November 21, 2024, 11:10 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
বেনাপোল ধান্যখোলা সীমান্তে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার। টঙ্গীবাড়ীতে বীজ আলু ও সার ব্যাবসায়ী দের সাথে ইউএনওর মত বিনিময় সভা। বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাচার হওয়া ২৪ জন কিশোর ও কিশোরী দেশে ফিরেছে। আ.লীগ নেতার জবর দখলে থাকা সরকারি ১২ বিঘা জমি উদ্ধার। রাজধানীতে কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ১৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০১ জন আসামী গ্রেফতার। যশোর পর্যটন খাতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে। উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু। বেনাপোলের শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় আশাহত হয়েছে বিএনপি। ভালুকায় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং ধনবাড়ী উপজেলার নব নিযুক্ত নির্বাহী অফিসারের সাথে ধনবাড়ী উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নওগাঁ পত্নীতলার ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুমন হোসেন কে হত্যা করে গলায় ফাঁসি দিয়ে কাঁঠাল গাছের ঝুলিয়ে রহস্য জনক মৃত্যু। শার্শায় ৪ যুগ ধরে খবরের কাগজের ফেরিওয়ালা সিরাজ আর নেই। রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মওলানা ভাসানীকে স্বীকৃতি দিতে হবে …… অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। যশোর যৌনকর্মী প্রেমিকাকে নিয়ে দ্বন্ধে হেলপার বাপ্পি খুন। মওলানা ভাসানীকে অপমান করায় আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত প্রায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংস্কার চাই – রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী। ভালুকায় জমি দখল ও খেতের ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি …. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস। দেশপ্রেমিক লোকদের সঠিক প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই করে নিয়োগ দিতে হবে …… অধ্যাপক ড. সায়েদা ওবায়েদ যশোর বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কর্তৃক ৩০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন আটক। ওষুধের দাম কমানোর আহ্বান ……এম এ আলীম সরকার গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে চলছে নারী ও মাদকের রমরমা ব্যবসা যশোর যাত্রীবাহী বাসের ভেতর থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রুবেল। কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা যাচাই-বাছাই করছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। গলি থেকে রাজপথ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী

বাংলাদেশে রাজনৈতিক চাল চেলে বাজিমাত করেছে কে? অনেক গোপন তথ্য।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক চাল চেলে বাজিমাত করেছে কে? অনেক গোপন তথ্য।

মানস বন্দ্যোপাধ্যায় নিউ দিল্লিঃ আমি তিন মাস আগেই দুরন্ত সত্যের সন্ধানে নিউজ এজেন্সিকে বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে শেখ হাসিনা কে উৎখাত করার আমেরিকার পরিকল্পনা সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় ইঙ্গিত করে একটি প্রতিবেদন লিখেছিলাম। সেটি ছাপাও হয়েছিল। দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের সরকারকে ফেলে দেওযার চক্রান্ত চলেছে আমেরিকায়। এজন্য আমেরিকার সি আই এ এবং পাকিস্তানের আই এস আই তালে তাল ঠুকে চলেছে।
ছাত্রদের আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে জামাতের মাধ্যমে মিলিটারি ক্যু নিয়ে আসার নেপথ্যে আমেরিকার গোপন তথ্য সামনে এসেছে। সমস্ত পটপরিবর্তনের  ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন বিখ্যাত আর্থসামাজিক ব্যক্তিত্ব মহম্মদ ইউনুস। বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ২০০৬ সালে তার কাজের জন্য নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন। তিনি আমেরিকায় খুবই জনপ্রিয়। তিনি আমেরিকা থেকে আরো দুটি মর্যাদা সম্পন্ন পুরস্কার পেয়েছেন। বিশেষ কারণে প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে জেলে পুরে দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির নেত্রী প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ। খালেদা জিয়াও জেলেই কাটিয়েছেন বহু বছর। জামাতে ইসলামী, বি এন পি ও সামরিক সরকার তাকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছেন আজ ৬ আগস্ট। তার পুত্র তারেক রহমান থাকেন লন্ডনে। বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধের সময় আমেরিকা পাকিস্তানের পক্ষে সামরিক সাহায্য ও সমর্থন দিয়েছিল। যুদ্ধ জয়ের সম্ভাবনা প্রবল হতেই রাশিয়া ডেস্ট্রয়ার নিয়ে ভারতের সমর্থনে আমেরিকার সপ্তম নৌ বহরকে রুখে দিয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ভারতীয় ফৌজের দুর্বার অভিযানে, এবং মুক্তি বাহিনীর সম্মিলিত উদ্যোগে। ফলে আমেরিকা বাংলাদেশের শেখ মুজিবর রহমানের সরকারের ওপর হাড়ে হাড়ে চটা ছিল। কার্যত আমেরিকার নেপথ্য আঙ্গুলি লেহনে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকলেই নির্মম ভাবে প্রান হারান। তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ এবং শেখ রেহানা সেই সময়ে জার্মানিতে ছিলেন। ফলে তারা বেঁচে যান। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরেই হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার চক্রান্ত করেছিল। অজুহাত খুঁজে চলেছিল। বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এবারে মোক্ষম সুযোগ এসে পড়ে। হাসিনা সরকারের কোটা পদ্ধতি নিয়ে ছাত্রদের অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে তাদের উস্কানি দিয়ে আমেরিকা মুহম্মদ ইউনুসকে পছন্দের ব্যক্তি হিসাবে যোগাযোগ রেখেছিল। ওদিকে লন্ডনে তারেক রহমান গোপনে আমেরিকাতে পাকিস্তান ভিত্তিক  জামাতে ইসলামী নেতাদের সঙ্গে দেখা করে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করলেন। আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সি আই এর  মদত রয়েছে জামাতে ইসলামীর প্রতি। পাকিস্তানের জামাতে ইসলামীর মাধ্যমে বাংলাদেশের জামাতে ইসলামীর সংযোগ ঘটিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনকে দুর্বার করে তোলার জন্য আন্দোলনের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়াই হলো জামাত, ও বিএনপি সমর্থকদের মূল উদ্যেশ্য। ছাত্রদের আন্দোলনের মূল দাবি নিয়ে কোন বিতর্ক ছিল না। শেখ হাসিনা আগেই কোটা বাতিল করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমেরিকার লবি আদালত পর্যন্ত হাত বাড়ালো। হাইকোর্ট হাসিনা আপার কোটা বাতিলকে খারিজ করে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এখানেই শেখ হাসিনা ব্যাক ফুটে পড়ে গেলেন। সবকিছু খতিয়ে না দেখেই উত্তাল জনসমুদ্রে ভাসলো বাংলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শাহবাগে জমায়েত হলো। ছাত্রদের নামে সেই ভিড়ে ঢুকে পড়েছিল জামাতে ইসলামীর মানুষ। তারা মেট্রো স্টেশন, মর্যাদা সম্পন্ন পদ্মা সেতু ও জেলে হামলা চালিয়ে অরাজকতার সৃষ্টি করে। আমেরিকার সি আই এ আসরে নেমে পড়ে। পরিস্থিতি ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। চারিদিকে ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ, হামলার ফলে সরকার দিশাহীন হয়ে পড়ে। শেখ হাসিনাও নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকেন। পাকিস্তানের আই এস আই আসরে নেমে জামাতকে আরো উগ্র করে তোলে। পুলিশের গুলিতে বেশ কিছু যুবকের মৃত্যুর আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে। শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন তার মা  কখনও ছাএদের ওপর গুলি চালাতে নির্দেশ দেন নি পুলিশকে। কিন্তু বৃহত্তর আন্তর্জাতিক লবি পরিস্থিতিকে অগ্নিগর্ভ করার জন্য পুলিশকে দিয়ে গুলি চালানোর ব্যবস্থা করে বলে জানা গেছে। আমজনতা ভেবেছেন হিটলারি শাসক শেখ হাসিনা আপা। তাকে অপসারণ করতেই হবে। সড়ক অবরোধ, ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিকে দিকে আগুন লাগানো হতে থাকে। শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা করে হুমকি দেওয়া হয়েছে জামাতে ইসলামী ছাড়াও বিভিন্ন মহল থেকে। মন্ত্রী সভার কিছু সদস্য বিশ্বাসঘাতকতা করে তার মনোবল ভেঙে দেয়। সেনা বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি পদত্যাগ করেন। সেনা বাহিনীও তার  সঙ্গে অনেকটাই অসহযোগিতা করেছে।।

প্রান সংশয় দেখা দিলে ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির  হস্তক্ষেপে তিনি ঢাকা ছাড়লেন। তার আগে তার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ও তার মাকে বাংলাদেশ ছেড়ে দেবার পরামর্শ দিয়েছিলেন। জয় জানিয়েছেন তার মাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেনা বাহিনীও চেয়েছিল যতো শীঘ্র শেখ হাসিনা ঢাকা ছেড়ে চলে যান। ভারতের প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সেনা বাহিনী তাকে সামারিক হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে দেয় দিল্লির সমারিক বিমান বন্দর হিন্ডনে। সেখান থেকেই তিনি যান দিল্লিতে। সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হয়ে এরপর লন্ডনে ছেলের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ব্রিটেন আমেরিকাকে অখুশি করতে রাজি নয়। তারা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে সাময়িক ভাবে শেখ হাসিনাকে ভারতেই থাকতে হয়। যদিও তিনি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেননি।

ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার তিন মাস পূর্বে আমি দুরন্ত সত্যের সন্ধানে নিউজ এজেন্সিকে আমেরিকার পরিকল্পনা সম্পর্কে লেখা দিয়েছিলাম। সেটি ছাপাও হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা আপা হাসিনা তাতে ভ্রুক্ষেপ না করে আমেরিকার বিছানো জালে পা দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যের আরো বিষয় হলো যে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা দিয়েছিলেন, সেই পতাকা হাতে নিয়েই তার মূর্তি ভাঙ্গা হলো।ইতিহাসে এটা চরম নির্মম পরিহাস। তবে বাংলাদেশে যে ধরনের সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা হচ্ছে এবং বেছে বেছে হিন্দু ও আওয়ামী লীগ পরিবারে হত্যা, ভাঙচুর, লুট, ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে তাতে ছাত্রদের প্রকৃত আন্দোলনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সমন্বয়ক ছাত্র নেতাদের সংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য শুনে কখনোই বলা চলে না তারা এইধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারে। ভারতে হিন্দু নিধন ও অকথ্য অত্যাচারের ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে যেহেতু হিন্দুরা রয়েছে তাই এখানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটে না। কিন্তু বাংলাদেশ হিন্দুশূন্য হলে এখানে ভয়ঙ্কর প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ছাত্র নেতাদের সেকথা ভাবা উচিৎ। সবচেয়ে বড় কথা হলো, পাকিস্তানেও তো মুসলিম রয়েছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনা তো ঘৃণিত নিকৃষ্টতম অত্যাচার ও ৩০ লক্ষ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। পাঁচ লক্ষ মহিলাকে ধর্ষন করেছে আড়াই লক্ষ মহিলাকে গর্ভবতী করেছে। সেটা ভুলে গেলে চলবে না। আসলে ধর্ম নয় জাতিই অনেক বড়। জাতি হলো বাঙালি। হিন্দু নয়, মুসলিম নয়। তাই যতো বড় ষড়যন্ত্র হোক না বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃত সোনার বাংলা গড়তে হবে। জয় বাংলা, জয় বাঙালি।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com