দিয়ে মাটি কাটা গর্ত ভরাট করার জন্য ১০ হাজার টাকার মাটি ফেলে দিয়েছি। এটা আমাদের অযথা জরিমানা গুনতে হলো।
এ ব্যাপরে স্থনীয় ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেন বলেন, ব্রীজটি নির্মানের সময় ৪০ দিনের কর্মসূচির মাধ্যমে অনেক জটিলতার মধ্যদিয়ে এপ্রোসের মাটি ভরাট করে মানুষ চলাচলের উপযোগি করা হয়। সম্প্রতি আমি শুনেছি ব্যীজের পাশে একটি গভীর পুকুর খনন করা হয়েছে।কিন্তু আমি দেখি নাই। দেখে বলতে পারব কি অবস্থা।
কাউলজানী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, গত বর্ষায় সেতুটির এপোচসহ আশপাশের মাটি ধ্বসে গিয়ে বেশ ক্ষতি গ্রস্ত হয়। পরে প্রায় দুই লাখ টাকার কাজ করে চলাচল উপযোগি করা হয়। সম্প্রতি আনোয়ার হোসেন সোহাগ তার ব্রীজ ঘেসা জমিতে বেকু দিয়ে গভীর পুকুর খনন করায় সেতুটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ব্রীজটি ধ্বসে পড়ার আগেই বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা সমন্বয় মিটিং এ উত্থাপন করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেতু ঘেষে নুরুল ইসলাম গং গভীর পুকুর খনন করায় বর্ষাকালে হেলে পড়ে যাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে, আমি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ লিখিতভারে অবহিত করা হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply