ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাশিয়া – ইউক্রেনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ অব্যাহত। ইজরায়েল – প্যালেস্তাইন মর্মান্তিক সংঘর্ষের ঘটনা রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। নর্থ কোরিয়া – সাউথ কোরিয়া অনন্ত লড়াই মনে করিয়ে দিচ্ছে নাসার বিজ্ঞানী জিম গ্রিনের ভবিষ্যদ্বাণী। আর ঠিক এই সময়েই আচমকা একটি শান্তিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশে শুরু হয়েছে অস্থিরতা।এই অস্থিরতা উপমহাদেশে এন নতুন ভয়াবহ অগ্নিস্ফূরণের আশংকা বয়ে নিয়ে এসেছে। আশংকা হচ্ছে তাহলে কি জিম গ্রিনের কথাই সত্যি হতে চলেছে? এলিয়েনরা কি পৃথিবীতে শাসন ক্ষমতা দখলের এমন সুযোগ খুঁজছে?
স্বনামধন্য ও কিংবদন্তি অভিনেত্রী রেখা এবং রাকেশ রোশন অভিনীত ” কই মিল গয়া” ছবিটি এক সময় সারা ভারতে দর্শকদের বিশেষ করে ছোটদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ভিন গ্রহ থেকে এলিয়েন এসে রাকেশ রোশনের ওপর ভর করে তাকে কীভাবে বুদ্ধিদীপ্ত করে তুলেছিল সেটি সত্যিই উপভোগ্য। এতকাল এই এলিয়েনকে কল্পনা বলে মনে হতো।কিন্তু এখন নাসার প্রবীণ বিজ্ঞানী জিম গ্রিন তথ্য প্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করতে চলেছেন ভিন গ্রহে বিশেষ করে মঙ্গল গ্রহে এলিয়েনের অস্তিত্ব রয়েছে। তারা প্রচন্ড শক্তিশালী এবং পৃথিবীর মানুষের গতিবিধির ওপর তারা নজর রাখছে। ভিনগ্রহের প্রাণী তথা এলিয়েনদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বহু বছর যাবৎ গবেষণায় লিপ্ত রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি, মাঝে মধ্যেই এই সংক্রান্ত একাধিক তথ্য সামনে আনেন তাঁরা। তবে, এবার যে বিষয়টি উপস্থাপিত হয়েছে তাতে রীতিমতো ঘুম উড়ে গিয়েছে সবার। সম্প্রতি জিম গ্রিন নামের নাসার এক বিজ্ঞানী তুলে ধরেছেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি প্রায় ৪০ বছর যাবৎ যুক্ত ছিলেন নাসার সঙ্গে। তিনি দাবি করেছেন যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এলিয়েনদের আওতায় চলে আসতে পারে পৃথিবী। এমনকি, পৃথিবীর বাসিন্দাদের সাথে তাদের ভয়ঙ্কর লড়াই শুরু হতে পারে বলেও মনে করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ওই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এলিয়েনদের হাতে এনকাউন্টার হতে হবে মানুষদের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নাসা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কাল যাবৎ ভিনগ্রহের প্রাণীদের উপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ধরণের গবেষণা করছে। এমন সময়, জিম গ্রিনের এই দাবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ঝড় উঠতে শুরু হয়েছে। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে তার এই দাবি। নেটমাধ্যমে ওই বিজ্ঞানীর এহেন বক্তব্যে কার্যত ঘুম উড়েছে মানুষের। এই দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে যে কয়েক বছরের মধ্যেই পৃথিবীর ওপর চরম বিপদ নেমে আসতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে চাইছে নাসা। এমনকি, জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প হাতেও নিয়েছে তারা। যেটির নাম দেওয়া হয়েছে, “Beacon in the Galaxy” (BITG)। এই প্রকল্পের আওতায় পুরুষ এবং নারীর বিবস্ত্র ছবি মহাকাশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এবং মানবদেহের ডিএনএ উপস্থাপিত করতে পারে, এমন দুটি ছবিও মহাকাশে পাঠানো হবে। যাতে সেই ছবি দেখে ভিনগ্রহীরা কিছুটা ধারণা তৈরি করে নিতে পারে। এদিকে, এই আবহেই কিছুদিন আগে ইংল্যান্ডের লিভারপুলের এক মহিলা দাবি করেছিলেন যে, তিনি এলিয়েনদের দেখা পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার এ সেই প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে।
সেই প্রতিবেদনে ৫১ বছর বয়সী সাচা ক্রিস্টি জানিয়েছিলেন যে, যখন তাঁর ৭ বছর বয়স ছিল তখন তিনি মোট ৯ টি এলিয়েন দেখতে পেয়েছিলেন। এছাড়াও তাঁকে কেন ভিনগ্রহীরা বারবার বিরক্ত করছে সেই বিষয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন তাঁর মাথায় ঘুরতে থাকে বলে জানান ওই মহিলা। যদিও, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়শই এলিয়েনদের উপস্থিতি নিয়ে একাধিক মন্তব্য শোনা যায়। এমতাবস্থায়, নতুন করে নাসার বিজ্ঞানীর এহেন ভয়াবহ দাবি কার্যত চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীর।অনেকেই মন্তব্য করেছেন, এলিয়েনদের চেহারা আকর্ষণীয় নাও হতে পারে,কিন্তু শক্তি ও বুদ্ধিমত্তায় তারা অনেক বেশি সক্ষম পৃথিবীর মানুষের থেকে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে যে রহস্যের জাল বিছিয়ে রয়েছে তার নেপথ্যেও বার বার উঠে এসেছে মঙ্গল গ্রহের নাম। এপর্যন্ত শতাধিক বিমান,জাহাজ ও নৌকো বিশেষ বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে প্রবেশ করে অদৃশ্য হয়ে গেছে।তার কোন হদিস মেলেনি। জিম গ্রিনের এই নতুন দাবি নিয়ে তাই উঠেছে আতংকের ঝড়।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply