November 21, 2024, 11:24 pm

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
বেনাপোল ধান্যখোলা সীমান্তে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার। টঙ্গীবাড়ীতে বীজ আলু ও সার ব্যাবসায়ী দের সাথে ইউএনওর মত বিনিময় সভা। বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাচার হওয়া ২৪ জন কিশোর ও কিশোরী দেশে ফিরেছে। আ.লীগ নেতার জবর দখলে থাকা সরকারি ১২ বিঘা জমি উদ্ধার। রাজধানীতে কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ১৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০১ জন আসামী গ্রেফতার। যশোর পর্যটন খাতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে। উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু। বেনাপোলের শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় আশাহত হয়েছে বিএনপি। ভালুকায় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং ধনবাড়ী উপজেলার নব নিযুক্ত নির্বাহী অফিসারের সাথে ধনবাড়ী উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নওগাঁ পত্নীতলার ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুমন হোসেন কে হত্যা করে গলায় ফাঁসি দিয়ে কাঁঠাল গাছের ঝুলিয়ে রহস্য জনক মৃত্যু। শার্শায় ৪ যুগ ধরে খবরের কাগজের ফেরিওয়ালা সিরাজ আর নেই। রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মওলানা ভাসানীকে স্বীকৃতি দিতে হবে …… অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। যশোর যৌনকর্মী প্রেমিকাকে নিয়ে দ্বন্ধে হেলপার বাপ্পি খুন। মওলানা ভাসানীকে অপমান করায় আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত প্রায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংস্কার চাই – রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী। ভালুকায় জমি দখল ও খেতের ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি …. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস। দেশপ্রেমিক লোকদের সঠিক প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই করে নিয়োগ দিতে হবে …… অধ্যাপক ড. সায়েদা ওবায়েদ যশোর বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কর্তৃক ৩০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন আটক। ওষুধের দাম কমানোর আহ্বান ……এম এ আলীম সরকার গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে চলছে নারী ও মাদকের রমরমা ব্যবসা যশোর যাত্রীবাহী বাসের ভেতর থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রুবেল। কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা যাচাই-বাছাই করছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। গলি থেকে রাজপথ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী

বাংলাদেশ যুদ্ধে আর.এস.এস এর ইন্দিরাকে সমর্থণ জুগিয়েছিল

বাংলাদেশ যুদ্ধে আর.এস.এস এর ইন্দিরাকে সমর্থণ জুগিয়েছিল

বাংলাদেশ যুদ্ধে আর এস এসের ইন্দিরাকে সমর্থণ জুগিয়েছিল। ইমারজেন্সিতে আরএসএস এর মদত ছিলচাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ!

মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিনিধি, ভারতঃ কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ যখন আর এস এস এবং তার কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার তখন ইন্দিরা গান্ধীর ক্ষমতায় ফিরে আসা এবং জরুরী আইন ঘোষণার পিছনে যে আর এস এস এর সক্রিয় ভূমিকা ছিল সেটি ফাঁস করে দিলেন নীরজা চৌধুরী তার প্রকাশিত একটি বইতে। বইটিতে প্রকাশ্যে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতাদের নাকি বেশ সুসম্পর্ক ছিল। দুজনেই একে অপরের কাছে সাহায্যের জন্য যেতেন। সঙ্ঘ শুধুমাত্র জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরাকে সমর্থনই করেনি, ১৯৮০ সালে তাকে ক্ষমতায় ফিরে আসতেও সাহায্য করেছিল। যাইহোক, ইন্দিরা নিজেই সঙ্ঘ থেকে সাবধানে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। স্বাধীনতার পরের ছয় দশকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের কাজের ধরন সম্পর্কে সাংবাদিক নীরজা চৌধুরীর নতুন বই ‘হাউ প্রাইম মিনিস্টারস ডিসাইড’ এ এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে।

বইটিতে, চৌধুরী লিখেছেন সঙ্ঘের বিরুদ্ধে থাকা সত্ত্বেও, ইন্দিরা জরুরি অবস্থার সময় তাদের সমর্থনেই জিতেছিলেন। আরএসএসের তৃতীয় প্রধান বালাসাহেব দেওরাস জরুরি অবস্থার সময় তাকে বেশ কয়েকবার চিঠিও লিখেছিলেন। এমনকি, একাধিক ইউনিয়ন নেতা কপিল মোহনের মাধ্যমে সঞ্জয় গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। নীরজার মতে, ইন্দিরার আশঙ্কা ছিল যে মুসলিমরা কংগ্রেসের প্রতি ক্ষুব্ধ হতে পারে, সে কারণেই তিনি তার রাজনীতিকে হিন্দুকরণ করতে চেয়েছিলেন। এই কাজে, আরএসএসের সামান্য সমর্থন, কিন্তু তার নিরপেক্ষ অবস্থানও তাকে অনেক সাহায্য করবে। ১৯৮০ সালে, যখন অটল বিহারী বাজপেয়ী তার ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে ব্যস্ত, তখন ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেসকে হিন্দুকরণ করছিলেন।

বইটিতে ইন্দিরার ঘনিষ্ঠ অনিল বালিকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে যে, সংঘ তাকে ৩৫৩ আসনের বিশাল বিজয়ের মাধ্যমে ১৯৮০ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসতে সাহায্য করেছিল, অনেকগুলি আসন তিনি নিজেও জিততে পারেননি। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বইতে, বালি বলেছেন যে ইন্দিরা গান্ধী অনেক মন্দির পরিদর্শন শুরু করেছিলেন, যা সংঘ নেতাদের প্রভাবিত করেছিল। বালাসাহেব দেওরাস এমন মন্তব্যও একবার করেছিলেন যে ‘ইন্দিরা অনেক বড় হিন্দু’। বালির মতে, দেওরাস এবং অন্যান্য সংঘের নেতারা ইন্দিরাকে হিন্দুদের নেতা হিসাবেই দেখতেন।

নীরজা চৌধুরীর মতে, কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া নেতাদের কেউই সেই সময়ে ভিপি সিংয়ের মতো জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারেনি, সে চন্দ্রশেখর হোক বা শরদ পাওয়ার, রামকৃষ্ণ হেগড়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জগন মোহন রেড্ডি। ভিপি সিং ডান, বাম, কেন্দ্রীয় এবং আঞ্চলিক শক্তিকে একত্রিত করে একটি অ-কংগ্রেসী সরকার গঠন করেছিলেন, যদিও এক বছরেরও কম সময় ধরে। এটি ছিল প্রথম বাস্তব জাতীয় জোট।

আঞ্চলিক দলগুলো প্রথমবারের মতো জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেছে। বাকি নেতারা যারা দল ছেড়েছিলেন তারা কেবল রাজ্যগুলিতে সীমাবদ্ধ ছিলেন, তবে সরকার গঠনের জন্য তাদের অনেক সময় কংগ্রেসের সমর্থনের প্রয়োজন হয়েছিল।

১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশের বিজয় ছিনিয়ে আনার পিছনেও আর এস এস ইন্দিরা পাশে দাঁড়িয়ে সক্রিয় সমর্থণ জুগিয়েছিল।সেই সময়ে আর এস এস প্রধান মাধব সদাশিব গোলওয়ালকর ইন্দিরাকে সরাসরি চিঠি লিখে বলেছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে আপনার। শুধু তাই নয়, একবার আর এস এস এর কট্টর সদস্য প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী, তৎকালীন বিরোধী নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীও ইন্দিরা গান্ধীকে দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ইন্দিরা যখন পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করলেন, তার তিন বছর পর সঙ্ঘ ইন্দিরা গান্ধীর উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা শুরু করে। আসলে সঙ্ঘ পরিবার সব সময় সামরিকভাবে একটি শক্তিশালী ভারত দেখতে চেয়েছে।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com