বাংলাদেশের রাজনীতিকে কাজে লাগিয়ে ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুর্নীতিকে সামনে এনে নিজেদের দুর্নীতি ঢেকে রাখার অপচেষ্টাকারী আওয়ামী লীগ আমলে তিনটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’ স্টাইলে মামলা হয়েছে। আলোচিত বেশ কয়েকটি অভিযোগ অনুসন্ধানের নামে ঝুলে আছে বছরের পর বছর। কেউ কেউ অভিযোগ পরিসমাপ্তি করে ‘ক্লিনচিট’ বাগিয়ে নিয়েছেন। ব্যাংক লোপাটের অনেক বস্তুনিষ্ট খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পরও তখন তা অনুসন্ধানে আগ্রহ দেখায়নি সংস্থাটি। এখনো দুদকের মনোভাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি। কখন কাকে সরিয়ে দেওয়া হয় সেই ভাবনা থেকে ‘রুটিন ওয়ার্কে’ দিন পার করছে কমিশন। আর আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো অনুসন্ধান ফাইল খোলা হচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে একই ভাবে অনুসন্ধান ফাইল খোলা হয়েছিল। সে সময় কারও কারও নামে করা মামলা এখন প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। শুধু এখানেই শেষ নয়; ব্যাংকের অর্থ লোপাট ও পাচারের একাধিক ঘটনার অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি ঘটনায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরতও আনা হয়েছে। এখনো অনেক আলোচিত বেশ কয়েকজন অর্থ লোপটকারীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান। বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়াও চলছে।
সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে সাংবিধানিক পদ থেকে কেউ চাইলেই পদত্যাগ যেমন করতে পারে না; তেমন কাউকে পদত্যাগে বাধ্যও করা যায় না। এই বাস্তবতায় আলো আর অন্ধকারের রাজনীতি যতটা চলছে, ততটাই চলছে ছাত্র-যুব-জনতার সাথে প্রতারণা। প্রশ্ন আসতে পারে কারা? উত্তরে বলবো- তারা, যারা অতিতের সরকারগুলোর সুবিধাভোগি ছিলেন, এখনো আছেন। এক কথায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ৮০%। হয়তো এ কারণেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ৮০% ভাগের উৎসাহে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে সরানোর দাবির পক্ষে ঐকমত্য তৈরির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এরই মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন দুই সংগঠনের নেতারা। বাংলাদেশ স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ থেকে কতটা মুক্ত হয়েছে? কতটা দ্রব্যমূল্য কমেছে? কতটা কমেছে দুর্নীতি ৩ মাস প্রায় এই সময়ে? একের পর এক প্রশ্ন নির্মাণ হলেও জনগণের কথা তারা ভাবছে না, যারা রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আছেন, ক্ষমতাকে পরিচালনা করছেন। যে কারণে দ্রব্যমূল্য কমাতে হাস্যকর কতগুলো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি গত ৩০ বছরেরও অধিক সময়ে যারা দেশ শাসন করেছেন, তাদেরই মত করে। সেই সাথে চাঁদাবাজমুক্ত হয়নি বাংলাদেশ, বরং বেড়েছে কয়েকগুণ। এসবে দৃষ্টি না দিয়ে একের পর এক বৈঠক আর সংলাপ হতাশ করছে ছাত্র-যুব-জনতাকে। সেই হতাশাকে বাড়িয়ে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ, সংবিধান বাতিল ও প্রক্লেমেশন অব সেকেন্ড রিপাবলিক কীভাবে করা যায় ও জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা-মূলত তিন ইস্যুতে কথা বলেছেন ছাত্রনেতারা। বিএনপি নেতারা চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। দলটি বলেছে, পরে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে জানাবেন। বৈঠক করেছেন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গেও। এ দুই দল রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবির সঙ্গে একমতের কথা জানিয়েছেন।
অতিতের রাজনৈতিক রেকর্ড দেখলে বোঝা যাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরাবরই বিরোধীতা করেছে ছাত্র শিবির জামায়াতে ইসলামীর। আর এখন জামায়াত বিরোধীতা করছে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের। একটা গান এই অবস্থ্ াদৃষ্টে খুব বেশি মনে পড়ছে, গানটি হলো- ‘গণেশ উল্টে গেলো-গণেশ পাল্টে গেলো।’ এতটাই উল্টে গেছে যে, ৬৯ স্টাইলে এখন সরকার চলছে ছাত্রশিবির জামায়াতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে- ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ শিবির-জামায়াত নিয়ন্ত্রণাধীন হয়েছে ৩৬ জুলাইর পর। যদি তা-ই হয়, তাহলে কি এগিয়েছে বাংলাদেশ? নাকি পিছিয়েছে বাংলাদেশ? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বেশি দূর যাওয়ার প্রয়োজন নেই, চলুন বাজারে যাই, রাস্তার ফুটপাতে যাই, সচিবালয়ে বা সরকারি কোনো দপ্তরে কোনো সরকারি ফাইল নিয়ে যাই; তাহলেই বোঝা যাবে। বাংলাদেশ সাহসের সাথে এগিয়ে চলছে বহুদিন ধরে। সেই সাহসীদের দেশে ভিতুর কোনো ঠাই নেই, একথা যেমন সত্য, তেমন সত্য- এদশের মানুষ বায়ান্নর মত করে, একাত্তরের মত করে, নব্বইয়ের মত করে ২০২৪ সালের কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মত করে রাজপথে বিজয় ছিনিয়ে আনার জাতি। এই জাতি কিভাবে অন্যায় আর অপরাধে দিনের পর দিন থাকতে পারে? পারবেনা বাংলাদেশকে দীর্ঘসময় ধরে অন্ধকারে রাখতে। তার প্রমাণ বিক্ষিপ্ত জনতার আওয়াজ। যদিও বলা হচ্ছে- সকল বৈঠকে রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে তারা একমত পোষণ করেছেন। তাদের জায়গা থেকে ইতোমধ্যে তারা বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন যে, নৈতিকতার জায়গা থেকে চুপ্পুর পদে থাকার আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। একই ইস্যুতে আমরা ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারাও নৈতিকতার জায়গা থেকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায়। তারা বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায়।
একথা সত্য যে, জনতা যে সাহসী-সংগ্রামী; ইতোমধ্যে ৫ আগস্ট তার প্রতিফলন দেখেছি। জাতীয় ঐক্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে যাচ্ছি, যেখানে ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হবে। সেদিকে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়, সেজন্য রাজনৈতিক আলোচনা আমাদের অব্যাহত থাকবে বললেও নতুন প্রজন্মের প্রকৃত তারুণ্য নির্ভর রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। আর এাঁ করা না হলে ভেস্তে যাবে- সংবিধান বাতিল ও প্রক্লেমেশন অব সেকেন্ড রিপাবলিক ইস্যু, রাষ্ট্রপতি অপসারণ এবং জাতীয় ঐক্য প্রচেষ্টা। এই সরকারের সকল কিছুই নড়বড়ে অবস্থায় আছে এখনো, তার প্রমাণ হিসেবে বলা যায় বেশ কিছু কথা। যেমন- সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই। এ বক্তব্যের পর সরকার এবং অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতৃত্ব তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি মিথ্যা বলে শপথভঙ্গ করেছেন।
এমন একটা পরিস্থিতিতে কিন্তু সামনে দিয়ে পিপিলিকা যেতে না দিলেও পেছন দিয়ে হাতি চলে যাওয়ার মত করে দুদক দন্তহীন বাঘের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ গত ২০ বছরে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোপাট করা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। লোপাটকারীদের তালিকায় ব্যাংকের মালিক-পরিচালক থেকে শুরু করে আছে প্রভাবশালী অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান। ঋণের নামে তারা জনগণের টাকা ব্যাংক থেকে সরিয়ে আত্মসাৎ করেছে। এ অর্থের বড় অংশ পাচার করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে। এনআরবিসি, বেসিক, সোনালী, সাউথ ইস্ট ও পদ্মা ব্যাংকের অন্তত ২৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পৃথক অভিযোগ অনুসন্ধান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে তিনটি ঘটনায় দায়সারা মামলা হলেও জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়নি। বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে পারেনি সংস্থাটি। আর্থিক খাতের সবচেয়ে বড় লোপাটকারীর বিরুদ্ধে তখন দুদক অনুসন্ধান করার সাহসই দেখায়নি।
মানুষ সবসময় ক্ষমতাসীনদের দ্বারা নির্যাতিত-পিীড়িত হয়েছে; যে কারণে তারা জানার পরও নিরব ভূমিকা পালন করেছে। দুদকের কাজ সব সময়ই দায়সারা ও লোক দেখানো। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে দুদক কিছু করতে পারে না বা করার সৎ সাহস দেখায় না-সাধারণ মানুষ, গণমাধ্যম ও আমাদের এই ধারণা পটপরিবর্তনের পর দুদক নিজেই দুটি আঙ্গিকে প্রমাণ করছে। প্রথমত, দুদক এখন আওয়ামী লীগের সাবেক যেসব মন্ত্রী-এমপি ও সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অনুসন্ধান শুরু করছে তাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ আগে থাকার পরও কিছু করেনি। যেমন আমরা সাবেক ভূমিমন্ত্রীর যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচারের প্রমাণসহ তথ্য দুদকে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তখন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। একই তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এখন তৎপরতা দেখাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগ সরকারে বিরাগভাজন ও বিরোধী শক্তি হিসাবে পরিচিত যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল তারা আবার ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা তৈরি হওয়ায় তাদের মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে দুদক, সিআইডি, বিএফআইইউ ও অ্যার্টনি জেনারেল অফিসের সমন্বিত প্রক্রিয়া এখনই শুরু করা উচিত। এক্ষেত্রে দুদকের যে ভূমিকা পালন করার কথা সেটাও আমরা দেখছি না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাচারের অর্থ ফেরানোর আশা আমরা করতেই পারি। তবে এই দুদক-সিআইডি-বিএফআইইউ দিয়ে তা হবে না। এগুলোর আমূল পরিবর্তন করতে হবে। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যক্তি পর্যায় থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের অর্থ লোপাটের অভিযোগ দুদকে আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কমিশন অভিযোগগুলো আমলে নেয়নি। যেসব ব্যাংকের অর্থ লোপাটের অভিযোগ তখন আমলে নেওয়া হয়নি তার মধ্যে অন্যতম ছিল ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংক। বিগত দিনে ব্যাংকিং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্থ লোপাটে সহযোগিতা করেছে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্তারা। ব্যাংকের মালিক-পরিচালকরা নিজেদের মর্জিমাফিক ব্যাংক চালিয়েছেন। ফলে এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে সাধারণ গ্রাহকদের আমানত। ঋণের টাকা যারা বিদেশে পাচার করছে তাদের ধরতে ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংক খাত টেনে তোলার চেষ্টা করছে। কিন্তু লোপাটকারীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না। দুদকের ভূমিকা এখনো আগের মতো দায়সারাই মনে হচ্ছে। এমতবস্থায় বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, ‘আগের হাল যেই দিকে, পরের হালও সেই দিকে’র মত করে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এই সরকারের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ৮০%। যে কারণে ব্যাংকিং খাতের ঘুষ-দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের ঘটনা অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা করে থাকে দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান দুদক কেবলই সাইনবোর্ডধারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশের গণমানুষের রক্ত-শ্রম- মেধায় অর্জিত অর্থ সাবার করলেও দেশ ও জনতার কল্যাণে নূন্যতম ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। যেমন ব্যর্থ হয়েছেন রাষ্ট্রপতি দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ করতে। তাই চাই রাষ্ট্রপতির অপসারণ করে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ড. ইউনূসকে দায়িত্ব দেয়া হোক এবং দুদককে বিলুপ্ত করে Rapid Team for Anti-Corruption . এই টিমের কাজ হবে ইন্সট্যান্ট তদন্ত করে দুর্নীতিবাজ প্রমাণিত হওয়ার সাথে সাথে দুর্নীতি করে উপার্জিত অর্থ-সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রিয় সম্পদে পরিণত করে সর্বনিন্ম যাবজ্জীবন শাস্তি ঘোষণা দেয়া। এমন করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কয়েক লক্ষ দুর্নীতিবাজকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হলে দুর্নীতি কমবে ৯৫%…
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply