দুসস ডেস্কঃ ইউক্রেনে জীবাণু অস্ত্র গবেষণাগার থাকার কথা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, এসব গবেষণাগার রাশিয়ান সেনাবাহিনী দখল করে নেয়ার চেষ্টা করছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছে তারা।
বুধবার (৯ মার্চ) ওয়াশিংটনে মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি অফ স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড সিনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটির এক শুনানিতে এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দেন। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ও এ নিয়ে বিশ্ব প্রতিক্রিয়া আলোচনা করা ছিল এই কমিটির উদ্দেশ্য।
এই কমিটিতে দেয়া ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের সাক্ষ্যের ভিডিও মার্কিন সাংবাদিক, লেখক ও আইনজীবী গ্লেন গ্রীনওয়াল্ড টুইট করেন।
ফরেন রিলেশনস কমিটির শুনানিতে আন্ডারসেক্রেটারি নুল্যান্ড বলেন, জীবাণু অস্ত্র গবেষণার নথিপত্র রাশিয়ার হাতে চলে যাওয়া ঠেকাতে একসাথে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন।
ইউক্রেনের কাছে জৈব অস্ত্র আছে কিনা সে ব্যাপারে শুনানিতে ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডকে করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেখানে জৈব গবেষণাগার রয়েছে, এবং রাশিয়ান সেনারা সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এসব গবেষণাগারে রাশিয়ান সেনারা পৌঁছে গেলে যাবতীয় নথিপত্র যেন তাদের হাত পর্যন্ত না পৌঁছায় তা নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন।
মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও বলেন, ন্যাটোর সহায়তায় ইউক্রেন জীবাণু অস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। সত্যি সত্যি এ হামলা হলে তা রাশিয়ানদের দ্বারা হতে পারে কিনা, তা জানতে চান তিনি।
এর জবাবে নুল্যান্ড বলেন, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। রাশিয়া হামলা করে এর দায় ইউক্রেনের ওপর চাপাতে পারে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে জীবাণু অস্ত্র গবেষণাগারে গোপনে জৈব অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে বহু আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছে রাশিয়া। নুল্যান্ডের এই বক্তব্যের মাধ্যমে এক প্রকারে রাশিয়ার এই অভিযোগকে স্বীকার করে নেয়া হলো।
সম্প্রতি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, তারা ইউক্রেনে মার্কিন অর্থায়নে জীবাণু অস্ত্র গবেষণাগারের প্রমাণ পেয়েছে। তাদের ‘সামরিক অভিযান’ শুরুর পর এসব গবেষণাগারে ‘বিপজ্জনক প্যাথোজেনের’ নমুনা ধ্বংস করা হয় বলেও দাবি করে তারা।
এর আগে ইউক্রেনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, ইউক্রেনে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক প্যাথোজেন’ নিয়ে গবেষণায় অর্থায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply