মানস বন্দ্যোপাধ্যায, ভারত প্রতিনিধিঃ সারা পাকিস্তান জুড়ে চলছে দুর্ভিক্ষের মর্মান্তিক ঘটনা। সাধারন মানুষ একমুঠো আটার জন্য লড়াই করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ১২ জন মানুষ মারা গেছেন। পাকিস্তানের সাধারন মানুষ উন্মত্ত হয়ে আটা ভর্তি লরি লুট করতে শুরু করেছেন। বেশ কিছু মানুষ টেলিভিশনের পর্দার সামনে চিৎকার করে বলেছে দেশ ভাগ করে ভুল করা হয়েছে। এমন কি উত্তেজিত কিছু মানুষ ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চাইছেন।পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী শরিফ বিপাকে পড়েছেন। ভারতের সঙ্গে সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে নিতে চাইছেন পাকিস্তান সরকারও। জি ২০ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং বিদেশ মন্ত্রীও উপস্থিত থাকতে চেয়েছেন ভারতে। গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো এবার অধিকৃত কাশ্মীরের সরকার ভারতের একটি প্রস্তাবকে সমর্থণ দিয়ে পাকিস্তানের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর প্রস্তাবে সমর্থন : সারদা পীঠ করিডর খোলার জন্য ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অ্যাসেম্বলি। ২৯ মার্চ শেখ রশিদের নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর অ্যাসেম্বলিতে প্রস্তাব করেছিল, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মাতা সারদার মন্দিরে যাওয়ার জন্য একটি করিডোর তৈরি করা উচিত।
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর সরকার পরামর্শ দিয়েছে, ভারতে বসবাসকারী কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং হিন্দুদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক সারদা পীঠ মন্দির দেখার অনুমতি দেওয়া উচিত। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর সরকার প্রস্তাব করেছে, দুই দেশের মধ্যে কর্তারপুর করিডোর যেভাবে তৈরি করা হয়েছে, একইভাবে উচিত সারদা পীঠ করিডোরও খুলে দেওয়া উচিত এবং ভারতের মানুষদের তীর্থযাত্রা করার অনুমতি দেওয়া উচিত।
কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর বিধানসভার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে করিডোর খোলার জন্য জোর দিয়ে আসছে কাশ্মীরের সারদা কমিটি।
সারদা কমিটির প্রধান রবীন্দ্র পণ্ডিত বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বিধানসভা সারদা করিডোর খোলার বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। তাদের বুদ্ধিদীপ্ত সমাজকে অভিনন্দন জানাতে হবে। আমরা সম্প্রতি এই পারে তেতওয়ালে একটি মন্দির স্থাপন করেছি যা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উদ্বোধন করেছিলেন এবং তিনি সেদিন বলেছিলেন যে তার সরকার করিডোর খোলার বিষয়ে কাজ করবে। সিভিল সোসাইটির একটি ভূমিকা রয়েছে, এবং আমরা চাই এটি কর্তারপুরের মতো একই ভাবধারা নিয়ে খোলা হোক এবং এটি একটি দুর্দান্ত আত্মবিশ্বাস তৈরির ব্যবস্থা করা হোক।’
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সরকারের এই সিদ্ধান্তে হতচকিত হয়ে গেছে পাকিস্তান। তাহলে কি এটাও শেষ পর্যন্ত হাতছাড়া হয়ে যাবে?
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply