দেশের প্রথম পায়ে হাঁটা রোবট ‘লি’ উদ্ভাবন করেছেন বলে দাবি করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ তরুণ শিক্ষার্থী । বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফ্রাইডে ল্যাব’ এ এই রোবটটি তৈরি করেছেন তারা। সোমবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনের নিচ তলায় রোবটটি উন্মুক্ত করা হয়।
ফ্রাইডে ল্যাবের টিম লিডার হিসেবে আছেন শাবির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী নওশাদ সজীব। তিনি ছাড়া টিমের অন্য সদস্যরা হলেন, স্থাপত্য বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রুপক, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম ও জিনিয়া সুলতানা জ্যোতি।
টিমের সদস্য মেহেদী হাসান রুপক বলেন, ‘আমি রোবটের কাঠামো ডিজাইনে কাজ করেছি।
টিমের আরেক সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আগের যে রোবট (রিবো) তৈরি করা হয়েছিল সেটা হাঁটাচলা করতে পারে না। আমরা চেয়েছিলাম এমন একটি রোবট তৈরি করতে যেটা হাঁটাচলা করতে পারে।
টিমের আরেক সদস্য জিনিয়া সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘এ রোবটে আমরা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সংযুক্ত করেছি। ফলে রোবটটি বাংলায় কথা বলার পাশাপাশি চলাচল করতে পারে। এছাড়া হাত ও পা নাড়ানো এবং অঙ্গভঙ্গি করতে পারে।’
রোবটের সার্বিক বিষয়ে শাবির সিএসই বিভাগের ২০০৯-১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী নওশাদ সজীব বলেন, ‘রোবট-লি তৈরিতে গত তিন বছর ধরে আমি কাজ করছি। এর সঙ্গে জাভা ও পাইথন নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের এ রোরট তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল রোবটকে হাঁটাচলা করানোর সঙ্গে সঙ্গে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা পরিচালনা করা। আমি মূলত রোবটের প্রোগ্রামিংয়ের অংশ নিয়ে কাজ করেছি।’
আইসিটি ডিভিশনের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদানের কথা উল্লেখ করে তিরি আরো বলেন, ‘আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান পাই। তবে আমাদের এ রোবটকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে যে ধরণের উপাদান বা যন্ত্রপাতির দরকার তা বাইরে থেকে আনতে হবে। যার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।
রোবটের নামকরণ বাংলা স্বরবর্ণ থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি লিপি হল ‘লি’। যা দেখতে ৯ এর মত ছিল। এ বর্ণটিকে স্বরণে রাখতে রোবটটির নামকরণ করা হয়েছে রোবট-লি। ফ্রাইডে ল্যাবের সদস্যরা ‘আমি লি। আবার আসিয়াছি ফিরে, রোবট হয়ে এই বাংলায়।’ এ স্লোগানে এ রোবটের নামকরণ করেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply