November 21, 2024, 1:58 pm

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
বেনাপোল ধান্যখোলা সীমান্তে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার। টঙ্গীবাড়ীতে বীজ আলু ও সার ব্যাবসায়ী দের সাথে ইউএনওর মত বিনিময় সভা। বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাচার হওয়া ২৪ জন কিশোর ও কিশোরী দেশে ফিরেছে। আ.লীগ নেতার জবর দখলে থাকা সরকারি ১২ বিঘা জমি উদ্ধার। রাজধানীতে কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ১৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০১ জন আসামী গ্রেফতার। যশোর পর্যটন খাতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে। উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু। বেনাপোলের শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় আশাহত হয়েছে বিএনপি। ভালুকায় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং ধনবাড়ী উপজেলার নব নিযুক্ত নির্বাহী অফিসারের সাথে ধনবাড়ী উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নওগাঁ পত্নীতলার ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুমন হোসেন কে হত্যা করে গলায় ফাঁসি দিয়ে কাঁঠাল গাছের ঝুলিয়ে রহস্য জনক মৃত্যু। শার্শায় ৪ যুগ ধরে খবরের কাগজের ফেরিওয়ালা সিরাজ আর নেই। রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মওলানা ভাসানীকে স্বীকৃতি দিতে হবে …… অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। যশোর যৌনকর্মী প্রেমিকাকে নিয়ে দ্বন্ধে হেলপার বাপ্পি খুন। মওলানা ভাসানীকে অপমান করায় আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত প্রায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংস্কার চাই – রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী। ভালুকায় জমি দখল ও খেতের ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি …. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস। দেশপ্রেমিক লোকদের সঠিক প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই করে নিয়োগ দিতে হবে …… অধ্যাপক ড. সায়েদা ওবায়েদ যশোর বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কর্তৃক ৩০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন আটক। ওষুধের দাম কমানোর আহ্বান ……এম এ আলীম সরকার গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে চলছে নারী ও মাদকের রমরমা ব্যবসা যশোর যাত্রীবাহী বাসের ভেতর থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রুবেল। কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা যাচাই-বাছাই করছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। গলি থেকে রাজপথ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী

ভারতের উত্তরপূর্ব বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্যের অঞ্চল

ভারতের উত্তরপূর্ব বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্যের অঞ্চল

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: বাংলাদেশের মানুষেরা শুধু ভারতই নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরতে এবং বিভিন্ন কার্যে যেতে অভ্যস্ত। অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত এবং নাগরিক। চিকিৎসার জন্য প্রচুর বাংলাদেশী ভারতে যেমন আসেন তেমনি ব্যবসা ও পর্যটনের ক্ষেত্রেও তারা ভারতে আসেন।

কিন্তু ভারতের পূর্বত্তরের রাজ্যগুলিতে কজন আসেন!!! অথচ এই অঞ্চল বিভিন্ন ভাবে বিশ্বে বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে।

অসমের মজুলি দ্বীপ বিশ্বের বৃহত্তম নদী দ্বীপ। খুব সুন্দর স্থান। কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্য গেলে প্রান জুড়িয়ে যাবে। এখন দাঁড়ালো হাতি ছাড়াও খর্গ ধারী গণ্ডার দেখতে পাওয়া যাবে। ব্রহ্মপুত্রের বগিবিল ব্রিজ সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু। এই সেতু অসমকে সরাসরি যুক্ত করেছে অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গে। মেঘালয়ের মশিনগাও বিশ্বের সবচেয়ে বৃষ্টিপাতের স্থান। সারা বছর ধরেই এখানে বৃষ্টিপাত হয়। আসলে যেটা বলতে চেয়েছিলাম,সেটা হলো মিজোরাম রাজ্য। খ্রিস্টান সম্প্রদায় আধিক্য এই ছোট্ট রাজ্য সভ্য দুনিয়ার অন্যতম নিদর্শন।

আমরা আগে দেখেছি লন্ডনে বিভিন্ন রাস্তার ধারে অনুমোদিত স্থানে কাগজের বা পত্র পত্রিকার স্টল। বিক্রেতাহীন স্টল। সারি সারি পত্রিকা,ম্যাগাজিন সাজানো থাকে। ক্রেতারা পছন্দ মতো পত্রিকা বেছে নিয়ে নির্দিষ্ট বক্সে মূল্য রেখে দেন। কিন্তু কোনদিন কোন হেরাফেরী হয়নি। দোকানী শেষ পর্বে এসে বাক্স খুলে মূল্য বুঝে নেন। এই সততা অন্তত আমাদের উপ মহাদেশে কল্পনাতীত। বিশেষ করে ভারত,পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে। কিন্তু এর একমাত্র ব্যতিক্রম ভারতের ছোট্ট রাজ্য মিজোরাম। রাজধানী আইজলে এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে দীর্ঘকাল ধরে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন দিকদিয়েই ব্যতিক্রম এই ছোট্ট রাজ্যটি।

ভারতবর্ষের মধ্যে এক অন্য রকমের শহর আইজল, সম্পূর্ণ নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থাকা এই শহরের মানুষদের অপরাধ প্রবণতা নেই বললেই চলে।

ভারতবর্ষের উত্তর পূর্বের রাজ্য মিজোরামের রাজধানী শহরে গেলে আপনি দেখতে পাবেন রাস্তার দু’ধার ধরে সারি সারি দোকান। ক্রেতারা যার যা প্রয়োজন নিজে হাতেই নিয়ে নিচ্ছেন। ঠিক যেমনটা শপিং মলে হয়। তবে শপিং মলের মতো দাম নেওয়ার জন্য কেউ নেই। অর্থাৎ মালিক, কর্মচারীর বালাই নেই। ক্রেতারা পছন্দসই জিনিস নির্ধারিত দাম জমা করে নিয়ে যাচ্ছেন। কোথাও কোনো গড়মিল বা আত্মসাতের প্রশ্নই নেই।

হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন এমন একটি অদ্ভুত শহর আছে আমাদের দেশ ভারতবর্ষেই। যেখানে এই ধরনের রীতিনীতি বেশ অবাক করে দেশের অন্যান্য প্রান্তের মানুষ সহ বিদেশ থেকে আগত অতিথিদের। ভারতবর্ষের উত্তর-পূর্বের ছোট রাজ্য মিজোরাম। মিজোরামের রাজধানী শহর আইজল শহরের অদ্ভুত এই রীতিনীতি বেশ অবাক করে সবাইকে।

আইজলের বেশিরভাগ রাস্তায় সাধারণত কোনো ফুটপাথ নেই। পথচারীরা তাই বলে গাড়ি রেখে জায়গা দখল করেন না। রাস্তার ধার ধরে চলাই এখানকার স্থানীয় সংস্কৃতি। রাজ্যটিতে তাই পুলিশের একরকম বালাই নেই বললেই চলে। গোটা শহরে একদম যে পুলিশকর্মী নেই তা কিন্তু নয়। তবে সচরাচর চোখে পড়ে না।

রাজধানী আইজলের অপরাধ চিত্র থেকেও বোঝা যায় কেন রাজ্যটিতে পুলিশের তেমন খুবএকটা প্রয়োজন পড়ে না। প্রশাসনের পাশাপাশি মিডিয়াও ছোটখাটো অপরাধের বিরুদ্ধে সদা সতর্ক। খবরের কাগজ, টেলিভিশন চ্যানেল। এরা নিয়ম করে অপরাধ চিত্র তুলে ধরে পুলিশ-প্রশাসনের উপর চাপ রেখে চলে। 

শহরটিতে এলে আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই দু চাকা, চার চাকা, বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে পার্ক করিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। চুরি, লুঠপাটের প্রশ্নই নেই। এমনকি হাতাহাতি, মারামারি, গলা চড়িয়ে কথা বলার কোনও বালাই নেই। 

আর সব থেকে বড় যে জিনিসটা আপনার চোখে পড়বে তা হল এখানে নেই কোনও শব্দযন্ত্রণা। প্রায় ৮৭ শতাংশ খ্রিস্টানের রাজ্য মিজোরামে বড়দিনের উৎসব প্রধান উৎসব বলে পরিচিত। সন্ধ্যার পর গান বাজনার অনুষ্ঠান হয় চার্চের নিজস্ব উঠোন অথবা কমিউনিটি হলে। মাইক বাজিয়ে পাড়া কাঁপানোর সংস্কৃতি থেকে শতহস্ত দূরে এই রাজ্য। 

আধুনিক ভারতবর্ষ থেকে বহু দূরে অবস্থিত বলে হলেও এখানে আধুনিকতা যে একেবারেই কম তা কিন্তু নয়। সমস্ত মানুষের কাছেই দেখতে পাওয়া যায় আধুনিক বিভিন্ন উপকরণ। কিন্তু সব কিছুই এক নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে চালিত হয়ে আসছে। শুধুমাত্র আইজল শহরেই নয় এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি গ্রামেও আপনি দেখতে পাবেন না কোন ধরনের অনিয়ম।

সমস্ত কিছুই যেন মানুষ সাধারণভাবে মেনে চলছেন। এখানকার মানুষ অত্যন্ত সৎ। আগে বাড়ির মেয়েরা বিভিন্ন ঘরে গিয়ে পরিচারিকার কাজ করতেন। কিন্তু বিভিন্ন অসাধু বহিরাগত সরকারি অফিসার তাদের নিয়ে করে শারীরিক শোষণ করে পালিয়ে যেত। কিন্তু ইংরাজি শিক্ষা এদের মধ্যে এক নতুন জাগরণের সৃষ্টি করেছে। মহিলাদের সঙ্গে কোনরকম অভদ্র আচরণ করলেই কঠোর শাস্তি পেতেই হবে।

মিজোরামের সঙ্গে মায়ানমার দেশের সীমান্ত রয়েছে। দুই পারেই রয়েছে তাদের নিজ সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই কেন্দ্রে সরকার আইনগত ভরে সীমান্ত সিল করতে গেলেও সম্ভব হচ্ছে না। মিজোরাম এবং মায়ানমারের মধ্যে অবাধ যাতায়াত এখনো অব্যাহত।

মিজোরামের মানুষ কিন্তু খুবই অতিথি পরায়ন। কোন অপরাধ না করলে এমন সৎ ও সভ্য সমাজ খুঁজে পাওয়া যাবে না উপ মহাদেশে। 

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com