আনোয়ার হোসেন, ভালুকা প্রতিনিধিঃ-ভালুকার আবুল কাশেম শেষ সময়ে রাস্ট্রের কাছে শেষ দাবি করেছেন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানটুকু নিয়ে মরতে চান তিনি।
১৬ই মার্চ বুধবার দুপুরে আবুল কাশেম ভালুকার মেহেরাবাড়ীতে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের সাথে নিজের শেষ আকুতি প্রকাশ করেন। ভালুকার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম আফসার বাহিনীর মুক্তিযুদ্ধে অবদানকারী ব্যাক্তি তৎকালীন পিডিবির সিবিএ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যান সম্পাদক, উপজেলার ভালুকা ইউনিয়নের মেহেরাবাড়ির ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল কাশেম স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিভিন্ন ভাবে ৮মাস সক্রিয় ভাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কঠিন সময়কাল থেকে স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত দপ্তরিক (কোয়ার্টার মাষ্টার) এর দায়িত্ব পালন করেন।এবং তার হাতেই লেখা হয় আফসার বাহিনীর মুক্তিযুদ্ধাদের প্রথম তালিকা।আবুল কাশেম মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধাদের হাজিরা উঠানো,ডিউটি বন্টন,খাবার সরবরাহ সহ নানা ভাবে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ছিলেন। এত অবদান রাখার পরও তিনিই হতে পারেনি একজন মুক্তিযোদ্ধা।ভালুকার মেহেরা বাড়ীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কদ্দুস ও মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ চন্দ সরকার সহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধারা জানান,আবুল কাশেম মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন।
আমরা চাই রাস্ট্র তাকে সঠিক যাচাই-বাছাই করে মুক্তিযুদ্ধার সম্মানটুকু দেন এই দাবি করছি।আবুল কাশেম জানান,মুক্তিযোদ্ধের কিংবদন্তি মেজর আফসারের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি মুক্তিযুদ্ধাদের হাজিরা উঠানো,ডিউটি বন্টন,খাবার সরবরাহ সহ নানা ভাবে সহযোগিতা করি এবং নিজ হাতে লিখিত মুক্তিযুদ্ধাদের প্রথম লিখিত তালিকা আমি তৈরি করি।সময় ও পরিস্থিতির স্বীকারে মুক্তিযুদ্ধা হতে পারিনি।সেই সময়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দলিলিক প্রমানের কাগজ ছিল যা হাড়িয়ে যায়,আর অনেক খুঁজাখুজি করেও পাইনি।রাস্ট্রের কাছে আমি দাবি করছি এই শেষ সময়ে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানটুকু নিয়ে মরতে চাই।
আবুল কাশেম ১৯৭১সাল থেকে ১৯৭২ মে পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নিয়োজিত থাকেন। আবুল কাশেম চাকরি করতেন প্রথমে. পিডিবি (পাওয়ার পিডিবি (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড)।পিডিবি এর সিবিএ এর কেন্দ্রী কমিটির (সারা বাংলাদেশের) সমাজ কল্যান সম্পাদক ছিলেন।পরবর্তিতে পিডিবি ভেংগে ডিইএসএ (ঢাকা ইলেকট্রিসিটি অথরিটি) তৈরী হয় তখন ডিইএসএ শ্রমিকলীগ সিবিএ-৯ এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথমে দপ্তর সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সহ-সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনে উনি ১৯৯৬ সালে বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন সহ মতিঝিল এলাকায় বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দলনে এবং জনতার মঞ্চে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।উনি ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত হন। এছাড়াও ১৯৯৬সাল,২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগে ভালুকায় বিশেষ ভূমিকা ছিল।উনি ২০০৮ সালের ৩০ জুন চাকরী থেকে অবসর নেন।বর্তমানে অবসর জীবন কাটাচ্ছেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply