মুঘল আমলে বাংলায় ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রথম বাংলা সন গণনা করা হয়। জমির খাজনা তথা ভূমি কর আদায়ে এই গণনা কার্যকর শুরু হয়েছিল ১৫৫৬ সাল থেকে। কালক্রমে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশেও সেই নিয়মেই আদায় হত কর। এবার সে প্রথা থেকে বের হয়ে আসল ভূমি মন্ত্রণালয়।
এখন থেকে ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্রের পরিবর্তে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
১৫৮৪ প্রায়োগিক সাল ধরলে সময়ের প্রয়োজনে প্রায় ৪৪০ বছর পর ভূমি কর আদায়ের সময় পরিবর্তন হয়েছে।
এরমধ্য দিয়ে ভূমি উন্নয়ন করের নতুন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী, এখন থেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে পরের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত।
সোমবার (১ জুলাই) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন থেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্রের পরিবর্তে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে।
প্রতি বছরের ভূমি উন্নয়ন কর ওই বছরের ৩০ জুনের মধ্যে জরিমানা ব্যতীত আদায় করা যাবে। কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারভিত্তিক কৃষি জমির মোট পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না।
তবে এই জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার বেশি হলে সম্পূর্ণ কৃষি ভূমির ওপর ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। অন্যদিকে, অকৃষি ভূমিকে ব্যবহারভিত্তিক বাণিজ্যিক, শিল্প এবং আবাসিক ও অন্যান্য শ্রেণিতে বিভাজন করে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন কর হার নির্ধারণ ও পুনঃনির্ধারণ করে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করে থাকে।
এছাড়া, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যেকোনো ব্যক্তি বা যেকোনও শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ অথবা কোনও সংস্থাকে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত শ্রেণি ও পরিমাপের কৃষি বা অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ করতে পারবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply