এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি এবং প্রাথমিক কাজ হচ্ছে, পোশাক শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন দিয়ে দেওয়া। যেন তারা কোনোভাবেই অভুক্ত না থাকেন। সোমবার এক ভিডিও বার্তায় বিজিএমই এর সভাপতি রুবানা হক পোশাক কারখানার মালিকদের উদ্দেশ্যে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে তার কথা হয়েছে জানিয়ে মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রত্যেককে আমি কতগুলো কথা বলেছি, যে মালগুলি রেডি আছে সেগুলি এখুনি নিয়ে নিন। মালগুলো এখন নিয়ে পেমেন্ট যদি পরে দেন, তাহলে আমরা যেন আশ্বস্ত হই যে মালগুলো শিফট হয়েছে। বলেছি যদি স্টোরেজের প্রবলেম থাকে তাও বলবেন আমরা এখানে স্টোরেজ করব।
যেগুলো আমাদের কাপড় পড়ে আছে, আমরা বলব দয়া করে আপনারা এগুলোকেও নেবেন, এই মুহূর্তে না নিতে পারলেও আপনারা সিএম এর দামটা দিয়ে দেন, আর বাকিটা যখন পারবেন আপনারা ম্যাক্সিমাম তিন মাসের মধ্যে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। যেগুলো রেডি মাল ক্যানসেল করেছে, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা বলেছি আপনারা এফওবি দেন। তা না হলে আমরা চলতে পারব না।
একটি কারণে ব্র্যান্ডের ওপর আমরা এসব কথা বলছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমাদের অনেক কমপ্লেইন দিতে চাপ দিয়েছেন এবং আমরাও সঙ্গত কারণেই এগুলো সব মেনেছি। আজকের সত্যিকার অর্থে পার্টনারশিপ প্রমাণ করার সময় এসেছে। আমরাও তাদের কষ্ট বুঝেছি আমরা যে বিপাকে পড়েছি তারাও সেটি বুঝেছেন। তাদের বাস্তবতা আর আমাদের বাস্তবতা ভিন্ন।
রুবানা হক বলেন, আমরা ব্র্যান্ডগুলোকে সব বলছি, আশা করেছি সিচুয়েশন একটু ঘুরলেও ঘুরবে। তাদের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থায় যাওয়া যাবে না। কারণ আমাদের বুঝতে হবে তাদেরও আমাদের লাগবে আমাদের ও তাদের লাগবে। সমস্ত কিছু মাথায় নিয়ে আমরা একটি একটি করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।
কোনও ব্র্যান্ডের ইন্ডিভিজুয়াল সমস্যার কথা জানাতে হলে বা অন্য কোনও সমস্যার বিষয়ে তাহলে সুনির্দিষ্টভাবে তাকে মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপে জানানোর অনুরোধ করে বলেন, আমাকে মেইল করবেন হোয়াটসঅ্যাপে জানাবেন আমি প্রত্যেকটা মেইল হোয়াটসঅ্যাপ দেখি। তিনি জানান যে ধরনের সমস্যা থাকুক না কেন যে ব্র্যান্ডেরই হোক না কেন যেকোনভাবেই তাদের সঙ্গে তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন। এ সময় তিনি চলমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকের দেওয়া কিছু সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করেন।
সরকারের সর্বোচ্চ মহলের আশ্বাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা আমাদের পাশে আছেন। ৪১ মানুষের লাখ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী কোনওভাবেই ছেড়ে দেবেন না। ২৫ মার্চ তাদের জন্য অপেক্ষা করি নির্দেশনার জন্য। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা একটি দিক-নির্দেশনা না পারছি ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা চট করে ফ্যাক্টরি বন্ধ করার কথা চিন্তা করবেন না।
তিনি বলেন, আমাদের জন্য সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে আমাদের শ্রমিকের বেতন দেওয়া, আগামী তিন মাসের জন্য। যাতে কোনরকম আমাদের শ্রমিক অভুক্ত না থাকে। এটি আমাদের সবচেয়ে জরুরি এবং প্রাথমিক দায়িত্ব। সবার জন্য এটি মনে থাকে। সেলারি শিট তৈরি করুন, গত তিন মাস কি করেছেন না করেছেন, সমস্ত ক্লিয়ার রাখুন। আমরা আপনাদের সাথে আছি সব সময়ই আপনাদের পাশে পাবেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply