নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ নাটোর জেলার বরাইগ্রাম থানাস্থিত জোনাইল বাজারে, জাহাঙ্গীর জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার এবং বরাইগ্রাম থানাস্থিত নগর বাজারে, নগর জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নামে দুইটি অনুমোদনহীন ভুয়া স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসাসেবা নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও দুর্নীতির চলমান অবস্থা নিয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের তদন্ত অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ঘৃণ্য অপরাধের ভেতরের চিত্র। স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা সেবাকে পুঁজি করে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আড়ালে চলছে রমরমা মাদক ও নারীদেহ বাণিজ্য।

আশপাশের লোকজনদের কাছথেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই দুটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন অসাধু ব্যবসায়ীর। তিনি সরকারী অনুমোদন ছাড়া কোন ডকুমেন্ট বিহীন শুধুমাত্র বাণিজ্যিক ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে এই দুইটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান চালিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণার পাশাপাশি মাদক ও নারীর অবৈধ বাণিজ্যিক আখড়া বসিয়ে অপরাধ করে যাচ্ছে। তিনি এতটাই প্রভাবশালী যে, তার এমন অপরাধ ও অবৈধ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলে কথা বলে না।

আমাদের প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠান দু’টিতে অনুসন্ধান করতে গেলে জাহাঙ্গী আলম ও তার লোকজন প্রভাব খাটায় এবং হুমকি ধামকি প্রদান করে। এ বিষয়ে মুঠোফোনে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে আমাদের কর্পোরেট কার্য্যালয়ের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন আমার সঙ্গে আপনাদের প্রতিনিধি কারোর দেখা হয়নি। আর মাদক ও নারী বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন যে আমার এই ব্যবসার গভমেন্ট অনুমতি রয়েছে।

কিন্তু সরেজমিন অনুসন্ধান প্রতিবেদনে তার এ কথার সঙ্গে কোনো মিল পাওয়া যায়নি। সেখানে গিয়ে নারী ও মাদকের অবৈধ বাণিজ্যের সন্ধান মিলে এবং মাদক সেবী ও নারী বাণিজ্যের নিরাপদ আশ্রমের বাস্তব চিত্র পাওয়া যায়। সেখানে কোনো ডাক্তার পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র পাঁচ-ছয়জন নার্স পাওয়া যায়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সূত্রে জানাযায় এই জাহাঙ্গীর আলম দু’টি প্রতিষ্ঠানে নিজের ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে মাদক ও নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, এবং নেশাগ্রস্থ বিভিন্ন নারী পুরুষ রাতে এই প্রতিষ্ঠান দুটিতে যাতায়াত করে।

এবং ভেতরে গিয়ে নেশাদ্রব্যের সন্ধান, ব্যবহার ও ক্রয়বিক্রয়ের দৃশ্য দেখাযায়। স্থানীয় সাধারণ জনতার দাবি এই অবৈধ ভুয়া প্রতিষ্ঠান দুটি অনতি বিলম্বে বন্ধ করে আমাদের যুব সমাজকে মাদক ও নারীর ভয়াল নেশা থেকে রক্ষা করুন।

এ বিষয়ে আমাদের কর্পোরেট কার্য্যালয়ের সঙ্গে মোঃ আনোয়ার পারভেজ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার , বড়াইগ্রাম, নাটোর। এর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি বলেন এর আগেও এই দুটি প্রতিষ্ঠান আমি ছিলগলা করেছিলাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধি সাক্ষাৎ করলে বলেন আপনারা ওখানে গিয়ে হাতেনাতে ধরে আমাদের খবর দিবেন। আমাদের লোক গিয়ে ব্যবস্থা নিবে।

স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা সেবাকে পুঁজি করে গড়ে উঠা এই অবৈধ ও ভুয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য অনতিবিলম্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রেরণ করা হবে।