১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটকে জনকল্যাণহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন। জোট নেতারা বলেন জনরায়হীন একটি অবৈধ সরকারের বাজেট কখনোই জনগণের কল্যাণে আসতে পারে না।
জোট নেতৃবৃন্দ বলেন রাজস্ব আহরণের ঘাটতির ফলে সরকারকে অতিমাত্রায় বিদেশি ও আভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর নির্ভরশীল বাজেট প্রণয়ন করতে হয়েছে। ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণের ওপর সুদ পরিশোধ করতে হবে যা প্রস্তাবিত বাজেটের রাজস্ব আয়ের এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ এক লক্ষ ৬০ হাজার ছুই ছুই করছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বিশাল ঘাটতি পূরণের কেন দিকনির্দেশনা নেই।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন ঋণ ও ঘাটতি ভিত্তিক এত বড় বাজেট আগেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি এবারও সম্ভব হবে না। আর্থিক খাতের সংস্কার ও দুর্নীতি, হরিলুটের অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্পের ব্যয় কমানোর কোন উদ্যোগ এ সরকার গ্রহণ করেনি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন বেনজির ও আজিজের মত মহা দুর্নীতিবাজ তৈরিতে ও পৃষ্ঠপোষকতায় এই অবৈধ দুর্নীতিবাজ সরকার কালো টাকা সাদা করার বিধান রেখেছে এই বাজেটে।
জোট নেতৃবৃন্দ প্রস্তাবিত বাজেটকে গরিবের পকেট কাটার বাজেট বলে আখ্যায়িত করেন । কুইক রেন্টাল এর ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ সরকার বছরে ৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে থাকে। আওয়ামী লীগ ও লুটেরাদের পকেট ভারি করার লক্ষ্যে গরিবের পকেট কাটা হচ্ছে এই বাজেটে।
নেতৃবৃন্দ বলেন একটি অগতান্ত্রিক, স্বৈরাচার ও জনরায়হীন সরকারের থেকে আমরা কখনোই জনবান্ধব ও কল্যাণকর বাজেট প্রত্যাশা করতে পারিনা এবং এই বাজেটকে আমরা প্রত্যাখ্যান করলাম।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জোট প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জনাব মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply