July 27, 2024, 8:00 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
আওয়ামীলীগের বর্তমান সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে কোটা বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী তান্ডব চালাতে সমর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে পঙু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এমন সহিংসতা চালানো হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের টিবয় হতে কোটিপতি হওয়া এনজিও হারুনের দৌড়ঝাপ শুরু। কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বাংলাদেশেকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চেয়েছে। মোবাইল ফোন ইন্টারনেট সেবা আগামী সপ্তাহের রবি অথবা সোমবার চালু হতে পারে দেশের অর্থনীতির চাকা স্থবির, দ্রুত সচল করা অতীব জরুরি। যুবলীগ কর্মী জুয়েলকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে গাছে ঝুলিয়ে রাখে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা ফ্রান্সে দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্কে অগ্নিসংযোগসহ হামলা রেল চলাচল বন্ধ নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৮১ জন কয়েদি আত্মসমর্পণ করেছেন। রাজধানীর রামপুরায় ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোলও পেট্রাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম পুনরায় শুরু যশোর জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় যারা সহিংসতা করেছে তারা যেন ঢাকা শহর না ছাড়তে পারে আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেফতার নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৩৩১ জন আত্মসমর্পণ করেছেন এক দিনের মধ্যে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের সব টাকা তুলে নেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানরা। কোটা আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ মারা গেছেন কোটা আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” এর অন্যতম সমন্বয়ক পাঁচ দিন পর পাওয়া গেছে পৃথিবী কাঁপানো এই ছবির জন্য বিখ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন ফটোগ্রাফার, ৪ মাস পর মানসিক যন্ত্রনায় আত্মহত্যা করেছিলেন। ভালবাসার প্রতীক শুধুই তাজমহল নয়, টাটা মেমোরিয়াল হসপিটাল এবং লেডি টাটা মেমোরিয়াল ট্রাস্টও একটি অনন্য নিদর্শন। মশার উপদ্রব এর আতঙ্কতে সব দেশে, তবে মশা নিশ্চিহ্ন কোন দেশে? কাস্টমসে টি বয় থেকে ফাইল আটকিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন হারুন। নড়িয়া প্রানী সম্পদ দপ্তরে ভেটারিনারি সার্জন নেই তবুও যথাযথ সেবা পাচ্ছে খামারীরা অর্থবলের চেয়ে মানের বলের অধিকারী বেশি ধনী সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বহাল রেখে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ। ভালুকায় ১১টি প্রকল্পের উদ্ধোধন করেন এমপি ওয়াহেদ লিঙ্গকর্তনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন। যশোর হ্যান্ডকাপ ওয়াকিটকি অস্ত্র সহ ভুয়া ডিবি আটক

ইসলাম ধর্মে মুসলমানদের মধ্যে যেভাবে ঈদ উৎসব উদযাপন শুরু হয়েছিল।

ইসলাম ধর্মে মুসলমানদের মধ্যে যেভাবে ঈদ উৎসব উদযাপন শুরু হয়েছিল।

মদিনায় যাওয়ার পর রাসুল দেখলেন যে সেখানকার মানুষ বছরে দুইটি বড় উৎসব পালন করে। তিনি তখন জানতে চান, সেগুলো কী উৎসব? তিনি জানতে পরেন এগুলো ছিল নওরোজ এবং মিহিরজান নামে দুটি উৎসব। যেগুলো সেখানকার বাসিন্দাদের ধর্ম এবং গোত্রের রীতি অনুযায়ী একটি শরতে এবং আরেকটি বসন্তকালে উদযাপিত হত। তখন ওই দুইটি উৎসবের আদলে মুসলমানদের জন্য বছরে দুইটি ধর্মীয়, সামাজিক এবং জাতীয় উৎসব পালনের রীতি প্রবর্তন করা হয়। ঈদের প্রচলন নিয়ে এর বাইরে আর কোন বক্তব্য বা ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

রমজান মাসে এক মাস সিয়াম সাধনার পরে শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠার পর শুরু হয় ঈদের আয়োজন। সমগ্র দুনিয়া জুড়ে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। ঈদ উৎসব দুইটি। একটি ঈদ-উল ফিতর, আর অন্যটি ঈদ-উল আযহা, যাকে কোরবানীর ঈদও বলা হয়। বাংলাদেশের মুসলমানরা সবচেয়ে বড় উৎসব হিসেবে বিবেচনা করেন ঈদ-উল ফিতরকে এবং এক কথায় বলতে গেলে সবার কাছে পরিচিত ঈদ হিসেবে ঈদ-উল ফিতরের উৎসবই বুঝায়।

এই ঈদ-উল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে। অর্থাৎ সারা বছরে যত পণ্য আর সেবা কেনাবেচা হয়, তার বড় অংশটি হয় এই সময়ে।

ঈদ ইসলামের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হলেও এই ধর্মের আবির্ভাবের সাথে সাথেই কিন্তু ঈদের প্রচলন শুরু হয়নি।

ঈদ-উল আযহা কখন আর কোন প্রেক্ষাপটে চালু হয়েছিল তা ইতিহাস থেকে জানা যায়। কিন্তু ঈদ-উল ফিতর কখন আর কিভাবে প্রচলিত হয়েছিল, সে সম্পর্কে তথ্য কমই জানা যায়।

ইসলাম ধর্মে কখন চালু হয়েছিল ঈদ
ইসলামের ইতিহাস বিষয়ক গবেষক এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের প্রেক্ষিতে জানা যায় যে ৬২৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ঈদ উদযাপন করা হয়েছিল। হিজরী দ্বিতীয় সনে ঈদের প্রবর্তন করা হয়েছিল। রাসুল মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম যখন মক্কা থেকে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে হিজরত করে মদিনায় যান, তখন সময়কে ভিত্তি ধরে হিজরী সাল গণনা করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে অবশ্য হিজরী সাল গণনা শুরু করা হয়েছিল আরও ১৭ বছর পরে, খলিফা উমরের সময়ে।

“হিজরী প্রথম বছরের অষ্টম মাস অর্থাৎ শাবান মাসে রোজা বাধ্যতামূলক করার আয়াত নাজিল হয়, এবং তখন নবম মাস অর্থাৎ রমজান মামে একমাস সিয়াম সাধনাকে ফরজ করা হয়। এরপর হিজরী দ্বিতীয় সালে এসে বিধান দেয়া হয় যে রমজান মাস – চাঁদের হিসাবে যা ২৯ দিনেও শেষ হতে পারে বা কখনো ৩০ দিনেও শেষ হতে পারে – শেষে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন ঈদ উদযাপন করা হবে। “ঈদের সামাজিকতা ওই সময় থেকে শুরু হয় বলে ঐতিহাসিকদের মতামতের প্রেক্ষিতে জানা যায়।

এ বিষয়ে হজরত আনাস রাদিআল্লাহু আনহা নামে রাসুল মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর সাহাবা বা সাথীর বর্ণনা করা একটি হাদিসের উদ্ধৃতি থেকে জানা যায় মদিনায় যাওয়ার পর রাসুল দেখলেন যে সেখানকার মানুষ বছরে দুইটি বড় উৎসব পালন করে। তিনি তখন জানতে চান, সেগুলো কী উৎসব? তিনি জানতে পরেন এগুলো ছিল নওরোজ এবং মিহিরজান নামে দুটি উৎসব। যেগুলো সেখানকার বাসিন্দাদের ধর্ম এবং গোত্রের রীতি অনুযায়ী একটি শরতে এবং আরেকটি বসন্তকালে উদযাপিত হত। তখন ওই দুইটি উৎসবের আদলে মুসলমানদের জন্য বছরে দুইটি ধর্মীয়, সামাজিক এবং জাতীয় উৎসব পালনের রীতি প্রবর্তন করা হয়। ঈদের প্রচলন নিয়ে এর বাইরে আর কোন বক্তব্য বা ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

ঈদ উদযাপন মদিনায় শুরু হলেও পরবর্তীতে পুরো দুনিয়ায় মুসলমানদের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রচলিত হয়ে যায় ঈদ পালন। কালক্রমে অঞ্চল ভেদে এই উৎসবে ভিন্ন ভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা যুক্ত হয়।

কিভাবে পালন হতো প্রথম যুগের ঈদ?
আরবী ঈদ শব্দের অর্থ খুশি, আনন্দ বা উৎসব। মুসলমানদের জন্য ঈদ পালন ওয়াজিব অর্থাৎ অবশ্য পালনীয়। প্রিয়জনের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় সব সংস্কৃতিতে প্রচলিত। ঈদ পালনের কিছু নিয়ম ইসলামে নির্দিষ্ট করা আছে।

এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ঈদের দিন সকালে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা, যা সব মুসলমানের জন্য অবশ্য পালনীয়। এছাড়া ঈদ-উল ফিতরে ফিতরা প্রদান করাও একটি অবশ্য পালনীয় রীতি। ফিতরা ঈদের নামাজের আগে অসহায় গরিব-দুঃখীদের দিতে হয়।

যখন প্রথম ঈদের প্রচলন চালু হয়, তখন এখনকার ঈদের মতো আতিশয্য ছিল না।

রাসুল মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ঈদের দিনে গোসল করে উত্তম পোশাক পরে নামাজের জন্য যেতেন।
ঈদের নামাজের পর মিষ্টি দ্রব্য খাওয়া এবং আত্মীয় পরিজন, প্রতিবেশী বন্ধুদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের রেওয়াজ ছিল।

বাংলায় বা বঙ্গে ঈদ – কখন শুরু, কিভাবে পালন হত
দেড়শ’ বছর আগেও এ অঞ্চলে সাধারণের মধ্যে ঈদ তেমন বড় কোন উৎসব ছিল না।

ঐতিহাসিক মতে জানা যায় ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়তুল্লাহর সময় বঙ্গে উৎসব করে ঈদ উদযাপনের চল শুরু হয়। ঐ ঈদে আয়োজনে সাধ্য অনুযায়ী ভালো খাবারের আয়োজন‌ও করা হয়।

“তার আগে এখানে মুসলমান ছিলেন অনেক, কিন্তু তাদের রীতি-নীতির মধ্যে লোকায়ত ধর্মের মিল ছিল বেশি। যে কারণে ওই সময়ে ঈদ উদযাপনের তথ্য তেমন পাওয়া যায় না।

এছাড়াও জানা যায় মুঘলরা ঢাকায় এসেছিল ১৬১০ সালে। তখন তাদের পাঠানো নায়েব-নাজিমরা ঈদ উদযাপন করতেন। ঈদের চাঁদ উঠলে তারা আনন্দ-উৎসব শুরু করতেন। কামান দাগা হত। ঈদের দিন তারা একসঙ্গে নামাজ পড়তেন, নামাজ পড়ে ফেরার পথে হাতি বা ঘোড়ার পিঠ থেকে তারা সাধারণ মানুষের দিকে পয়সা ছুঁড়ে দিতেন। ঈদ তাদের নিজেদের মধ্যেই উদযাপিত হত, সাধারণ মানুষের তার সাথে সংযোগ ছিল না।” মুঘলদের তৈরি ঈদের একটা প্রতীক এখনো ঢাকায় বিদ্যমান, সেটি হচ্ছে ধানমন্ডি ঈদগাহ।

ঢাকা-কেন্দ্রীক ছিল তখনকার ঈদ উৎসব। এর আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে রোজা বা ঈদ পালনের তেমন চল ছিল না, সেই সাথে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো ছিল না।

উনিশ শতকের গোঁড়ার দিকে যখন এ অঞ্চলে মুসলমানের সংখ্যা বাড়তে থাকে, তখন ঈদ পালনও বাড়তে থাকে।
এক সময় দিল্লির মুঘলদের অনুকরণে ঢাকায় ঈদের মিছিল হতো। ইতিহাসবিদদের মতে, বর্তমানে ঈদ যেমন ব্যাপক উৎসবের আকার পেয়েছে, তার শুরুটা হয়েছিল ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র হবার পর। যা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আস্তে আস্তে বিস্তৃত হতে থাকে। তার আগে, ঈদ উদযাপনের কেন্দ্র ছিল ঢাকা। আনুষ্ঠানিকতার প্রায় পুরোটাই ছিল ঢাকা-কেন্দ্রীক, যে কারণে ঐতিহাসিক বর্ণনায় ঢাকার ঈদ সম্পর্কেই জানা যায়।

১৮৮৫ সালে ঐতিহাসিক জেমস ওয়াইজের লেখা থেকে জানা যায়, সেই সময় গ্রামাঞ্চলে ঈদের উদযাপন একেবারে কম ছিল – এমনকি অনেক জায়গায় ঈদের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়, তা-ও অনেকে সঠিকভাবে জানতেন না। মসজিদের সংখ্যাও সে সময়ে কম ছিল।

এখন ইসলাম সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যেমন বেড়েছে, তেমনি মুসলমানের সংখ্যাও বেড়েছে, ফলে ঈদ উদযাপনের পরিধিও বেড়েছে।

“বর্তমানে যেভাবে ঈদ দেশজুড়ে বড় একটি উদযাপনে পরিণত হয়েছে, তার একটা বড় কারণ ঈদকে ঘিরে তৈরি হওয়া অর্থনীতি,”

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com