বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যক্তি তারেক রহমান যাকে এফবিআই বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর আগে শীর্ষ জঙ্গী নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলাভাইকে এফবিআই বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল। ২০০৩ সালে শায়খ রহমান ও বাংলা ভাই সম্পর্কে বাংলাদেশকে বিশেষ বার্তাও দিয়েছিল এফবিআই। কিন্তু সেই বার্তা আমলে নেয়নি তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। তার পরেই দেশে জঙ্গীবাদে ভয়াবহ উত্থান ঘটে।
রাজনীতিতে নামার পর থেকেই নজরদারিতে থাকা তারেক রহমান শেষ পর্যন্ত এফবিআইয়ের বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেন। তার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে তাকে আশ্রয়দানকারী দেশ যুক্তরাজ্যকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে এফবিআইয়ের তরফ থেকে। তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের জন্যও বিপজ্জনক হতে পারে বলে সেই বার্তায় বলা হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে তারেক রহমান বাংলাদেশে বড় ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাতে পারে বলে এফবিআই আভাস দিয়েছে। সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে বিএনপি নেতা তারেক রহমান সম্পর্কে একটি বিশেষ গোপন বার্তা পাঠিয়েছে। সেই বার্তায় যুক্তরাজ্যকে তারেক রহমান সম্পর্কে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দেশটিতে তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন।
সতর্ক থাকার কারণ হিসেবে এফবিআই বলেছে, দীর্ঘদিন ধরেই তারা বাংলাদেশের তারেক রহমানের ওপর নজর রাখছিল। নানা কারণেই তার ওপর নজরদারি অব্যাহত আছে। দীর্ঘ নজরদারির পর অন্তত দশ বছর আগে তারেক রহমান বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তাদের তদন্তে ধরা পড়ে। সেই হিসাব অনুযায়ী তারেক রহমান এফবিআইয়ের বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়। তাকে দশ বছর আগেই বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে এফবিআই চিহ্নিত করেছে। দিন যত যাচ্ছে তারেক রহমান আরও বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন। তারেক রহমানের নাম এফবিআইয়ের লাল তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের নামে যুক্ত হয়েছে। বিশ্বের যে কোন দেশেই লাল তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরা থাকেন, তাদের ওপর এফবিআই নজরদারি করে থাকে। শুধু এফবিআই নয়, বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের ওপর তীক্ষ্ণ নজরদারি করে থাকে। অন্যান্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও এ সম্পর্কে তথ্য আদান প্রদান করে থাকে।
বার্তায় আরও জানানো হয়েছে, তারেক রহমান হচ্ছেন বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যক্তি, যিনি এফবিআইয়ের লাল তালিকাভুক্ত বা বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হলেন। লাল তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরা যে দেশেই অবস্থান করুন না কেন, এফবিআই তাদের সম্পর্কে সেই দেশকে এবং যে দেশের নাগরিক সেই দেশকেও পাশাপাশি অবহিত করে থাকে। এটি এফবিআই বিশ্বের সন্ত্রাসবাদ বা জঙ্গীবাদ যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, এজন্য আগাম সতর্ক করে থাকে।
এর আগে এফবিআই বাংলাদেশের আরও দুই ব্যক্তি সম্পর্কে সতর্ক বার্তা দিয়েছিল। তারাও এফবিআইয়ের লাল তালিকাভুক্ত ব্যক্তি ছিলেন। তারা হচ্ছেন শীর্ষ জঙ্গী নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলাভাই। ২০০৩ সালে এফবিআই তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে এ দুই ব্যক্তি সম্পর্কে আগাম সতর্ক করে বিশেষ গোপন বার্তা দিয়েছিল।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply