ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায় , কলকাতা : আগের যুগে জানা যেত, কতো কিছু টিপ্স শেয়ার করার মতো দিদিমা দের থেকে। আর তার সাথে আমরা মাসিমা, কাকিমা থেকে শুনে এসেছি , মুলতানি মাটি দিয়ে চুল ধুলে পরিষ্কার থাকে আর স্ক্যাল্পের কোনও শুষ্ক ভাব থাকে না। চুলে ডিম দিলে চুল পড়া থেকে আটকায় আর খুশকি কম করে। তাই চুল রুক্ষ হওয়া থেকে আটকায় অ্যালোভেরা ।
এটি একটি প্রাকৃতিক উপাচার যে চুলের উজ্জ্বল হওয়া থেকে সাহায্য করে। একটা প্রবাদ বাক্য আছে যেটা আপনারা জানেন, ‘ নখে তে কেশ,চিরুনি তে বেশ ‘। চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে তো থাকি আমরা , কিন্তু নখ দিয়ে চুল কে যতো বিলি কাটবেন ততো চুল ভালো থাকবে। চমৎকার ভাবে অনেক কিছু টিপ্স জানতে পারবেন যেভাবে চুলের যত্ন সঠিক ভাবে করা যায়। অ্যালোভেরা আমাদের চুল কে মসৃণ রাখে তাই এটি খুবই উপকারি আমাদের চুলের জন্য। চুলের স্ক্যাল্পে লাগালে খুশকির মতো জীবাণু কে মারতে সাহায্য করে। চুলের প্রচুর অযত্ন হয় আমাদের স্ক্যাল্প উষ্ক শুষ্ক হয়ে যায় চুল পড়ে যায়। কত কিছু করি আমরা চুল যত্ন রাখার জন্য। চুল কে যত্ন রাখতে গেলে অনেক কিছু আমাদের মানতে হবে যেমন বেশি শ্যাম্পু করা ভালো না। সপ্তাহে দু কি তিন দিন শ্যাম্পু করুন তবে তেল লাগান বেশি করে রোজ এতে চুলের গোড়া শক্ত থাকে। চুলের প্রকৃত রহস্য হলো কেশর ব্যবহার করে এর বর্ণ ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল হয়। কেশর আমাদের চুল কে মজবুত রাখতে এবং পড়ার সমস্যা থেকেও সাহায্য করে। চুলে বিভিন্ন ভাবে মেশিন ব্যবহার করা হয় যেমন হেয়ার স্ট্রেটনিং, হেয়ার ড্রাইয়ার আমাদের স্ক্যাল্প নষ্ট করে এবং এগুলো থেকে যে গরম তাপে চুল আরো শুকিয়ে যায়। হিট ওয়েভ এতো এই মেশিন গুলোতে যে চুল কে একেবারেই নষ্ট করে ঠিকই কিন্তু আবার আমাদের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম কে দূর্বল করে দেয়। শারীরিক কার্যকলাপ হিসাবে চুল আমাদের আসল যেটা ছাড়া আমরা নিরুপায় তাই সবসময় চুলের যত্ন সবসময়ই রাখা উচিত। পার্লারে গিয়ে চুলের যত্ন না নেওয়াই ভালো কারণ আমাদের চুলে কোনও কেমিক্যাল ব্যবহার না করাই ভালো । কেমিক্যাল আমাদের চুল নষ্ট করে দেয় একটাও চুল ভালো থাকে না আর স্টিকি স্টিকি হয়ে এতে আরও জট পড়ে আর তখন চুল জট থেকে ছাড়ানো যায় না আর চুল আরো পড়তে থাকে এর ফলে।
এবারে জানানো যাক কিছু হেয়ার প্যাক যে সাহায্যে চুল কে বাঁচানো যায়:
১) নারকেল তেল ও মধু — এই নারকেল তেল ও মধু
কে নিয়ে সমান ভাবে মিক্স করে নিয়ে চুলে লাগান । ধোয়ার আগে , ৩০ মিনিট ছেড়ে দিন চুলে তারপর ধোবেন। এটি আমাদের চুল কে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে আর ময়েশ্চারাইজ রাখে।
২) অ্যালোভেরা ও ইয়োগার্ট –এই অ্যালোভেরা আর ইয়োগার্ট কে একসাথে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে আর চুলে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট মতো ছেড়ে দিন এই প্যাক টা ধোয়ার আগে।
এতে স্ক্যাল্প কে বেশ আরাম দেয় আর চুল টা কে পেলব রাখে কন্ডিশন দিয়ে।
৩) ডিম ও অলিভ অয়েল — ডিম টা ফাটিয়ে নিন নিয়ে তারপর অলিভ অয়েল এর সাথে মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট মতো ছেড়ে দিন এই প্যাক টা কে। এভাবে এটি চুলের প্রোটিন সরবরাহ করার সাথে শক্তপোক্ত আর উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে ।
৪) কলা ও নাশপাতি — একটা কলা ও আলুবোখরা এ দুটোই চটকে নিন নিয়ে তারপর চুলে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট মতো ছেড়ে দিন নিয়ে তারপর ধোবেন। এ প্যাক চুল কে গভীর ভাবে কন্ডিশনিং রাখে আর এতে একটু ময়েশ্চারাইজ করে চুল কে সুস্থ করে।
চুলের প্রকৃত সৌন্দর্য বজায় রাখতে এ প্যাক গুলি ব্যবহার করুন। এদের গুনাগুন অফুরন্ত তবেই সকলে আপনাকে বলবে ‘কুঁচবরন কন্যা তোমার মেঘ বরণ কেশ ‘। চুলই মেয়েদের সৌন্দর্য চুলই মেয়েদের শ্রীবৃদ্ধি করে।
চুল সতেজ রাখার জন্য কিছু টিপ্স :
১) গরম জল ব্যবহার করুন- খুব হাল্কা গরম জলে চুল ধুন এবং চুলের তেল কে ধুতে সাহায্য করে।
২) স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন- স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে চুলের গোড়ার রক্ত সঞ্চালন উজ্জীবিত হয় এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৩) চুলের উপযোগী সঠিক শ্যাম্পু-যার চুলে যে শ্যাম্পু সহ্য সেটা ব্যবহার করা উচিত।
৪) সূর্য থেকে রক্ষা করুন- সূর্যের অতি বেগনি রশ্মি চুলকে নষ্ট করে দেয় তাই মাথা ঢাকা দিয়ে চলা ভালো।
৫) প্রতিনিয়ত থাকুন- প্রতিনিয়ত আমাদের চুল কে যত্ন রাখা উচিত।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply