শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির এক গুচ্ছ স্বপ্ন বুকে লালন করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে সারাদেশে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিটের হাজারো নেতাকর্মী।
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ এই ছাত্র সংগঠনটির সারাদেশে প্রায় ১০০ এর অধিক ইউনিট রয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এমন ও অনেক ইউনিট আছে যেখানে এক যুগের ও বেশী সময় ধরে নেই কোন কমিটি। ফলে হাজার হাজার কর্মীরা এক বুক হতাশা নিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে, বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সংগঠন, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দল। এখন প্রশ্ন করা যেতে পারে কমিটিগুলো আসলে কেনো হয়না? কমিটি গুলো বিভিন্ন মারপ্যাঁচে আটকে যায় কারণ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের ‘মাই ম্যান মাই এজেন্ডা’, ‘ডোন্ট কেয়ার ফর পার্টি’ এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে না আসতে পারা।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি পরিবার। এই পরিবারের এক সদস্যের হৃদয়ের রক্তক্ষরণে কেদেঁ উঠে সারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই ক্রন্দন, হতাশা আর অভিমানীদের দলে ধরে রাখতে যখন’ই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বিভিন্ন শাখার কমিটি করতে স্থানীয় নেতাদের সাথে গিয়ে এক প্রকার সিদ্ধান্তে উপনীত হন তখন’ই আবার এক পক্ষ গুঞ্জন শুরু করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সম্মেলনের তারিখ নিয়ে। অথচ সারা দেশে ৬টি মহানগর ৬৪টি জেলা সহ বিভিন্ন শাখার কমিটির নেতাকর্মীদের হতাশা আর অভিমান নিয়ে কথা বললেই সম্মেলনের তারিখের গুঞ্জন উঠে। এতে আসলে লাভবান হচ্ছে কারা? তৃণমূল নাকি কোনো স্বার্থন্বেষী মহল?
ছাত্রলীগ সবসময়ই ছিলো অবহেলিতদের সংগঠন। গত দুই বছর করোনা ক্রান্তিকালে সারাদেশের আনাচে কানাচে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মী পর্যন্ত আপামর জনসাধারণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলো। অথচ তার মূল্যায়নের সময় পাবার আগেই সম্মেলনের গুঞ্জন!
দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে রাজনীতি করতে গিয়ে জীবনের কত বসন্ত যে কখন চলে গেছে তার কোন হিসেব জানা নেই। বয়স পেরিয়ে এসে চলে গেল সরকারী কিংবা উচ্চপদস্থ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দেবার সুযোগ, জীবন থেকে চলে গেল পছন্দের মানুষটি, মা বাবা দেখে যেত পারলো না সন্তানের পূর্নতা।
তৃণমূলের না বলা কথাগুলোই অব্যক্ত রাখতে এক শ্রেণির সুবিদাভোগী মানুষ সম্মেলনের কবিতা পাঠ করতে থাকে। জীবনে কখনো যারা ছাত্রলীগ করেনি আজ তারাও মন্তব্য করে ছাত্রলীগ নিয়ে। অভিমানীদের কান্নার মূল্য কেউ বুঝেনা যদিও কেউ বুঝতে চায় তবে তাও অপরাধ হয়ে দাড়ায়।
ছাত্রলীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে মনে করি, এখন এই সময়ে সম্মেলনের চেয়ে তৃণমূল ছাত্রলীগের কমিটি গুলো কিভাবে সমন্বয় এর মাধ্যমে করে তাদের অন্তত একটি পরিচয় দেওয়া যায় সেদিকে সবার ভাবা উচিত।
এতিমের পাশে এতিম দাঁড়ায়, অসহায়ের পাশে অসহায় দাঁড়ায়। কিন্তু ছাত্রলীগের পাশে একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ থাকে না।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
রূপক মৃধা, উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কেন্দ্রীয় সংসদ। সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমন্বয় কমিটি-ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি নির্বাচন
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply