ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়, কলকাতা: প্রান হন্তারক হাঁসফাঁস করা গরমে ঠান্ডা আখের রস শরীর ও মন কে পরিতৃপ্ত ও প্রফুল্ল করে। শরীরের জন্য খুব উপকারি এই আখের রস। বহু জটিল রোগের মহৌষধ এই আখের রস। প্রচন্ড গরমে গ্রাম বাংলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন শহর জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় আখের জুস বা রস বিক্রি হয়। আখের রসের উপকারিতা ও চমৎকারিতা ও অপরিসীম। মানব শরীরের উপর এর উপকার জানলে চমকে যাবেন। ডিহাইড্রেসন সমস্যা এড়াতে পান করুন আখের রস। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় পানীয়। আখের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ যেমন জিঙ্ক, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে। পুষ্টিগুনে ভরপুর আখের রস স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারি। ডিহাইড্রেসন থেকে চটজলদি মুক্তি পেতে গেলে আখের রস পান করতে হবে। আখের রস পান করলে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। স্বল্প সময়ের মধ্যে ক্লান্তি অবসাদ দূর হয়ে মেজাজ চনমনে হয়ে যায়। আখের রস ফ্লবোনায়েড নামক একটি বিশেষ উপাদানের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এই উপাদানটি ক্যান্সার থেকে দূর করে রাখবে আপনাকে। আখের রস এন্টিঅক্সিড্যান্ট তাই রোগ সংক্রমণের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। আখ চিবিয়ে খেলে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আখের রস ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ যার ফলে হাড় ও দাঁত মজবুত হয়। ইউরিনারি ট্র্যাকে সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে আখের রস। অসহ্য গরমে দাবদাহে শরীরে চলে জলের হাহাকার। সেই বীভৎস উপাদান। বিশেষ গর্বের বিষয় হলো সর্বোচ্চ পরিমাণ আখ উৎপাদন করার মধ্যে একটি দেশ হলো আমাদের ভারত। তাই আখ শুধু দামী ও তুলনামূলক ভাবে সস্তা। হাত বাড়ালেই আখের রসে তেষ্টা মেটানো যায়। আখের রসে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাকে মাথায় রেখে এগিয়ে চলতে হবে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে অতিরিক্ত আখের রস পান না করাই ভালো কারণ এতে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। আখের রসের সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারি। পরিশেষে বলি জন্ডিস রোগীদের ক্ষেত্রে আখের রস অপরিহার্য। যেহেতু আখের রস গুড় এবং চিনি উৎপাদক সে ক্ষেত্রে আখের রস পান করার স্বাস্থ্যকর পরিমাণ দুই থেকে তিন গ্লাসের মধ্যে সিমিত রাখবেন। অতি সর্বদা বর্জতে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply