দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ সংসদিয় আসনে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ২৭৪১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। বিকেল ৪টায় শেষ হয় মনোনয়পত্র জমা নেওয়া। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বশেষ ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীতরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল সংক্রান্ত তথ্য বলছে, ৩০০ আসনে লড়তে চান ২৭৪১ প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্ধারিত সময় শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনে করে, এই সময়সীমা বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই।’ অর্থাৎ, বিএনপি ও তাদের সমমনারা যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তবে এই তফসিলে তা আর সম্ভব না।
যদিও ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমে বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই। যদি শেষ পর্যন্ত রাজনীতিতে কোনো সমঝোতা হয়, সুশীল সমাজসহ দেশের অনেকে যদি চান, তখন কমিশন ভেবে দেখবে। যদিও ঘোষিত তফসিলে সেটা সম্ভব না। ফলে, ওই রকম পরিবেশ তৈরি করতে চাইলে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু, আপাতত এ ধরনের কোনো চিন্তা কমিশনের নেই।’
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়টাতে অনেক পদপ্রার্থী নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তবে, ছেড়ে দেয়নি ইসিও। নির্বাচনি অনিয়ম রোধে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি অন্তত ২১ জনকে তলব করেছে। কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই অনুসন্ধান কমিটি দেওয়ানি আদালতের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে ভোটের দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন তারা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী সাজা দেবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব বিপ্লব দেবনাথ গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি, এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা কারণ দর্শাবেন। তারপর হয়তো নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি প্রথমবার প্রার্থীকে সতর্ক করে দেবেন। কিন্তু, প্রথমবার সতর্ক করে দেওয়ার অর্থ কিন্তু এই নয়; তিনি ছাড় পেয়ে গেলেন। কোনোভাবে যদি ওই প্রার্থী পুনরায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বলে জরিমানাসহ তার প্রার্থীতা বাতিল করার বিধানও রয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply