বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বলেছেন, সাংবাদিকদের সব বিষয়ে ধারণা থাকা বাঞ্চনীয়। সবকিছুরই কিছু কিছু জানতে হবে। আবার কিছু বিষয়ে খুব ভাল ধারণা থাকতে হবে। তাহলে সাবলীলভাবে সাংবাদিকতা করা সম্ভব।
আজ মঙ্গলবার (০৫সেপেপ্টম্বর) প্রেস ইনস্টিটি্উট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর সেমিনার কক্ষে শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকদের তিন দিনব্যাপী সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের সমাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি, ফিচার লেখা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাবিষয়ে ন্যূনতম একটি ধারণা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শ্যামসুন্দর সিকদার। তিনি উচ্চতর বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি হওয়ার জন্য সাংবাদিকদের উদ্বুদ্ধ করেন।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট পরিবর্তিত হয়ে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট হওয়ার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়ে, বিটিআরসি’ র চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের সততা, নিষ্ঠা ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন ।
অনুষ্ঠানের সভাপ্রধান প্রেস ইনস্টিটি্উট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইনই একমাত্র একটি আইন যা জনগণ সরকারের উপর প্রয়োগ করতে পারে। তিনি সেবা সহজীকরণ ও সিটিজেন চার্টার নিয়ে আলোচনা করেন। কিভাবে তথ্য পেতে পারে একজন সাংবাদিক। নতুবা তথ্য না দিলে কি করতে পারে একজন মিডিয়াকর্মী হিসেবে সেসম্পর্কে আলোচনা করেন।
জাফর ওয়াজেদ আরো বলেন, ঢাকার বাহিরের সাংবাদিকদের অর্থাৎ মফস্বল সাংবাদিকদের কাজের পরিধি ঢাকার সাংবাদিকের চেয়ে বেশি। কারণ ঢাকার সাংবাদিকদের নির্দিষ্ট কোন বিট কিংবা বিষয়ের উপর অ্যাসাইনমেন্ট থাকে। কিন্তু মফস্বল সাংবাদিকরা খেলাধূলা, রাজনীতি,অর্থনীতি, সামজিক অবক্ষয়, বৈষম্য সব বিষয়ে কাজ করার সুযোগ পান।
তিনি আরও বলেন,বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লবের কারণে রাজধানী ঢাকা ও মফস্বলের মধ্যে প্রযুক্তির তারতম্য খুব বেশি নেই। এসব বিবেচনায় শহরের তুলনায় মফস্বল সাংবাদিকদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবেদন করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর পরিচালক (অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক(চলতি দায়িত্ব) শেখ মজলিশ ফুয়াদ ও ফিচার বিভাগের সহকারী সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পিআইবি’র কনিষ্ঠ প্রশিক্ষক মো. শাহ আলমের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণে মোট ২৮ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply